![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
সামহোয়্যার ইন ব্লগ! ইনশাআল্লাহ, তুমি হারবেনা! দোয়া করি, তুমি যাতে তোমার নীতিতেই অমর থাক!
ইতিপূর্বে ভাবতাম, ব্লগ বুঝি শুধু নাস্তিকদের! ব্লগিং মানে বুঝি নাস্তিকতা!! ব্লগার বলতে বুঝি নাস্তিকদের বুঝায়!!! বয়সটা অত কমও ছিল না! তবুও মনের মধ্যে এসব ঘুরপাক খেত। কারো মুখে বা কোনো কাগজে 'ব্লগার' শব্দটি দেখা মাত্রই হৃদয়রাজ্যে বীভৎস একটি দৃশ্য ভেসে উঠত! ঘৃণা আর ঘৃণা জাগত! মনে মনে জপতে থাকতাম, শালা নাস্তিক! নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী কোথাকার! কাছে পাইলে বেটারে কতল করে ফেলতাম - এইভাবেই কল্পনার জগতে অস্থির হয়ে থাকতাম!
এতসব চরম উগ্রতায় মেজাজটা টগবগ করার যুক্তিক কারণও কম ছিল না! রাজিব হায়দার ওরপে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায় নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়, অনন্ত বিজয় দাস আর ওয়াশিকুর রহমান নামের ব্লগারদের নাম নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, রহমাতাল্লিল আলামিন মুহাম্মদে আরবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননাকারী ছিল এরা। এদের প্রত্যেকে আল্লাহ এবং তাঁর সম্মানিত পয়গম্বরগণের শানে অমর্যাদাকর উক্তি করে ব্লগিং করত। রাজিব হায়দার 'থাবা বাবা' এর ছদ্মনাম নিয়ে লিখেছিল, যবে থেকে এল ইন্টারনেট তখন থেকে আল্লাহ'র জানাযা শুরু হয়ে গেল'! নাউযুবিল্লাহ। এভাবেই বাজে ভাষায় তারা লিখত। ধর্মপ্রানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে অনবরত আঘাত দিয়ে যেত। মাত্র ছয় বছর আগের কথা। ২০১৩ সালের শুরুর দিগকার।
কিছু ইসলাম প্রিয় মিডিয়া এদের মুখোশ উন্মোচন করে খবর ছাপাল। ওমনি প্রতিবাদে রাস্তায় নামল ধর্মপ্রান জনতা। তারপরের ইতিহাস সবারই জানা। ব্লগ সম্পর্কে ঢালাওভাবে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হল। ব্লগারদের প্রতি সাধারণের ক্ষোভ পয়দা হল। ঘৃণা বাড়ল। এন্টি ইসলাম ব্লগাররা একের পর এক খুন হল। কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী মারা পড়ল। কতিপয় সাম্প্রদায়িক লিখক, প্রকাশক, ব্লগার আর কবিকেও এই একই অপরাধে প্রাণ দিতে হল। যাদের মধ্যে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, শুদ্ধস্বর প্রকাশক রশীদ টুটুল, ব্লগার তারেক রহিম আর রণদীপম বসু প্রমুখ অন্যতম।
সে যাইহোক, এদের কারণেই মূলত ব্লগ সম্পর্কে আমার নেতিবাচক দৃষ্টিভংগি। এদের বাজে কাণ্ড আর অপ্রীতিকর লিখালিখি-ই ছিল ব্লগ আর ব্লগিং সম্পর্কে বিরক্তিকর ভাবনা সৃষ্টির প্রধান কারণ। অথচ মৌলিক দিক থেকে ব্লগ কিবা ব্লগিং কোনোভাবেই দায়ী হতে পারেনা, বড়জোর যারা ব্লগিং করে তাদেরই কতিপয় অসাধু ব্যক্তি কিংবা ষড়যন্ত্রকারী দায়ী। যাদের মধ্যকার কতেক দুষ্টব্যক্তি আর ছদ্মবেশী অনুপ্রবেশকারীর কারণেই মূলত ব্লগগুলোর মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ ব্লগিং এর মত এত সুন্দর মতপ্রকাশের উন্মুক্ত বিদ্যালয়ের যত্ম নেয়া এবং তার সঠিক ব্যবহার সবারই নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু কে কাকে বুঝাতে পারে যদি না সে পরিণামদর্শী সুচিন্তিত বিবেক সম্পন্ন না হয়!
প্রিয় সামহোয়্যার ইন ব্লগ! ইদানীং কথা উঠেছে এই ব্লগের বিরুদ্ধে।
প্রজাতন্ত্রের মাননীয় দায়িত্বশীল মহোদয়বৃন্দ! অলিক কিছু নষ্টামির আবর্জনা ছিটিয়ে এই ব্লগের উপর আপনাদের যাঁরা হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছেন তাদের প্রতি আমার সবিনয় নিবেদন, প্লিজ সিদ্ধান্ত নেবেন তো খুব ভেবে চিনতে নিন! কতেক নষ্ট মনা অরুচিকর লোকের কারণে ঢালাওভাবে ব্লগের উপর অশুভ হাত প্রসারিত করবেন না। বিজ্ঞ লিখক ফোরামের সুষ্ঠুধারার লিখনীর এই সুন্দর বিদ্যালয়কে ছিনিয়ে নিয়ে আপনাকে কপট মানসিকতার পরিচয় দেবেন না। এটি আমাদের অমূল্য সম্পদ। আমরা এই বিদ্যালয়ের কতেক শিক্ষক শিক্ষার্থী। আমরা প্রতিনিয়ত এখানে কিছু শিখতে এবং শেয়ার করতে আসি। দয়া করে আমাদের মনে আঘাত লাগে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন।
হ্যাঁ যারা নষ্টামি করবে বা নীতিমালা উপেক্ষা করে ব্লগিং করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্লগের সম্মানিত মডারেটর আর এডমিন প্যানেলকে অবহিত করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ সমস্যার সুন্দর সমাধানের সব ব্যবস্থা করা হবে।
নবিন লিখক, মুহাম্মদ নূরুন্নবী।
লিখক ও সাংবাদিক।
নিয়মিত কলম লিখক, মাসিক মঈনুল ইসলাম , চট্টগ্রাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
NurunNabi বলেছেন: মেনন আর ইনু সাহেবরা যদি কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অন্তত এই বইটির এই পৃষ্ঠাটিও কোনো দিন পড়ে দেখত তাদের পক্ষেও কাদিয়ানিদের পক্ষে ওকালতি কিবা সাফাই গাওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভবপর হতনা! এই কাদিয়ানী বর্ণচোরা মুরতাদ গোষ্ঠীকে মুসলিম মনে করলে প্রকারান্তরে নিজের ঈমানেরই বারোটা বাজবে! তাই বাংলার জনগণ খুব সাবধান হোন! Click This Link