![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীনচেতা মানুষ রাখঢাক কম ,হাসতে ভালো লাগে হাসাইতে আরো মজা পাই । জীবনের লক্ষ্য আজো অস্পষ্ট ।
ঢাবি মেডিকেল সেন্টারে এসব কি হচ্ছে??!
---- মারুফ হোসেন, শিক্ষার্থী, ঢাবি।
১ম দৃশ্য : বেশ কিছুদিন যাবত ঘুমন্ত জ্বরে ভুগছি, সাইলেন্টলি এই জ্বর আমাকে শেষ করে দিচ্ছে তাও বুঝছি।গায়ে হাত দিলে কারোর সাধ্যি নেই যে আমার জ্বর বোঝে কিন্তু ভেতরে,ভেতরে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। অগত্যা বন্ধু ফিরোজের পীড়াপীড়িতে শেষমেষ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে গেলাম চিকিৎসা নামক এক প্যারা নিতে। এমনিতেই এই জায়গাটার ব্যপারে আমার ভিতর চরম এ্যালার্জি ক্রিয়া করে, পৃথিবীর সবচেয়ে ফালতু চিকিৎসাকেন্দ্র মনে হয় এই ঢাবি পারিবারিক মেডিকেল সেন্টারটিকে। বাংলাদেশে আহত মেডিকেল ফেরত যত বাদ পড়া ডাক্তার আছেন, এদেশের কোন ক্লিনিক যাদেরকে চার আনা মূল্য দিতে নারাজ সেই সব অটিস্টিক মার্কা ডাক্তার গুলা ওখানে বসেন বিশাল তকমাওয়ালা মেডিকেলিস্টের ভাব নিয়ে। এখানে নাপা আর দুই একটা স্কয়ারের দানের স্যালাইন ছাড়া অন্য কোন ড্রাগস আছে কিনা আমার সন্দেহ। জ্বরেও নাপা, পেট ব্যথায়ও নাপা,মাঝে,মাঝে একটু আধটু সিনাপোল। পৃথিবীতে এই তিন আইটেমের ঔষধ ছাড়া আর কোনো মেডিসিন আছে কিনা ওদের চৌদ্দ গুষ্টির কেউ জানেনা। হালাই ক্যান্সারেও নাপা দিতে ওদের মোটেও বাধেনা। হাত-পা ভাঙার ব্যান্ডেজও নাকি ওরা নাপা দিয়ে সারে।
যাহোক,বহুত কষ্টে ঐ মেডিকেল সেন্টারের চার নম্বর দোকানে আমাকে ওখানকার ওপরওয়ালা রেফার করলেন, তারপর ফিরোজের হাত ধরে ঢুলু,ঢুলু ঢংএ ডাক্তার বাবুর চেম্বারে গেলাম। গিয়ে দেখি ডাক্তার মশায় তার পাম্পটপে গেম খেলছেন, তারপর আবার ফেসবুকিং। আমাকে দেখে তার মধ্যে কোন ভাবান্তর হলনা, গেম খেলতে,খেলতে বললেন কি হইছে বলেন? ভাবখানা এমন যেন আমরা সবাই উনাদের কাছে হারামজাদা টাইপের কিছু একটা,ন্যূনতম কার্টেসি নেই। বললাম স্যার জ্বর.....
ও আচ্ছা,
এক মিনিটেই তার প্রেসক্রিপশন করা শেষ! বাম হাতে গেম চলছে আর ডান হাত দিয়ে কোনরকমে প্রেসক্রিপশন লিখল।
বললাম স্যার....
আর কিসের স্যার! কোন কথাই শুনল না। আপনি এই ঔষধগুলা খাবেন, তারপর কিছু না হলে ঢাকা মেডিকেলে যাবেন, ব্লাড টেস্ট করাবেন, ওকে যান।
আমি মনে মনে কইলাম " ঢামেকে যাব তা তোর কাছে আসছি কেন? হালাই পেঁদানি তো খাওনি তার বুঝবা কি? জ্বরে রোগির পেঁদানো যে কত বীভৎস হতে পারে তা তুমি জাননা? "
ফিরোজ তো অবাক, দুই মিনিটে চিকিৎসাপত্র দিয়ে দিল!! এভাবেই প্রত্যেকদিন অবাক হচ্ছি আমরা এর যেন কোন প্রতিকার নেই!!
দ্বিতীয় দৃশ্য : আমার চিকিৎসা সেবা পাওয়ার পর গেলাম ফিরোজের ঠাণ্ডার চিকিৎসা নিতে দুই তলায় হোমিও সেকশনে। ওই মুরব্বী হোমিওপ্যাথিস্ট ছেমড়ি রোগি পাইলে দেখি গল্প করেই যান, ওর বাপ দাদার চৌদ্দগুষ্টির সবার গল্প ঘন্টার পর ঘন্টা বলেই যান ননস্টপ চারশ বিশ মেগাবাইট গতিতে। বাইরে যারা অপেক্ষা করেন তাদের যে ফাটে তা উনার হুশেই আসেনা! অবশেষে অনুপায় হয়ে ফিরোজ আইটি কোর্সের অদৃশ্য তাগিদে চিকিৎসা সেবা না নিয়েই রিক্ত হস্তে আঙুল চুষতে,চুষতে ফিরে এল।
সুপারিশ : বুড়ো বয়সে এইসব ডাক্তারদের সবাইকে আবারো ছয়মাসের ইন্টার্নি করানো উচিত, অথবা এদেরকে বিনা দরকষাকষিতে সিয়েরালিওনে এক্সপোর্ট করে দেওয়া উচিৎ।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
সুমন কর বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
মারুফ ৪০২ বলেছেন: হমমম,,,, সহমত।তবে আমাদের এরা একটু বেশি এই যা সমস্যা।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১
মারুফ ৪০২ বলেছেন: এর প্রতিকার হওয়া উচিত।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২
কালীদাস বলেছেন: গত বিশবছরে ঐ জায়গা থিকা কেউ চিকিৎসা করাইতে গেছে প্রয়োজনে এমন শুনি নাই। জাইনা শুইনা টাইম কিল করতে গেছেন কেন?
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২
মানবী বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক! হয়তো এদের পিছনে কোন রাজনৈতিক শক্তি আছে, জানে কাজে হেলাফেলা করলেও তার চাকরী থাকবে।
আরেকটি কথা, ডাক্তারদের স্যার বলার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের যেমন মানসিকতা, এতে এ্ধরনের ইগনোরেন্ট ডাক্তাররা আরো বেশি পেয়ে বসে।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
মারুফ ৪০২ বলেছেন: ভাই পকেট গরম না থাকলে ছাত্ররা ওখানেই যাবে কোন উপায় নাই। তবে সমাধান কাম্য। পুরা মেডিকেল সেন্টারটি চালাতে ব্যয় অনেক সুতরাং সেটা ফলপ্রসূ কেন হবেনা??
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
মারুফ ৪০২ বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে স্যার বলেছি ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তারপরও সেবাটা ছাত্রের মত পায়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
বটপাকুড় বলেছেন: সব ভার্সিটির ডাক্তার গুলো এমনই থাকে
মজা পাইলাম