![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু মেয়ে থাকে যাদের সব কিছুতেই মানায়, সব জায়গাতেই তারা পারফেক্ট। এখন যদি রাহা জিন্স-টি-শার্ট না পরে লাল-সাদা শাড়ি পড়তো, তবুও ওকে আমি মুগ্ধ হয়েই দেখতাম। এই টঙ দোকানের সামনের ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে আদা চা খেতে খেতে ভাবি, আইসক্রিম পার্লারেও ও ঠিক মানিয়ে যেত। ওর হাতে সিগারেট না থেকে বকুলফুলের মালা থাকলেও একটুও খাপছাড়া লাগতো না। অবশ্য সিগারেট থাকাতেও খারাপ লাগছে না। ওর ঠোঁটের আগুন জোনাকির হলুদ আলোর মত জ্বলে উঠতে দেখতে ভালো লাগছে, ওর চারপাশে যে ধোয়ার জাল তৈরী হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে, ওর মতই রহস্যময় করে তুলছে ক্ষণে ক্ষণে চারপাশ, সেই রহস্যকে ভালো লাগে। ভালো লাগে অনেক কিছুই। ওর রাগে গোলাপি আভা ধারণ করা গাল দেখতে ভালো লাগে, ড্রাগ আ্যাডিক্টদের মত ওর নির্ঘুম লাল চোখের দিকে তাকাতে ভালো লাগে, ভয়ও লাগে। ওর রুক্ষ চুলগুলোর গন্ধ নিতে ভালো লাগে। ওর গোলাপি ঠোঁটগুলো ভালো লাগে। সিগারেট খেলে মেয়েদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়, এই মেয়ের ঠোঁট এখনো গোলাপি, দেখলেই ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে, ঠোঁট দিয়ে না হোক, হাতে আঙ্গুলে অন্তত!
ছোঁয়া হয় না। কিছু কিছু ছেলেও থাকে যাদের সব জায়গায় মানায় না। রাহার পাশে অদ্ভুতুড়ে ছন্নছাড়া বন্ধু হিসেবে হয়তো মানিয়ে যায়, তবে বকুলফুল হাতে লাল-সাদা শাড়িতে রাহার পাশে হাত ধরে হাঁটা মানায় না। টঙ দোকানে বসে চা খেতে খেতে সিগারেট শেয়ার মানায়, আইসক্রিম পার্লারে বসে চকবার শেয়ার মানায় না। সিগারেটের শেষ অর্ধেক যখন অবহেলায় আমার দিকে ছুঁড়ে দেয় তখন সিগারেটের ফিল্টারে লেগে থাকা ওর ঠোঁটের ছোঁয়া অনুভব করা মানায়, ওকে জড়িয়ে ধরে ওর গোলাপি ঠোঁটে চুমুর ঝড় তোলা মানায় না, কিছুতেই মানায় না। আমি তাই পুড়ে যেতে থাকি হিংসায়, মানিয়ে যাওয়া ছেলেদের প্রতি নয়, গোলাপি ঠোঁটের ছোঁয়া পাওয়া সিগারেটে সোনালি ফিল্টারের প্রতি।
।
আমি নেশাতুর চোখে তাকিয়ে থাকি
বালিকার তিরতিরে পাতলা গোলাপী ঠোঁটের দিকে
বালিকার ঠোঁটে পুড়তে থাকা নিকোটিনের মত
পুড়ে যেতে থাকি হিংসায়
মানুষ হয়ে ছুঁয়ে দিতে পারিনি
আমি পরজন্মে নির্ঘাত সিগারেটের ফিল্টার হতে চাই
বালিকার গোলাপী অধরে চাপতে চাই।
বালিকার সিগারেটের শেষ অর্ধেক যখন ছুঁড়ে দেয়,
আমি আসক্তের মত টানতে থাকি
নিকোটিন শেষে পুড়তে থাকে ফিল্টার
বালিকার ঠোঁটের উত্তাপ পাওয়া ফিল্টার হিংসার উত্তাপে পুড়িয়ে ফেলি
সাথে পুড়ে যায় আমার ঠোঁট,
যেভাবে পুড়ে গেছে হৃদয়!
পুড়ে যেতে থাকি হিংসায়
মানুষ হয়ে ছুঁয়ে দিতে পারিনি
আমি পরজন্মে নির্ঘাত সিগারেটের ফিল্টার হতে চাই
বালিকার গোলাপী অধরে চাপতে চাই।
২| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৫
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম
৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩১
আফসিন তৃষা বলেছেন: অণুগল্প ভালো লেগেছে। তবে সিগারেট খাওয়া কিন্তু একদমই ঠিক না।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: হুমম২ বর্ষণ!!!!!
৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: বর্ষণ ভাই হুমম দিয়ে কি বুঝাইছে সেটাই তো বুঝলাম না, আপনারটা কি বুঝবো প্রতিবাদী কন্ঠস্বর?!!
৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫০
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: তাই তো! সিগারেট খুবই খারাপ জিনিস! পড়ার জন্য ধন্যবাদ তৃষা।
৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: লেখাটা প্রায় গপ হয়ে উঠেও, উঠল না । আপনার লেখা আশা জাগিয়ে, আবার আশাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়!
৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
এরিস বলেছেন: গল্প কবিতা, দুটোই একই প্লটে, প্রায় একই আদলে লেখা। স্টাইলটা দারুণ হয়েছে। তবে, রাহাকে সিগারেট খাওয়ালেন কেন ভাই?? ফিল্টার হওয়ার স্বপ্ন বুনতে??
৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: হাহাহাহ, আলসেমি লাগে তো, তাই শেষ করে দেই, লিখতে ইচ্ছে করে না। এরপরেরটা পুরোপুরি লিখব, সময় নিয়ে, এরপরেরটা দেইখেন মাসুম ভাই।
১০| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩১
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: হুম, কবিতাটা আগে লেখা ছিল, ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, এটা লেখার পর দেখি মিলে গেছে, তাই দুটো একসঙ্গেই ঝেড়ে দিলাম। আর স্মোকার মেয়েদের প্রতি একটু দূর্বলতা আছে।
ধন্যবাদ এরিস।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম