নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মারুফ হোসেন

Tsundoku

মারুফ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠগির জবানবন্দি—পর্ব ০২

১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১০


[ভারতবর্ষের কুখ্যাত দস্যু সম্প্রদায় ঠগিদের কার্যকলাপ নিয়ে সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ফিলিপ মিডোয টেলর, ১৮৩৯ সালে, লিখেছিলেন ‘কনফেশন্স অভ আ থাগ’ উপন্যাসটি। সেই বইটির বাংলা অনুবাদ—ঠগির জবানবন্দি—শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে সেবা প্রকাশনী থেকে, আমার অনুবাদে। চমৎকার এই বইটির বেশ কিছু পরিমার্জিত অধ্যায় (মূল অনুবাদ বই থেকে কিছুটা কাটছাঁট করে) প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে এই ব্লগে। আজ, দ্বিতীয় পর্বে, প্রকাশ করা হলো প্রথম অধ্যায়ের শেষাংশ।]
(প্রথম পর্ব পড়ুন এখানে)

এক
০২

পরদিন সকালে রওনা দিলাম। গাঁয়ের বাইরের এক আমবাগানে তাঁবু ফেলে, দলবল নিয়ে আস্তানা গেড়েছিল আমাদের পরিচিত লোক দু’জন। ওখানে ওদের সঙ্গে মিলিত হলাম আমরা। তারপর একসঙ্গে শুরু হলো যাত্রা। দু’দিন পথ চললাম আমরা। কথামত বন্ধুটির সঙ্গে তার ঘোড়ার পিঠে চড়েছিলাম আমি। মাঝে-মাঝে একা-একাও চড়তাম। ঘোড়ার লাগাম ধরে সে হেঁটে চলত। রোদের তীব্রতা বেড়ে না ওঠা অবধি থাকতাম ঘোড়ার পিঠে। তারপর গিয়ে ঢুকতাম ডুলিতে।
তৃতীয় দিনে আমার বন্ধুটি বাবাকে বলল, ‘ইউসুফ খান, এই বেচারিদের শুধু-শুধু ইন্দোরে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? আমরা তো সঙ্গে আছিই। ওদেরকে এখন ফেরত পাঠিয়ে দিলেই পারেন। আপনার নিরাপত্তার জন্যে আমার লোকেরাই যথেষ্ট। আমরা থাকতে আপনাদের ভয়ের কিছু নেই। তাছাড়া রাস্তার সবচেয়ে বিপদসঙ্কুল অংশটুকু—জঙ্গলের যেখানে ঠগদের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি—আরও অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছি।’
‘ঠিকই বলেছেন,’ জবাব দিলেন বাবা। ‘আমাদের সঙ্গে প্রায় পঞ্চাশ-ষাট ক্রোশ পথ পাড়ি দিয়েছে লোকগুলো। এবার ওদের ছেড়ে দিলে নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে।
পরবর্তী বিশ্রামের জায়গায় পৌঁছে লোকগুলোকে ফিরে যেতে বললেন বাবা। খুশি মনে ফিরে গেল ওরা। একটা ফুটোঅলা পুরনো মুদ্রা ছিল আমার গলায় ঝোলানোর জন্যে। মুদ্রাটা লোকগুলোকে দিয়ে বললাম, ওটা যেন আমার বোনকে দেয়। আমার কথা মনে করে ওটা গলায় পরবে ও। মুদ্রাটা আবার আমার হাতে ফিরে এসেছিল, সাহেব। কিন্তু স¤পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে। ও-কথা বলতেও আমার বুক ভেঙে আসে!
যা-ই হোক, প্রহরীরা চলে যাবার কয়েক ঘণ্টা পর নেমে এল সন্ধের আঁধার। আমার বন্ধু এসে বাবাকে বলল, আর দু’জায়গায় বিশ্রাম নেবার পরই আমরা ইন্দোরে পৌঁছে যাব। বিশ্রামস্থল দুটোর মধ্যে দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। তবে সংক্ষিপ্ত একটা পথ আছে। ওটা দিয়ে গেলে এক জায়গায় থামতে হবে কেবল—যাওয়াও যাবে অনেক কম সময়ে। বাবার মত্ থাকলে সেদিক দিয়েও যাওয়া যায়। তবে এই পথে যেতে হলে রওনা দিতে হবে ভোরের আলো ফোটার অনেক আগে, অন্ধকার থাকতে-থাকতে। একটা ভেড়া জবাই করে খাওয়ানোর কথা দিলে ডুলি-বাহকরাও অন্ধকার থাকতে-থাকতে বেরোতে আপত্তি করবে না। আমার বন্ধু বলল, পাশের গ্রামের প্যাটেল (গ্রামপ্রধান) তার বন্ধু। চাইলে তার কাছ থেকেই একটা ভেড়া জোগাড় করে দিতে পারবে। সেজন্যে কোন টাকাপয়সাও দিতে হবে না। কিন্তু বিনে পয়সায় ভেড়া সাধায় আঁতে ঘা লাগল বাবার। বিরক্তও হলেন কিছুটা। মুফতে ভেড়া নিতে রাজি হলেন না। বললেন, ‘বিনে পয়সায় ভেড়া নিতে যাব কেন? আমার কি টাকার অভাব পড়েছে? বেহারারা যদি তাড়াতাড়ি চলতে পারে, তবে ভেড়ার সাথে-সাথে উপরিও দেব ওদের।’
‘তাহলে তো আরও ভাল হয়,’ বলল আমার বন্ধু। ‘তবে কী জানেন, আমরা তো সিপাহি, সঙ্গে টাকা-কড়ি কিছু নেই। গায়ের বল আর অস্ত্রশস্ত্রই আমাদের সম্বল। তাই ওই প্রস্তাব করেছিলাম।’
‘তা ঠিক,’ জবাব দিলেন বাবা। ‘গ্রামে আমার সয়-সম্পত্তি যা ছিল, সবই বেচে দিয়েছি। টাকাপয়সা যা পেয়েছি, সব নিয়ে এসেছি সঙ্গে করে। টাকার পরিমাণটাও নেহাত কম নয়।’ কথাটা বলে একটু হাসলেন তিনি।
‘কী! তোমার সঙ্গে এক হাজার রুপি আছে, বাবা?’ সবিস্ময়ে বলে উঠলাম আমি। আমার হিসেবের দৌড় তখন ওই হাজার পর্যন্তই।
‘তার চেয়ে বেশিও তো হতে পারে, বাপ, তাই না?’ হেসে বললেন তিনি।
প্রসঙ্গটার ওখানেই ইতি ঘটল। তবে এখনও স্পষ্ট মনে আছে, আমার বন্ধু তার সঙ্গীদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ দৃষ্টিবিনিময় করেছিল বাবার এ-কথা শুনে।
তারপর ঠিক হলো, সেদিন মাঝরাতে—চাঁদের আলোয়—আবার শুরু হবে পথচলা।
ঠিক মাঝরাতেই ঘুম থেকে ডেকে তোলা হলো আমাদের। যাত্রা আরম্ভ হলো। আমি ছিলাম ডুলিতে, মায়ের সঙ্গে। চাঁদ উঠেছে আকাশে, তবে আলো খুব ক্ষীণ। গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। তাই চলার গতি অত্যন্ত ধীর। কয়েক ক্রোশ যাবার পর পাল্কি নামিয়ে রাখল বেহারার দল। বলল, এই অন্ধকারে কর্দমাক্ত পথে আর যেতে পারবে না। ভোরের আলো ফোটা অবধি এখানেই বিশ্রাম করতে হবে।
বাবার সঙ্গে খুব কথা কাটাকাটি হলো ওদের। চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেল আমার। উঠে দেখি, বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। বায়না ধরলাম, বন্ধুর সঙ্গে ওর ঘোড়ায় চড়ে যাব বাকি পথ। কিন্তু বরাবরের মত বন্ধু এবার এককথায় রাজি হলো না। তবে বেহারারা আবার পাল্কি বাইতে রাজি হবার পর, আমাকে ঘোড়ায় তুলে নিল সে। ওকে বললাম, ওর কয়েকজন সৈন্যকে দেখা যাচ্ছে না। সে আনমনে জবাব দিল, আমরা আস্তে-আস্তে চলছিলাম বলে ওরা খানিকটা এগিয়ে গেছে। শিগগিরই ওদের ধরে ফেলব।
খানিক বাদে একটা নদীর তীরে হাজির হলাম আমরা। দু’তীরে নিবিড় অরণ্য। এমন সময় আমার বন্ধু ঘোড়া নেমে বলল, সে পানি খেতে যাচ্ছে। ঘোড়াটা আমাকে নিরাপদে ওপারে নিয়ে যাবে। প্রাণীটা আমাকে নিয়ে অন্য পারে প্রায় চলে এসেছে, এমন সময় হইচই শোনা গেল পেছন থেকে। মারমারি বেধে গেছে যেন। ভয় পেয়ে, কী হয়েছে দেখবার জন্যে পিছু ফিরলাম। অমনি তাল হারিয়ে পড়ে গেলাম নদীতীরের পাথরের ওপর। পাথরে লেগে কপাল কেটে রক্ত বেরোতে লাগল।
খানিকক্ষণ পড়ে রইলাম নিথর হয়ে। তারপর উঠে বসতে দেখি, যেসব সৈন্য এগিয়ে গেছে শুনেছিলাম, ওরা ডুলি লুট করছে। এবারে আমি প্রাণপণে চেঁচাতে শুরু করলাম। চিৎকার শুনে এক লোক দৌড়ে এল এদিকে। দেখি, আমার বন্ধুর সঙ্গী, সেই কুৎসিত চেহারার লোকটা। ‘আহ্! তোর কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম রে, খুদে শয়তান,’ আমার গলায় একটা রুমাল পেঁচাতে-পেঁচাতে বলল সে। রুমালের চাপে দমবন্ধ হবার জোগাড় হলো। এমন সময় আরেক দৌড়ে এল আমার বন্ধু।
‘ওকে ছোঁবে না,’ রাগে চেঁচিয়ে উঠল সে। তারপর ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিল কুৎসিত চেহারার লোকটাকে। তুমুল ঝগড়া বেধে গেল দু’জনের মধ্যে। দু’জনেই তলোয়ার বের করে ফেলল কোষ থেকে। এর পর আর কিছু মনে নেই, কারণ আমি তখন ভয়ে প্রায় চেতনালুপ্ত। অবশেষে বেহুঁশই হয়ে গেলাম।
জ্ঞান ফিরল মুখে শীতল পানির ছিটায়। চোখ খুলতেই দেখি, বাবা-মা, চম্পা আর বেহারাদের মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মাটির ওপর। সামনে বাবা-মায়ের লাশ দেখে গোটা দুনিয়া আমার ওলট-পালট হয়ে গেল। কাঁদতে-কাঁদতে আছাড়ি-বিছারি খেতে লাগলাম মায়ের প্রাণহীন দেহের ওপর। পঁয়ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেছে সে-ঘটনার পর। কিন্তু মায়ের প্রাণহীন বিকৃত মুখটা আজও জ্বলজ্বল করে ভাসে চোখের সামনে। বিশেষ করে চোখ দুটো। গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। বহু বছর পর, এক বুড়ো ঠগির কাছ থেকে, এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ শুনেছিলাম। যথাস্থানে সেসব বলব। যা-ই হোক, আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম আমি।
জ্ঞান ফিরতে আবারও সেই জীবনদাতা বন্ধুর সঙ্গে আবিষ্কার করলাম নিজেকে। আমাকে প্রায় কোলে করে পথ চলছিল সে। টের পেলাম, এখন আর রাজপথ ধরে নয়, জঙ্গলের ভেতর দিয়ে চলছে দলটা। আশপাশে যেদিকে চোখ বোলাই, সেদিকেই নিবিড় অরণ্য। ঘাড়ে আঘাত লাগায় মাথা তুলে তাকাতে পারছি না। চোখ দুটোও ফুলে গেছে—জ্বালা করছে ভীষণ। একটু ধাতস্থ হতেই গোটা ঘটনা মনে পড়ে গেল এক লহমায়। আবার বেহুঁশ হয়ে গেলাম সেই নৃশংস ঘটনা মনে পড়তে। বন পেরোবার সময় বেশ কয়েকবার মূর্ছা গেলাম, আবার জ্ঞান ফিরে পেলাম। তবে এই চৈতন্যপ্রাপ্তি ছিল অতি সংক্ষিপ্ত। সেটুকু সময়েই বুঝতে পেরেছিলাম, খুব দ্রুত এগোচ্ছে দলটা। ঘোড়াগুলোর সাথে যারা পায়ে হেঁটে আসছে, তারা চলছে দৌড়তে-দৌড়তে।
অবশেষে থামলাম আমরা। দিনের আলো ফুটেছে। একজন আমাকে ঘোড়ার পিঠ থেকে নামিয়ে, একটা গাছের নিচে কাপড় বিছিয়ে শুইয়ে দিল। কিছুক্ষণ পর আমার বন্ধু এল দেখা করতে। রাগে-শোকে আমি তখন উন্মাদপ্রায়। মনে হলো, লোকটা নিশ্চয়ই বাবা-মায়ের খুনের সঙ্গে কোনভাবে জড়িত। শিশুসুলভ রাগে ওকে গালাগাল করতে-করতে বললাম আমাকেও মেরে ফেলতে। নানা কথায় আমাকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করল সে। কোন লাভ হলো না তাতে। উল্টো বেড়েই চলল আমার চেঁচামেচি।
সেই কুৎসিত চেহারার লোকটা এগিয়ে এল আমার গালাগাল শুনে। ওর নাম গনেশা।
‘কী বলছে রে ছোঁড়াটা? তুমি কি মেয়েমানুষ হয়ে গেলে নাকি? সামান্য একটা ছেলের গলায় ফাঁস পরাতে পারছ না? তোমার ভয় লাগলে আমাকে দাও, আমিই পরাচ্ছি।’ আমার বন্ধুর উদ্দেশে চেঁচিয়ে উঠল সে।
এখানে বলে নিই, আমার বন্ধুটির নাম ইসমাইল।
এগিয়ে এল গনেশা। রাগে-দুঃখে আমি তখন মরিয়া। অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে-করতে থুতু ছিটিয়ে দিলাম ওর চোখে-মুখে। কোমর থেকে রুমাল খুলে আমার ভবলীলা সাঙ্গ করতে উদ্যত হলো সে। কিন্তু এ-যাত্রায়ও আমাকে প্রাণে বাঁচিয়ে দিল ইসমাইল। আবার তুমুল ঝগড়া বেধে গেল ওদের মধ্যে। শেষমেশ আমাকে ওখান থেকে তুলে অন্য একটা গাছের তলায় শুইয়ে দিল ইসমাইল। দলের কয়েকজন রান্না-বান্নার বন্দোবস্ত করছিল ওখানে। ওদের ওপর আমার দেখভালের ভার দিয়ে চলে গেল ইসমাইল। লোকগুলো আমাকে কথা বলাবার চেষ্টা করল, কিন্তু মুখ গোঁজ করে বসে রইলাম আমি। এদিকে ঘাড় ও চোখের ব্যথা বেড়ে চলল। কাঁদতে শুরু করলাম ব্যথার তীব্রতায়।
কাঁদতে-কাঁদতে একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙল সন্ধের দিকে। আমাকে উঠে বসতে দেখে এগিয়ে এল ইসমাইল। এবার সে আমাকে আদর করতে-করতে সান্ত্বনা দিতে লাগল। বলল, এখন থেকে আমিই ওর সন্তান। সে নয়, আমার বাবা-মাকে খুন করেছে অন্যরা। ঘাড়ব্যথার ওষুধ দিতে বললাম ওকে। ফুলে ওঠা ঘাড়টা টিপে-টুপে দেখে, তেল দিয়ে ভালমত মালিশ করে দিল সে। তারপর কতগুলো গাছের পাতার প্রলেপ লাগিয়ে দিল ওখানটাতে। এবার খুব আরাম বোধ হলো।
আমার পাশে বসে রইল ইসমাইল। আরও কয়েকজন আমাকে ঘিরে বসে নানা গল্প বলতে লাগল, গান গাইতে লাগল, মন ভাল করার জন্যে।
রাতে দুধ-ভাত খেলাম। ঘুমোনোর আগে এক গেলাস শরবত খেতে দিয়ে ইসমাইল বলল, ওতে নাকি ঘুম ভাল হবে। শরবতটাতে বোধহয় আফিম মেশানো ছিল, কারণ পরদিন সকাল পর্যন্ত মড়ার মত ঘুমোলাম আমি। ঘুম থেকে উঠে দেখি, আবার ঘোড়ার পিঠে বসে রয়েছি ইসমাইলের সঙ্গে।
সেই যাত্রার আর কোন কথা মনে নেই আমার। কেবল এটুকু মনে আছে যে, গনেশা ছিল না আমাদের সঙ্গে। লোকটাকে আমি ঘৃণা করতাম। সহ্যই করতে পারতাম না ওর উপস্থিতি। তাই খুশিই হয়েছিলাম ও না থাকায়। পরবর্তীতে একই ঠগিদলে কাজ করলেও, লোকটার ওপর থেকে ঘৃণা একবিন্দু কমেনি আমার।
যা-ই হোক, এখনকার দলটাতে ইসমাইল-সহ মাত্র আটজন লোক আছে। দীর্ঘ, ক্লান্তিকর পথ পাড়ি দিয়ে একটা গ্রামে পৌঁছুলাম আমরা। এ-গ্রামেই ইসমাইলের বাড়ি। স্ত্রীর হাতে তুলে দিল সে আমাকে। ইসমাইলের স্ত্রী পরমাসুন্দরী। বয়েস কম। ইসমাইল বউকে বলল, আমি ওর এক আত্মীয়ের ছেলে। অনেক আগেই দত্তক নিয়েছিল আমাকে। এবার বাড়ি নিয়ে এসেছে। মহিলাও সাদরে গ্রহণ করলেন আমাকে। শিগগিরই অতীতের দুঃখ-কষ্ট ভুলে গেলাম তাদের আদর-যত্নে।

(চলবে...)

পুনশ্চ ১: চূড়ান্ত সম্পাদিত অনুবাদটি এখানে প্রকাশ করা হয়নি, তাই কিঞ্চিৎ ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
পুনশ্চ ২: অনুবাদটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলা থ্রিলার সাহিত্যের নক্ষত্র, কাজী আনোয়ার হোসেন-কে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট পড়ি নাই.. তবে বই ভাল হবে মনে হচ্ছে। বের সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করব..

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথম পর্ব চলে এসছে কয়েক লাইনের পর , এবং দুবার।
সময় থাকলে এডিট করে দিয়েন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

মারুফ হোসেন বলেছেন: এডিটেড। অসংখ্য ধন্যবাদ, আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.