![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীনচেতা মানুষ রাখঢাক কম ,হাসতে ভালো লাগে হাসাইতে আরো মজা পাই । জীবনের লক্ষ্য আজো অস্পষ্ট ।
সংবাদ ব্যবসায় প্রথম-আলোর ধারে কাছে কেউ নেই।।
---- মারুফ হোসেন, শিক্ষার্থী, ঢাবি।
"এটা একটি সংবাদ মাধ্যম, বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী মিডিয়া সেটা সত্য আর তার চেয়েও বড় সত্য হচ্ছে এটা আমাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যার উপর নির্ভর করে আমাদের জীবন বায়ু নির্গত হয়। "
উপরোক্ত কথাগুলো আমার নয়, এদেশের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা প্রথম-আলোর মাননীয় সম্পাদক মহোদয় জনাব মতিউর রহমান এই কথাগুলো বলেছিলেন তার পত্রিকার কোন এক রিপোর্টারের ন্যাকামির জবাব হিসেবে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে সাংবাদিকেরা যখন ঐ হাউজে সম্পাদকের কক্ষে অন্যান্য দিনের ন্যায় মিলিত হয়েছিলেন ঠিক সে সময়ে। হলের এক বড় ভাইয়ের বরাত দিয়ে, যিনি সে সময় ঐ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্বে ছিলেন, আওয়ামীলীগ বিটে কাজ করতেন, আজ থেকে তিন বছর আগে এই কথাগুলো আমার কর্ণগোচরিভূত হয়।
মতিউর রহমান হয়ত সেদিন মুখ ফসকে আসল সত্যটা বলে ফেলেছিলেন নিজের অজান্তেই এবং তিনি হয়ত সেদিন ভাবতেও পারেননি ঐ কথাটা শেষমেষ আমার কানে চলে আসবে।
যাহোক, মাননীয় সম্পাদকের এই পত্রিকা যখন বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছিল তখন তিনার কাঁচা টাকা কামাই হত প্রচুর পরিমানে, বসুন্ধরা গ্রুপের মুখপাত্র কালের কণ্ঠের জন্মের আগের কথা এটি।জনশ্রুত অনুযায়ী প্রথম-আলোর মুখ বন্ধ করতে বসুন্ধরা গ্রুপ সে সময় নাকি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এখন আর তারা প্রথম-আলোর মুখে প্রশ্রাবও করেননা। কালের কণ্ঠের জন্মের পর এখানে একটা ব্যালেন্স অব পাওয়ারের সুরাহা হয়েছে তাই মতিউর রহমানের প্রথম-আলো এখন আর বসুন্ধরা গ্রুপের হাজারো অনিয়মের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার সাহস দেখায় না। ভয় কালের কণ্ঠ ছেড়ে কথা বলবেনা সেও রীতিমত বাঁশ দিয়ে দিবে প্রথম-আলোকে। যাহোক, মিডিয়া নয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম-আলো তখন, এখন আজীবন সফল তারা পলিসি বোঝে,কখন কাকে তুলতে হবে কাকে বাঁশ দিতে হবে সেটা তারা ভালো করেই জানে।
ফিরে আসি প্রথম-আলোর বর্তমান সংবাদ ব্যবসার দিকে, কিছুদিন মানব পাচারের উপর টানা রিপোর্ট হতে লাগল, এখন আর মানব পাচারের উপর একটা লাইন তারা ভিতরের পাতায়ও লিখেনা, প্রশ্ন হচ্ছে মানব পাচার কি টোটালি স্টপ হয়ে গেছে?? এলো শিশু নির্যাতন ইস্যু, চলল কিছুদিন,এখন আর এ ব্যপারে একটা লাইনও ছাপেনা তারা, কেন দেশব্যপী শিশু নির্যাতন সব কি দুই দিনে বন্ধ হয়ে গেল? নিউজ শুরু করেছিল তারা বার্ড ফ্লুর উপরে আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা, দেশে পোল্ট্রি খেলেই মানুষ মারা যাচ্ছে, কি বিপদের কথা!! যেই এদেশের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস হয়ে গেল, মানুষ পোল্ট্রি খাওয়া বাদ দিলো, ভারত থেকে গরুর আমদানি গেল বেড়ে, ওমা হঠাৎ করে সেই দেখি বার্ড ফ্লু উধাও। ওটা নিয়ে আর কোন নিউজ হয়না।
শিশু নির্যাতনের কথা বলে, মানব পাচারের নিউজ দিয়ে বিশ্বব্যপী অালোড়ন সৃষ্টি করে, দুই একটা গোলটেবিল বসিয়ে কত কোটি টাকার বানিজ্য যে মতিউর রহমান করেছেন সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তবে তাতে অত্যাচারিত শিশুদের, নিপীড়িত পাচারের শিকার অসহায় মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি এতটুকু যতটুকু ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে মতিউর রহমানের কিংবা প্রথম আলোর।
প্রতিদিন প্রথম-আলোর ক্রোড়পত্রে যে নষ্টামির পক্ষে সাফাই গাওয়া হয় তার উদ্দেশ্যও কিন্তু এই ব্যবসা। মোবাইলের কভার ব্যবহারের উপর তারা একটা ফিচার করল সেখানে সব উলঙ্গপনা মেয়েরা মোবাইল হাতে দাঁড়িয়ে আছে কেন? ছেলেরা কি মোবাইল ব্যবহার করেনা? তাদের ছবি কেন এলোনা? তারকা জরিপ হলো, কোন, কোন নায়িকা ছেলেদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে তার উপর। কেন, নায়করা কি সব মরে গেছে?
একটা সংস্কৃতি, তার নিজস্বতা হারানোর জন্য এরকম দুই একটা ব্যবসাবান্ধব পত্রিকাই যথেষ্ট। সুতরাং এদের থেকে সাবধান। ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০
মারুফ ৪০২ বলেছেন: বুঝলাম। যা বুঝি তাতো আগেই বলা হয়ে গেছে। এটাও বুঝার চেষ্টা করছি।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২
Blogger Zubair বলেছেন: প্রথম আলো আসলেই একটি দুমুখো সাপ...কালেরকণ্ঠকে অনেকে ব দিয়ে *লেরকণ্ঠ বল...
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
এম. আরাফাত মাহমুদ বলেছেন: আপনি খুব ভালো লিখেছেন তা বলা চলে। একটু বুঝার চেষ্টা করুন, হরতালে যখন গাড়ি পোড়ানো হয়, তখন সাংবাদিক আর পিকেটার ছাড়া কেউ থাকে না। এমনকি পুলিশও । সাংবাদিকদের সামনে গাড়ি ভাঙ্গা হয়, তারা ভালো করে ছবি তোলে। তারা কিন্তু ছবি না তোলে তা প্রতিরোধ করে না। আর আরেকটা বিষয় হলো, দেশের আইন শৃঙ্গলা বাহিনীর আগে কিভাবে সাংবাদিকরা খবর পায়। তেমনি বলতে পারেন বর্তমান ঘটনাসমূহ। বেশী কিছু বললাম না, এ ব্যাপারে হাজার হাজার যুক্তি আছে অবশ্য