নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মারুফ হোসেন

Tsundoku

মারুফ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুন! - জ্যাক রিচি

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

খুন (Queasy Does It Not)
মূলঃ জ্যাক রিচি
অনুবাদঃ মারুফ হোসেন

বের হব হব করছি, ঠিক তখনই বায়ারটা বেজে উঠল।
মেয়েটি লম্বায় প্রায় পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি। মাথায় কাক-কালো চুল। ওকে আগে কখনও দেখিনি।
ওর চোখ দুটো যেন আমার অ্যাপার্টমেন্টটা জরিপ করছে। ‘এই অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দুশো পঁচিশ ডলার! বিশ্বাস হচ্ছে না। নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে।’
‘আরও কিছু রুম আছে,’ আমি বললাম, ‘আমার মনে হয় তুমি পথ হারাওনি। এখানেই আসতে চেয়েছিলে নিশ্চয়ই।’
‘তুমি যদি জেমস ব্র্যানন হও, তাহলে হ্যাঁ, ঠিক জায়গায়ই এসেছি আমি।’
মেয়েটির গায়ে ওভারকোটটি নিলাম আমি। ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়ার জন্য নয়। যদি তোমার আসার কারণ এটা হয়...’
‘না। আমি এখানে এসেছি কারণ বয় স্কাউটরা অপ্রত্যাশিত কিছু জিনিস খুঁজে পেয়েছে।’ ডিভানে বসল সে। আমার হতচকিত মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তুমি আমাকে ম্যাডেলিন নামে ডাকতে পার।’
‘ম্যাডেলিন,’ আমি বললাম, ‘তোমাকে অপমান করতে চাই না। তবে না বলেও পারছি না–কিছু কিছু জিনিসের জন্য আমি পয়সা খরচ করি না। এটি আমার নীতি।’
মেয়েটি হাসল। ‘আমি জীবিকার জন্য অপিরিচিত লোকজনের দরজার কড়া নাড়ি না, জেমস। তোমার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমি একজন স্কুলশিক্ষক, তাও আবার গণিতের।’
‘তাই নাকি!’ বললাম, ‘আমি নিজেও অঙ্কে বেশ ভালো।’
‘সুপারিনটেনডেন্টও তাই বলল।’
‘ম্যাডেলিন,’ আমি বললাম, ‘কাজের কোথায় আসা যাক। প্রথম থেকে শুরু করলে কেমন হয়?’
নড করল ও। ‘ঘটনাটার শুরু এপ্রিল মাসে, পুরোনো এক রাস্তার ধারে। স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে এই শর্টকাট রাস্তাটি ব্যবহার করি আমি। বাবা-মার সাথে গ্রামে থাকি তো। প্রতিদিন সেখান থেকে জেফারসন স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়, সুতরাং বুঝতেই পারছ।’
মেয়েটাকে থামিয়ে দুজনের জন্য ড্রিঙ্ক আনতে গেলাম আমি।
‘রাস্তাটা এক লেনের, খুব কম ব্যবহৃত হয়। তাই একটা গাড়িকে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্বভাবতই প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিলাম।’ আমার দিকে তাকিয়ে হাসল ও। ‘গাড়িটা কোন মডেলের তা আমার মনে নেই। তবে গাড়িটা যে বিশাল এবং ব্যয়বহুল ছিল, তা মনে আছে। ও হ্যাঁ, ভালো কথা, কেউ ছিল না ভেতরে। কমপক্ষে টানা দশ মিনিট হর্ন বাজিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ সাড়া দেয়নি। শেষমেশ ঝুঁকি নিয়ে আমার গাড়িটা চালিয়ে দিলাম। এক লেনের রাস্তা বলে পাশ কাটাতে খুব কষ্ট হয় আমার। পাশের ডোবাতে গাড়িসুদ্ধ প্রায় পড়েই যাচ্ছিলাম। পুরো সেমিস্টারে ওই একবারই স্কুলে যেতে দেরি হয়েছিল আমার।’
‘স্কচ চলবে?’
মেয়েটি নড করল। ‘এর পরের ঘটনা অক্টোবরে। দৃশ্যপটে বয় স্কাউটদের আগমন। খুব সম্ভবত ট্রুপ ওয়ান এইটি ওয়ান, জেফারসন, ওই নির্দিষ্ট রাস্তাটার পাশের বনে অ্যারোহেড বা মাশরুম বা ওরকম কিছু খুঁজছিল। আচমকা দুজন বয়স্কাউট মাটিতে একটা নিচু জায়গা দেখতে পায়। কাঁচা বয়সের ছেলেপিলেদের কল্পনার দৌড় তো জানো। ভেবে বসল, ওখানে কোন ইন্ডিয়ানের কবর আছে। তাই প্রবল উৎসাহে গর্তটা খুঁড়তে শুরু করল। বলো তো, ওরা কী খুঁজে পেল?’
ওকে একটা গ্লাস দিলাম আমি। ‘নিশ্চয় একটা মৃতদেহ।’
‘ঠিক তাই। তবে লাশটা কোন ইন্ডিয়ানের ছিল না। বিভিন্ন পদ্ধতি খাটিয়ে পুলিশ সনাক্ত করল যে মৃতদেহটি মিসেস আইরিন লিনটনের। এপ্রিলের চোদ্দ তারিখে তাকে ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর কেউ মহিলাকে দেখেনি। পুলিশ তার স্বামীকে খুব বাজে একটা সময় উপহার দিয়েছে। যা-ই হোক, একসময় পুলিশের সন্দেহ হলো, মিসেস লিনটনের কোন অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তবে তিনি ব্যাপারটা এমনভাবে গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন যে পুলিশ লোকটার পরিচয় বের করতে ব্যর্থ হয়।’
ম্যাডেলিন ড্রিঙ্কে চুমুক দিল। ‘স্কুল রেকর্ড চেক করার জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। আবিষ্কার করলাম যে এপ্রিলের পনেরো তারিখ আমার স্কুলে যেতে দেরি হয়েছিল, যেদিন মিসেস লিনটনকে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল তার ঠিক পরের দিন। এরপর আমি লাইসেন্স ব্যুরোতে ছুটলাম। লম্বা একজন পুরুষ ক্লার্ককে পটিয়ে গোপন তথ্যটা পেলাম–লাইসেন্স নাম্বার P31416 জেমস ব্র্যানন নামে রেজিস্টার করা।’
ফায়ারপ্লেসের দিকে হেঁটে গেলাম আমি। ‘তাহলে তুমি বলতে চাইছও, এপ্রিলের পনেরো তারিখে রাস্তায় পড়ে থাকা বিশাল বিলাসবহুল গাড়িটা আমার ছিল? তোমার স্মরণশক্তি খুব ভালো, ম্যাডেলিন। একটা লাইসেন্স নাম্বার এপ্রিলে দেখে অক্টোবর পর্যন্ত সেটা মনে রেখেছ? নাকি কোন কারণে নাম্বারটা তখন লিখে রেখেছিলে?’
‘না। কিন্তু আগেই বলেছি, আমি গণিতের শিক্ষক। লাইসেন্স নাম্বারটি আমার নজর কাড়ে এবং মাথায় থেকে যায়। যদি তোমার প্রাথমিক পাটিগণিত মনে থাকে তাহলে মনে পড়বে পাইয়ের মান ৩.১৪১৬।’ মেয়েটা আত্মতৃপ্তির সাথে বলল।
‘ম্যাডেলিন,’ আমি বললাম, ‘কেন যেন মনে হচ্ছে তথ্যগুলো নিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ার ইচ্ছে নেই তোমার।’
‘যদি না আমাকে যেতে বাধ্য করা হয় আরকি। আমার ধারণা, কী বলতে চাইছি তা বোঝার মত যথেষ্ট বুদ্ধি তোমার মাথায় আছে।’
স্ট্যান্ড থেকে কয়লা খোঁচানোর শিকটি তুলে নিলাম আমি। ‘আগে কখনও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হইনি। তবে এখন বুঝতে পারছি সবখানেই “প্রথমবার” বলে একটা কথা আছে।’
ওর চতুর চোখ দুটো সতর্ক হয়ে গেল। ‘ওহ ভালো কথা, আমি কিন্তু পূর্বসতর্কতার ব্যবস্থা করেই এখানে এসেছি। তথ্যগুলো একটা খামে ঢুকিয়ে এমন ব্যবস্থা করেছি যে আমি যদি অস্বাভাবিকভাবে মারা যাই, বা উধাও হয়ে যাই তাহলে খামটা আপনাআপনি পুলিশের হাতে চলে যাবে।’
আমি কয়লা খোঁচানোর শিকটা গভীর মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা করলাম। ‘মিসেস লিনটনকে মারার পর এই শিকটি ভালো করে ধুয়েছি। নতুন একটা কম্বলও কিনতে হয়েছে।’
ম্যান্ডেলিন কৌতূহলী হয়ে ওঠল। ‘ওকে খুন করলে কেন?’
‘সেই একই ঘটনা। যা যেকারও ভাগ্যেই ঘটতে পারে। পুরুষরা যেসব ঘটনা সাদা চোখে বিচার করে, সেই তিল সমান ঘটনাগুলোকে তাল বানানোর প্রবণতা মহিলাদের মাঝে ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।’ আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ‘আমার মেজাজ কখনও এতটা খারাপ হয়নি। কিন্তু আমার মাথাব্যথা করছিল, আর ঘ্যানঘ্যান তা আরও বাড়িয়ে তুলছিল।’
ম্যাডেলিনকে জরিপ করে নিলাম আমি। ‘তুমি একটা নষ্টা মহিলা। সেই সাথে ব্ল্যাকমেইলার। আমার উচিৎ পুলিশকে ফোন করা। কিন্তু আমি তা করব না। কারণ আমি উদার, সহৃদয়, এবং মানুষের দোষত্রুটি মাফ করে দেই। তাছাড়া, তোমাকে জেলে যেতে দেখতে চাই না আমি।’
‘কী চমৎকার। তবে কিনা, আমাকে জেলের বাইরে রাখার পেছনে তোমার উদ্দেশ্য নিয়ে আমার মনে খটকা আছে।’
‘ম্যাডেলিন,’ বললাম, ‘লাইসেন্স প্লেটের নাম্বার ঠিকঠাক মনে আছে তোমার। তবে নাম্বারের আগের অক্ষর P-এর দিকে আরেকটু মনোযোগ দেওয়া উচিৎ ছিল তোমার।’
‘সত্যি? কেন?’
‘এই স্টেটে’, আগের কথার খেই ধরলাম আমি, ‘A ও B পূর্বাক্ষর দুটো জানুয়ারি মাসের জন্য সংরক্ষিত। এগুলো বোঝায় যে ওই মাসে লাইসেন্সটি ইস্যু করা হয়েছে এবং মেয়াদ পরের বছরের একই মাসে উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। C আর D ফেব্রুয়ারী, E আর F মার্চ, এবং এভাবে P অক্ষরটি অগাস্ট মাসের জন্য সংরক্ষিত।’
আমি কোনদিকে এগোচ্ছি মেয়েটা তা বুঝতে পারছে না।
‘আমাকে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতে দাও,’ বললাম আমি, ‘এপ্রিলে তুমি P31416 লাইসেন্স নাম্বার সংবলিত একটি মোটরগাড়ি দেখেছ। অন্যভাবে বললে তোমার খুনির লাইসেন্স প্লেট এ বছরের অগাস্টে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। তখন তাকে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, আর সে তা করেছেও। আমারটাও অগাস্টে মেয়াদোত্তীর্ন হয়ে যাওয়ায়, আমাকেও নতুন করে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করতে যাবার পর আমাকে ওই নাম্বারটা দেয়া হয়েছে।’
আমি ড্রিঙ্ক শেষ করলাম। ‘লম্বা ক্লার্কটাকে যখন পটাচ্ছিলে, ম্যাডেলিন, P31416 লাইসেন্স নাম্বারটি এখন কার নামে ইস্যু করা আছে তা জিজ্ঞেস না করে জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিল, গত এপ্রিলে কার নামে ইস্যু করা ছিল।’
ব্যাপারটা হজম করতে কয়েক মুহুর্ত লাগল মেয়েটির। ‘গাড়িটা তোমার ছিল না? মিসেস লিনটনকে খুন করোনি তুমি?’
‘প্রশ্নই উঠে না।’
ওর চোখে চিন্তার ছায়া খেলে গেল।
‘ম্যাডেলিন,’ বললাম আমি, ‘আমার ধারণা তুমি এখন লাইসেন্স ব্যুরোতে ফিরে গিয়ে তোমার প্রশ্নগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট রূপ দেবে। তবে সম্ভবত তোমার খুনি একজন গরীব লোক। কী লাভ এসব করে?’
‘তুমি বিশাল ব্যয়বহুল গাড়িটার কথা ভুলে যাচ্ছ।’
‘আগ্রহ ধরে রাখার জন্য তোমার যথেষ্ট কারণ আছে, ম্যাডেলিন। সে যাক, লাইসেন্স ব্যুরো নিঃসন্দেহে রাতে বন্ধ থাকবে। বাইরেও মনে হয় বৃষ্টি হচ্ছে। দৌড়ে পালানোর কোন দরকার নেই।’
আরও দুটো ড্রিঙ্ক বানিয়ে ওকে একটা গ্লাস এনে দিলাম।
সে আমার উদ্দেশ্যে বলল, ‘ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমি এর চেয়ে লাভজনক একটা সন্ধ্যা আশা করেছিলাম। তুমি ব্র্যানন বেকারির ব্র্যানন, তাই না?’
‘ঠিক ধরেছ।’ ওর পাশে বসলাম। ‘খুনিকে ধরার আগে তুমি কি আমাকে ছোট একটা সাহায্য করবে, ম্যাডেলিন? আমার নাম বদলে তার নামটা চিঠিতে বসিয়ে দেবে?’
‘ওহ, এই কথা!’ ও বলল। ‘ওরকম চিঠির কোন অস্তিত্ব নেই। কবরে যদি যেতেই হয়, তাহলে প্রতিশোধ নিলেই কী আর না নিলেই কী!’
P31416 এর উদ্দেশ্যে নীরবে টোস্ট করতে আমি হাতের গ্লাসটা তুলে ধরলাম।
কাজটা শুরু করেছিলেন আমার বাবার, তার দর্পের প্রমাণস্বরূপ। লাইসেন্স ব্যুরো এ কাজে অনেক সাহায্য করেছে। আমাদের পরিবারের জন্য গত পনের বছর ধরে একই নাম্বার সংরক্ষিত আছে। ব্র্যানন বেকারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাই বানানোর মাধ্যমে।
আমার চোখ কয়লা খোঁচানোর শিকটার দিকে চলে গেল।
না, এখন না। ভাবলাম আমি। আর কিছুক্ষণ পরে
ম্যাডেলিনের আরও কাছে সরে এসে বসলাম আমি, ওর উদ্দেশ্যে একটা হাসি উপহার দিলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

ইফতি সৌরভ বলেছেন: মূল গল্পটা কখনও পড়া হয় নিয়ে তবে অনুবাদটি ভালো এবং সাবলীল হয়েছে। পড়ে অনেক ভালো লাগল

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

মারুফ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল্লাগসে । অনুবাদটা সাবলীল ছিল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

মারুফ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অনুবাদ ভালই। তবে আরো চর্চা করা দরকার।

তবে গল্পটা ঠিক উপভোগ করতে পারিনি কেন যেন। :(

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

মারুফ হোসেন বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, ভাই। :)

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: ভালো লেগেছে

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২২

মারুফ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.