নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসির জগতে পৃথিবী লজ্জিত আর দুঃখের জগতে আমি লজ্জিত ।

মারুফ ৪০২

আমি স্বাধীনচেতা মানুষ রাখঢাক কম ,হাসতে ভালো লাগে হাসাইতে আরো মজা পাই । জীবনের লক্ষ্য আজো অস্পষ্ট ।

মারুফ ৪০২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসিএস ও আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থার বেহাল দশা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

বিসিএস একটি নাম, একটি জব, একটি সম্মান, একটি ইতিহাস। বিসিএস হচ্ছে সেই জিনিস, সেই সম্মান, সেই চাকুরি যার জন্য হাজারো তরুণ,তরুণী মুখিয়ে আছে, কেউ কেউ আছে হা করে বসে।

যাক সে কথা, বিসিএস বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চাকরি কিনা এই বিতর্কের শবব্যবচ্ছেদ করার যোগ্যতা,শক্তি, সাহস কোনটিই আমার নেই। তাই এত বড় রিস্ক আমি নিবও না।

এখন বলি ভিন্ন কথা, বিগত ৩০ শে আগস্ট রাতে ৩৪ তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে যে রকম উৎসবের দেখা মিলেছে নিকট অতীতে এমন চিত্র আর দেখা যায়নি কখনও। সেই সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টগুলোতেও দুইদিন ধরে যেন এক অঘোষিত উৎসবের দেখা মিলল। অনুষদ ভবনগুলোর ওয়াশ রুম থেকে শুরু করে ক্লাস রুম, এমনকি চেয়ারম্যান স্যারের অফিসেও বিসিএসের আলোচনা। হলের প্রতিটি রুমে ঐ একটি অবস্থা।

এখন প্রশ্ন হল, বিসিএস কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের চেয়ে বড় কোন পদ? যদি সেটা হয়ে থাকে, তাহলে ডিপার্টমেন্টে প্রথম স্থান অধিকরীরা কেন বিসিএস বাদ দিয়ে ডিপার্টমেন্টের টিচার হওয়ার তালে জীবন,যৌবন সব একবারে নষ্ট করতে সচেষ্ট হন?
আবার, পক্ষান্তরে বিসিএস যদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পদের চেয়ে ছোট কোন পোস্ট হয়ে থাকে তাহলে কেন আমাদের শিক্ষক মহোদয়গণ আমাদের ব্যাচের যে ছেলেটি ডিপার্টমেন্টে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তাকে প্রায়ই বলেন তুমি বিসিএসে ট্রাই করো, দেখ ভালো কিছু হয়েও যেতে পারো??

--- আসলেই এই গ্যাঁড়াকলের কিছুই বুঝিনা আমি!!

কিছু সুপারিশ... ।
বিসিএস বিশাল কিছু বা সাধনার বিষয় তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ আমার নিজের মধ্যেও নেই। আমাদের শিক্ষক মহোদয়গণের অতি-সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে ব্যপারটা আরও জোরালো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী চার কিংবা পাঁচ বছর পড়ে তার উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সাবজেক্টটির তত্ত্ব,তথ্য,উপাত্ত কিংবা বিশাল, বিশাল জ্ঞানের খুব কমই আহরণ করেন বা করতে সামর্থ্য হন, তাই পাঁচ বছর পড়ার পর তার ঐ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর কোন প্রশ্ন করা হলে সে তিনবার মাথা চুলকে নিয়ে তারপর বলে "হয়ত এমন একটা হবে কিছু।" মানে কিছুই জানেনা সে কিংবা ঝাপসা একটু আধটু জানে ঐ বিষয়ে অথবা কিচ্ছু মনে নেই তার!! আজব।

অনার্স কিংবা মাস্টার্সে পঠিত বিষয়ের উপর একেবারে ব কলম মানে কিছু জানা না থাকলেও বিসিএস হওয়া সম্ভব। সুতরাং এই বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে বিসিএসের জন্য আলাদা কোন কোর্স চালু করা সময়ের দাবি....
সেক্ষেত্রে বিসিএস রিলেটেড ঐ কোর্সগুলো এমন ভাবে সাজানো যেতে পারে...
১. অনার্সের প্রথম বর্ষে এমপি থ্রি শেষ করতে হবে ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে।
২.দ্বিতীয় বছর শেষ করবে ওরাকল।
৩.তৃতীয় বছর কনফিডেন্সের যত গাইড আছে সব।
৪.চতুর্থ বর্ষে ক্যারিয়ার এইড সহ হাবিজাবি যা আছে সব শেষ করতে হবে।

## সর্বশেষ মাস্টার্সে গিয়ে বিশাল,বিশাল সেমিনার হবে বিসিএসের উপর যার সবগুলো রিভাইজ রিলেটেড ।

## দাবিগুলো খুব হাস্যকর মনে হলেও আসলে বাস্তবতা এটাই।এদেশে বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এর চেয়ে ভালো গঠনমূলক সুপারিশ আর দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার মনে হয় না । অাফসোস!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

অবুঝ১ বলেছেন: কিছুটা যুক্তি আছে ,আমি একমত

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

সুমন কর বলেছেন: হুম, আসলেই হাস্যকর !!!

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মারুফ ৪০২ বলেছেন: ধন্যবাদ। বেশি যুক্তি দিলে সবাই নিতে পারবেনা তাই অত রিস্ক নেইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.