নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসির জগতে পৃথিবী লজ্জিত আর দুঃখের জগতে আমি লজ্জিত ।

মারুফ ৪০২

আমি স্বাধীনচেতা মানুষ রাখঢাক কম ,হাসতে ভালো লাগে হাসাইতে আরো মজা পাই । জীবনের লক্ষ্য আজো অস্পষ্ট ।

মারুফ ৪০২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র-শিক্ষক আজ মুখোমুখি কেন??

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১০

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার বাবাকে অনেক বেশি মনে পড়ে, তিনি একজন আদর্শ প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তাই গ্রামের যে ভদ্রলোকটি এখন আমেরিকা প্রবাসী ডাক্তার, কিংবা যে ভদ্রলোকগুলো সচিবালয় সহ দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন তারা গ্রামে এলে ঈদের দিন দেখি আমার বাবার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন, এদের কাউকে, কাউকে আমি আমার বাবার পায়ের গোঁড়ায় ধপাস করে বসে পড়তেও দেখেছি। তারপর তারা বিড় বিড় করে বলেন স্যার সে সময় যদি আপনি আমাকে না পেটাতেন তাহলে হয়ত আজ এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না।

যাহোক, উনারা হচ্ছেন প্রাইমারি স্কুলের দুই টাকার বেতনের শিক্ষক তবে উনাদের সম্মান ভার্সিটি লেভেলের টিচারদের চেয়ে অনেক, অনেক গুন বেশি। টাকা নাই,পেট চলেনা সত্য কিন্ত সম্মান আছে অঢেল।

কেন আমার বাবা এত সম্মান পেয়েছেন এখনও পাচ্ছেন,,,,??
১.আমার বাবা যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্টারি করেছেন সেখানে কোন লাল দল, নীল দল, সাদা কিংবা হলুদ, ধূসর দল বলে কোন শিক্ষকদের রাজনৈতিক দল নেই, সবার একটাই পরিচয়, আমরা শিক্ষক।
২. বাবার কোন স্পেশিয়াল ছাত্র কিংবা ছাত্রী ছিলনা সবাই তিনার কাছে সমান।
৩.আমার বাবা ঐ স্কুলে লবিং করে মাস্টারি নেননি।
৪.ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরকার মনোনীত কোন আঙ্গাবহ ব্যক্তিও ছিলেননা।

শিক্ষকদের ভুল ধরা চরম অন্যায় কিংবা বেয়াদবি সেটা মানি, সুতরাং সেটা করতেও চাইনা আমি।তবে বলতে চাই রাষ্ট্রযন্ত্রে যখন ঘুণ ধরে ( আওয়ামি, বিএনপি উভয় আমলে) তখন আসলে কোথাও এক দন্ড শান্তি থাকেনা। আক্ষেপ করে কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রবীন শিক্ষক বলেছেন আগামী পঁচিশ বছর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মত একজন যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ, কারন এখন শিক্ষক নিয়োগ হয় ডিপার্টমেন্টে যে ছেলেটা পঞ্চান্নতম প্লেস করে সে রাজনৈতিক ব্যাকআপ নিয়ে। ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি একটু খেয়াল করলেই ব্যপারটা ক্লিয়ার হবে। এভাবে শুধু ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট নয় প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টে যারা টিচার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আগের আমলে, এখনও পাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই ডিপার্টমেন্টে প্রথম,দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পজিশনেও ছিলেন না। কোথায় যে ছিলেন সেটা তারা নিজেরাও জানেননা। এটা শুধু ঢাবির চিত্র নয়, দেশের প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই চিত্র।

সুতরাং সম্প্রতি শাহজালাল ভার্সিটিসহ সারাদেশের পাবলিক বিশ্ব-বিদ্যালয় গুলোতে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে চলেছে তার পেছনের কারনগুলো অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.