![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
এ নির্বাচনে জিতবে কে? সরকার টিকবে কিনা? জনগণের আন্দোলন সংগ্রামের কী হবে?
আমার কিছু মূল্যায়ন। আমি ইতিহাসের আলোকে নিরপেক্ষ কিছু ধারণা দেব। আমার এ ধারণাকে সত্য কিবা মিথ্যা কোনোটাই বলার দরকার নেই। শুধু চুপচাপ দেখে যাবেন!
আমার অনুমান :
নির্বাচন হয়ে যাবে, যেভাবেই হোক; জিতবে আ'লীগ।
তবে কতদিন টিকবে বলা মুশকিল। কারণ, জনগণ এবং বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশ আমেরিকা সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারের চলমান নীতির কঠোর বিরোধী।
নির্বাচনে জিতার পর সরকারের উপর নেমে আসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। ফলে সকল সেক্টরে শুরু হবে ভয়াবহ অচলাবস্থা।
ভয়ংকর মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে। ডলারের রেট আরও বেড়ে যাবে, টাকার মান তলানিতে ঠেকবে। ফলে এক হাজার টাকার একটা নোট ভাংগাতে দেরি, সামান্য কেনাকাটাতেই তা দেখা যাবে আর নেই! এটাকেই মুদ্রাস্ফীতি ঘটা বলে!
এমতাবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো ধীরে ধীরে আরও বেশি টের পেতে থাকবে। বুঝতে শিখবে যে, জীবন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী?
একটা সময়ের দীর্ঘ ব্যবধানে হঠাৎ একদিন সরকারের পতন হবে, মর্মান্তিক পতন। পতন হবার একদিন আগেও দেশের মানুষ চিন্তাও করতে পারবেনা। এটা জাস্ট ইতিহাস থেকে আমার অবিজ্ঞতা মাত্র। আল্লাহই ভালো জানেন।
তবে সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে শাসনকার্য পরিচালনা করে যাবেই, মানুষ মরে রাস্তাঘাটে স্তুপ হয়ে থাকলেও...! সরকার নিজের টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রাখবেই। কিন্তু ব্যর্থ হবে।
অনেকেই হয়ত ভাবছেন যে, আল্লাহ এ সরকারকে অন্যায় প্রক্রিয়ায় টিকে থাকতে দেবেন না। আমি বলব, এটা ভুল কথা। হাজ্জাজ বিন উইসুফ (মৃত্যু ৯৫ হিজরী)-এর শাসনামল সম্পর্কে চিন্তা করলেই বুঝা যায় যে, শাসক যত খারাপই হোক, আল্লাহ তাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। কেননা আল্লাহ কখনো তাড়াহুড়ো করেন না। তাছাড়া আমাদের বাঙালি জাতিটাই এখন আদর্শচ্যুত, কী আলেম আর কী সাধারণ মানুষ ; সবাই লাভে আর লোভে দিশেহারা! আমাদের আজকের এ বাজে অবস্থার জন্য আমাদের কর্মই দায়ী। ইতিমধ্যে সমগ্র দুনিয়া হতবাক আতাউল্লাহ হাফেজ্জি আর মুফতি ফয়জুল্লাহ-গংদের বেসামাল ডিগবাজি দেখে! তবে এ কথা ঠিক যে, এ জাতি এদের কখনো ক্ষমা করবেনা।
উল্লেখ্য, উমাইয়্যাহ খলীফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ানের শাসনামলে সেনাবাহিনীতে উচ্চ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। সে সময়টিতে এমন একটা সময় ছিল যখন মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বিলীন হয়ে যাচ্ছিলো। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিল সেনাধ্যক্ষ থেকে বাগদাদের গভর্নর ও একজন জঘন্য অত্যাচারী শাসক। তাকে রক্তপিপাসুও বলা চলে।
বাকি রইল জনগণের আন্দোলন সংগ্রাম। আমি মনে করি, চলমান অবস্থায় জনগণের আন্দোলন সংগ্রাম সম্পূর্ণ মূল্যহীন। কারণ, আইনের শাসন অনেক আগেই দেশ থেকে বিদায় নিয়ে গেছে...! আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন।
তারিখ ২৬/১১/২০২৩ ইং
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
(আমার অনুমান এর সাথে যারা একমত তারা কমেন্ট থেকে ঘুরে আসুন)।
©somewhere in net ltd.