![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরত্ব বজায় রাখুন যদি আপনি আম্লীগ, বিম্পি, জামাত-শিবির, মারখোর ফাইক্কা, ভারত মাতার সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, মুক্তচিন্তার বিরোধী, ইব্রাহিমস্টাইনের ছাত্র, তারেক মনোয়ারের গুণগ্রাহী , আল্লামা সাঈদীর ঘেটুপুত্র, হাসান মাহমুদ এর জানপ্রান, জংগি তালেবান সিম্পাথাইজার, অপবিজ্ঞান ও কুযুক্তি ধারনা চর্চা কারী, বিবর্তন বিশ্বাস না করে আকাশ থিউরির মজিদীয় বানী বিশ্বাস করেন, ৪ বিয়া লাভার ও সেক্স ডিপ্রাইভড কাঠাল্পাতা খোর ছাগল অথবা প্যারাডগিস্টাইল মজিদ এর ভক্ত হয়ে থাকেন। আর যদি মানুষ হয়ে থাকেন- আপনাকে স্বাগতম।
যে কোন ধর্মে- একটা জিনিষ কমন দেখতে পাওয়া যায়।
সেটা হল- ধর্মের প্রচার ও প্রসার। হোক সেটা আদেশ নির্দেশ দিয়ে, কিংবা তলোয়ার বা বন্দুকের নলের মাধ্যমে কিংবা ব্রেইন ওয়াশ করে।
ধর্ম কায়েম কেন করতে হয় এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে বার বার করে আমাদের সামনে চলে আসে ধর্মের এক্সিস্টেন্স এর কথা।
আজকে যদি কাউকে বলা হয়- গ্রাভিটি এক্সিস্ট করে না এবং সে এটা বিলিভ করা শুরু করে এবং তার সাথে যদি পুরা দুনিয়ার সকল মানুষ সেইম কথা বিশ্বাস করা শুরু করে, তাহলে কি কালকে থেকে এই জিনিষ আর কাজ করবেনা?? নাকি নীচের দিকে পরার পরিবর্তে সকল জিনিষ উপরের দিকে উঠা শুরু করবে ??
যদি আজকে থেকে দুনিয়ার সকল মানুষ বিশ্বাস করা শুরু করে- রেডিওএক্টিবিটি বলতে কিছু নেই, এবং মাইক্রোওয়েব নামক জিনিষ টি ও ভুয়া যেহেতু আমরা দেখতে পাইনা। সো- কালকে থেকে কি এই জিনিষ গুলোর অস্তিত্ব নাই হয়ে যাবে? মাদাম কুরি সারা জীবন রেডিওএক্টিভ জিনিষ পত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন, এবং রেডিওএক্টিভিটির এফেক্ট এর ফলেই মারা গিয়েছিলেন যদিও উনি জানতেন না এর প্রভাব বা কুফল। আপনি জানেন আর না জানেন, মানেন আর না মানেন, এই জিনিষ আছে, ছিল এবং থাকবে।
যদি আমরা আজকে থেকে বিলিভ করা শুরু করি- অক্সিজেন বলতে আসলে কিছুই নেই যা আছে তা হল জাস্ট হোয়াক্স, কালকে থেকে কি অক্সিজেন নামক জিনীষ টার উপযোগিতা শেষ হয়ে যাবে? নাকি এটা দুনিয়া থেকে হারায় যাবে?
যদি আমরা আজকে থেকে দুনিয়ার সকল মানুষ বিলিভ করা শুরু করি- আমাদের আসলে এই দুনিয়ায় টিকে থাকার জন্য সরকার ব্যবস্থার দরকার নেই, কালকে থেকে কি সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে? হ্যা! ধ্বংস হয়ে যাবে।
ঠিক একই ভাবে, আমরা যদি আজকে থেকে সকল মানুষ বিশ্বাস করি, ধর্ম বলতে আসলে কিছু নেই- আগামি কাল থেকে এই জিনিষ এর উপযোগীতা শেষ হয়ে যাবে এবং পরশু দিন থেকে আর ধর্মের নাম গন্ধ ও থাকবে না এই দুনিয়ায়।
এই কারনে দুনিয়ার সকল দেশের সরকার যাতে মানুষ কে নিয়ন্ত্রন করতে পারে এই কারনে আইন, কানুন আর বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ কে ব্যতিব্যস্ত রাখে এবং তার উপযোগীতা ও গুরুত্ব প্রতিদিন মানুষের সামনে তুলে ধরে,
ঠিক একই ভাবে,
আমাদের ধর্ম গুলো ও একই ভাবে আমাদের কে প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেয় ধর্ম প্রচার বা কায়েম করার জন্য।
প্রতিটি ধর্ম ই জানে - পুশ না করলে তাদের পতন অনিবার্য্য। এই কারনে - আমাদের সকল ধর্মেই বলা আছে- ধর্ম প্রচার করার জন্য।
হিউমান এক্সিস্টেন্স এর জন্য বর্তমানে ধর্মের কোন ধরনের দরকার ও প্রয়োজন না থাক্লেও আমাদের ধার্মিক মন বাচ্চাদের কে ধর্ম শিখাই, ছোট বেলা থেকেই তাদের মনে গেথে দেই ধর্ম, যাতে করে বড় হবার সাথে সাথে তারা বুঝে না যায় এটা আসলেও অপ্রয়োজনীয় জিনিষ।
হোমো সেপিয়েন্সস এর ইভালুশান এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই- মানুষ দৌড়ানোর জন্য তাদের পা ইউজ করতে শিখেছে যাতে শিকার কে তাড়া করতে সুবিধা হয়, কিংবা হাতের ব্যবহার শিখেছে আত্মরক্ষার জন্য কিংবা পেনিস এর ব্যবহার শিখেছে প্রজননের জন্য-এসব আসলে হোমো সেপিয়েন্স এর ডি এন এ তে কোডিং হয়ে রয়েছে এবং সেটা কপি হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।
যদি ধর্ম জিনিষ টা আমাদের মানব জীবনের অপরিহার্য হত, এটাও আমাদের জিনে বা ডি এন এ তে কোডীং হয়ে আসত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। আমাদের কে জোর করে বন্দুকের মুখে বা তলোয়ার এর ডগার ভয় দেখিয়ে কিংবা পরকালে আগুনে কাবাব বানানোর ভয় দেখিয়ে কিংবা আন লিমিটেড নারী সম্ভোগ আর লালসার লোভ দেখিয়ে ধর্ম কায়েম করতে হত না।
রিলিজিয়ন ইজ এ ইলুশান।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এত কিচ্ছুর পরেও এত হাজার হাজার শতাব্দী ধরে রিলিজিয়ন টিকে আছে কিভাবে? উত্তর এক্টাই- ধর্মই আজকের এই সভ্যতা বিনির্মানের মূল কারিগর।
প্রিমিটিভ রা যখন আদিম কালে একা একা শিকার করত, তখন তারা আবিস্কার করলো, একা শিকার করার চেয়ে দল বেধে শিকার করলে অল্প পরিশ্রমে বেশি শিকার পাওয়া যায়। এখান থেকেই দলবদ্ধতার সূচনা।
কিন্তু, দলবদ্ধ হলে শুরু হয় কন্ট্রোল ও পরিচালনা ইস্যু। ছোট একটা দল্কে পরিচালনা করতে এক জন বা কয়েকজন লিডার দিয়ে পসিবল। কিন্তু হাজার হাজার বা লাখ লাখ লোককে পরিচালনা ও সভ্যতা বিনির্মানের জন্য দরকার ছিল এমন কোন এক গল্প যাতে দিয়ে সবাইকে একই সূতায় গেথে রাখা যেত। কিংবা , যখন মানুষ ঝড়, বন্যা বা ন্যাচারাল ক্যালামিটি গুলো এক্সপ্লেইন করতে পারত না তখন দরকার হয়েছিল, এমন কোন সত্ত্বার আবিস্কার করা যাতে এগুলাকে তার কাজ বলে এক্সপ্লেইন করা যায় এবং বিশাল মাস পিপল কে নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও বিশাল মাস পপুলেশান কে ভয় দেখানো এবং কন্ট্রোল করার জন্য দরকার ছিল আলাদা রকমের এক শক্তি। সেখান থেকেই শুরু হয় কমন মিথ বা অলৌকিক সত্ত্বার গল্প যেখান থেকে পরিপুষ্ট হয়ে আজকের ধর্ম এবং এখান থেকে আজকের এই সভ্যতা। গ্রাম, সিটি বা দেশ বিনির্মানে তথা এই সভ্যতার আজকের এই অবস্থার পেছনে ধর্মের প্রভাব অনঃস্বীকার্য ।
তাহলে প্রশ্ন উঠে আসে- ধর্ম কি হারিয়ে যাবে? বা মানুষ কি ক্রমাগত এই যে ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে- তাহলে কি সভ্যতার আরো অগ্রগতির সাথে সাথে ধর্মের ও বিনাশ হবে??
উত্তর হলঃ না
আমাদের সাইকোলজিকাল, নিউরোলজিকাল, হিস্টোরিকাল এবং কালচারাল সিস্টেম এর প্রভাবে আমরা কখনোই ধর্ম থেকে দূরে সরতে পারব না।
আজকের দুনিয়ার ধর্ম থেকে দূরে সরা দেশ গুলার দিলে তাকালে আমরা একটা জিনিষ ক্লিয়ারলি দেখতে পাই- জাপান, ইউকে, কানাডা, সাউথ কোরিয়া, নেদারল্যান্ড, চেক রিপাব্লিক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, উরুগুয়ে, চায়না- এই দেশ গুলো মাত্র ১০০ বছর আগেও চরম ধার্মিক ছিল। কিন্তু তাদের উন্নতির সাথে সাথে তারা এখন এই মুহুর্তে দুনিয়ার সব চেয়ে কম অবিশ্বাসী জাতিগুলোর একটা।
তাহলে কি ধরে নেয়া যায়- একসময় কোন এক দৈব উপায়ে যদি সব দেশের সব জাতির মানুষ উন্নত হয়ে যায় তাহলে তারা ধর্ম বিমুখ হয়ে যাবে? উত্তরঃ তাও , না।
আসলে, ধর্ম জিনিষ টার সাথে আমাদের এখন যতটা না আত্মার যোগাযোগ তার চেয়ে বেশি যোগাযোগ- সাইকোলজিকাল। নিউজিল্যান্ড একটা সেকুলার কান্ট্রি। ২০১১ সালে এক মারাত্মক ভূমিকম্প হয় নিউজিল্যান্ড এর ক্রাইস্টচার্চে। এবং অদ্ভুত হলেও সত্য- সেখান মানুষ দের মাঝে হুট করে ধর্ম চর্চা বেড়ে যায় । যদিও বাকি দেশে সেটা বাড়ে নাই।
সো, ধরে নেয়া যায়, আমাদের এই পৃথিবী যেহেতু হুট করে একদিনে ধবংস হবেনা, সো ধর্মের ও একদিনেই বিনাশ হবার পসিবিলিটি অনেক কম।
বরং, ধীরে ধীরে মানব সভ্যতার মত ধর্ম ও বিবর্তিত হবে। আজকের ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম হয়ত থাকবে না আজকের এই অবস্থায় কিন্তু স্পিরিয়ালিটি বা সুপারস্টিশান থেকেই যাবে মানুষের সাইকোলজিকাল মাইন্ডে।
হয়ত, আরেকটা অলাউট নিউক্লিয়ার এটাক বা কোন একটা এস্ট্রোয়েড এর আঘাতে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গিয়ে আবার ফিনিক্স পাখির মত উঠে দাড়ালেও - সেখানেও হয়ত কোন না কোন ভাবে, কোন না কোন ফর্মে ধর্ম আসবেই।
দুর্দশা ও ব্যাথার মাঝে মানুষ কম্ফোর্ট এর খোজ করে, তখন তাদের অবচেতন মন তাদের কে এই বলে সাইকোলজিকাল ভাবে সান্তনা দেয়- হয়ত মৃত্যুর পরে আরো একটা জগত আছে, যেখানে এই কস্ট সইতে হবেনা এবং সেখানে শুধু সুখ আর সুখ।
এটাই মানুষ কে চালিত করবে একদম শেষ দিন পর্যন্ত। এটাই ধর্মের সফলতা। এক রুপে বা এক রুপে ফিরে আসবেই।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
সাসুম বলেছেন: একটা ছোট্ট কারেকশান স্যার- দুনিয়া সৃষ্টির সময় ধর্ম ছিল না ধর্ম অনেক পরে এসেছে । ধরে নেয়া হয় আজ থেকে ৬৫০০ বছর আগে ধর্ম ও এর কাজ কর্মের উদ্ভব। তবে সুপারস্টিটিসাস ও প্যারানরমাল জিনিষ পত্রে মানুষ বা হোমো সেপিয়েন্স আরো আগে থেকেই বিলিভ করত ( আমি যেহেতু বিজ্ঞানে বিলিভ করি, সো প্রমানিত বৈজ্ঞানিক তথ্য অনু্যায়ী এটা বললাম ) যদি ধর্ম আমাদের লাইফের সাথে রিলেটেড কিছু হত বা এক্সিস্টেন্স এর সাথে রিলেটেড কিছু হত, তাহলে এটা আমাদের জিনে কোডিং করা থাকত ডি এন এ তে যেভাবে আমরা জন্মের পর পর ই বুঝে যায় পা এর কাজ, বা হাতের কাজ ।
সব ধর্মেই কেন মৃত্যুর পরেও আরেক টা জগত আছে সেটার কারন ও কিন্তু বলেছি। ধর্ম কিন্তু আজকের এই সভ্যতার আজকের পজিশানে আসার পেছনে অনেক বড় সহায়ক, কিন্তু সভ্যতা কোন দিনে যাবে সেটা কিন্তু ধর্ম ঠিক করে দিবেনা আর। এটা আরেকটা লিখায় দেখাব।
আর মানুষ অন্য আরেকটা এনিমাল মাত্র, আলাদা স্পেশাল কোন জাতি হিসেবে আমরা স্পেশাল ভাবে আসি নাই। বিজ্ঞান বলে পরজন্ম বলে কিছু নাই। একবার হার্ট থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন অফ হলেই শেষ। আর আত্মা বলেও কোন কিছু আছে বলে এখনো প্রমান হয় নাই। যেহেতু প্রমান হয় নাই- সো আমিও সেই বিষয়ে বিশ্বাস করতে পারিনা ।
তবে , ধর্ম থাকবে। একদম নক্ষত্রের সকল আলো ফুরিয়ে গিয়ে যখন গ্রহ গুলো শেষ অবস্থায় পৌছাবে এবং শেষ মানব প্রাণ টা নিভে যাবে এই দুনিয়ার বুক থেকে, তখনো ধর্ম থাকবে। হয়ত আজকের ধর্মের ফর্মে না, অন্য কোন রুপে। বাট, এটা থাকবেই।
পোস্ট দেন, আলোচনা হোক। অপেক্ষায় আছি।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০১
অক্পটে বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। পড়া শেষ হলে মনে হলো লেখা ছোট হয়ে গেছে, আরো পড়তে ইচ্ছে করছিল। পৃথিবীর সমস্ত মানব কুলই মনেই এই আফিমটি খেয়ে থাকবে।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
সাসুম বলেছেন: আসলে, লিখতে ইচ্ছে হল কিছু একটা। কয়দিন ধরে, একটা বই রিভিশান দিচ্ছিলাম। সেটার ইফেক্ট বলতে পারেন। ছোট লিখি এর কারন, বড় লেখা পড়তে কস্ট। আমি নিজেও এড়িয়ে যাই। সো, আমার লেখাও হয়ত ব্লগার রা এড়িয়ে যাবে বড় হলে।
আর এমনি লিখতে ইচ্ছে হলে লিখি এই আর কি। স্পেশাল কিছুনা।
আফিম খেয়ে আছে- সেই ৬০০০ বছর আগ থেকেই। তবে, এইটা এমন এক আফিম যেটার মুক্তি নেই। একদম, শেষ দিন পর্যন্ত এটার নির্যাস এর নেশা হোমো সেপিয়েন্স কে তাড়া করবে।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর সমাজ গঠণে ধর্মের গুরুত্ব অপরিসীম।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
সাসুম বলেছেন: আসলে ঠিক নয় তথ্য টি, অন্তত এই আধুনিক যুগে এসে। যখন, বিশাল একটা সংখ্যার মানুষ কে এক করে রাখা দরকার ছিল- তখন একটা কমন মিথ এর দরকার ছিল তাদের কে পরিচালনা করার জন্য। এই যুগে এসে তথ্য প্রবাহ এর কারনে এসে ধর্মের সেই উপযোগীতা কমে গেছে। মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে, যত বেশি অজানা কে জানতে পারছে এবং যত বেশি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছে ততই ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
এবং, বর্তমান সভ্যতার উন্নত দেশ গুলোর দিকে আমরা দেখতে পাই- কোন্ দেশেই সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য ধর্মের কোন বাধ্যবাধকতা বা গুরুত্ব নেই বরং সু শিক্ষা আর জ্ঞান বিজ্ঞানের গুরুত্ব বেশি।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
অধীতি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনার উপস্থাপন ও উপমার প্রয়োগ যথেষ্ট প্রভাবিত করবে।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২২
সাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, তবে আমার এই উপমা বা উপস্থাপনা আসলে প্রভাবিত অন্য এক প্রিয় লেখক দ্বারা। উনার নাম- ইয়োভাল নোয়া হারারি।
উনার এত এত লিখা পড়েছি, উনার এই জিনিষ টা আমার খুব বেশি ভাল লাগে, চমৎকার সব উপমা দেন তিনি, সাথে হিউমার। হাহাহ,।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আইডি ঠিক আছে? কমেন্ট ব্যান-ট্যান খাইছেন নাকি?
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
সাসুম বলেছেন: হঠাত এমন মনে হবার কারন? আমি যেদিন ব্যান খামু, সেদিন ই লাস্ট আর ফিরে আসার পসিবিলিটি নাই
যেহেতু এখনো আছি , সো খাইনাই কোন ধরনের ব্যান ।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
রক্তহীন বলেছেন: ধরেন, এই মুহূর্ত থেকে ধর্ম বিলীন হয়ে গেছে তাহলে বিশ্বের পরিস্থিতি কিরকম হতে পারে ?
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫
সাসুম বলেছেন: একটা মারাত্মক অরাজকতা চলবে। আমরা মানুষ জাস্ট উন্নত পশু বাট তাদের থেকে আমাদের পার্থক্য হল- আমরা লোভী পশু।
কোন পশুই অন্য পশুর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে না জাস্ট সেক্স করার জন্য ( বেশিরভাগ পশুরা আনন্দের জন্য সেক্স করেনা ), কিংবা বেশির ভাগ পশু ও জাস্ট আনন্দের জন্য আরেক পশুকে খুন করেনা বা বেশি যায়গা নিজের করার জন্য খুন করেনা।
এই যায়গায়, হোমো সেপিয়েন্স এনিমাল টা এগিয়ে। এবং, হিউমান কে যে দুইটা জিনিষ এই চুড়ান্ত পশুত্ব থেকে দূরে রেখেছে এক হল- সরকার ও দুই হলো ধর্ম,
ধর্ম আমাদের কে শিখায়- যদি নিজেদের কে কন্ট্রোল করতে পারি তাহলে পরকালে প্রচুর নারী পাব সেক্স করতে আন লিমিটেড, প্রচুর যায়গা জমি পাব এবং প্রচুর বাগান ও ফল ফ্রুটস এর বাগান পাব আন লিমিটেড খাবার এর জন্য।
সো, যখন ধর্ম মুহুর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে, তখন মানুষের সামনে লোভ আর থাকবে না, ফলে তারা এই দুনিয়ায় সব আনন্দ ও সুখ পেতে ঝাপিয়ে পড়বে একে অপরের উপর, এবং কোন সরকার বা সিস্টেম এই মারাত্মক বুদ্ধি সম্পন্ন এনিমাল প্রজাতিকে রুখতে পারবেনা।
এক কথায়- টোটাল কলাপ্স অফ হিউমান সিভিলাইজেশান
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আরজ আলী মাতব্বরের কথা হয়ত আপনারা সবাই শুনেছেন।নাস্তিকদের খুব প্রিয় ব্যক্তি হচ্ছেন উনি। উনি উনার বইয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। উনি প্রশ্ন করেছেন যে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা যদি একজনই হন, তাহলে পৃথিবীতে এত ধর্ম কেন ? চারিদিকে এত ধর্মের ছড়াছড়ি কেন ?
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭
সাসুম বলেছেন: আরজ আলীর প্রশ্নের জবাব দিয়ে প্যারা মজিদ এক বই লিখেছে- আরজ আলী সমীপে। সেই বই পড়ে এখন পর্যন্ত আমার জানামতে অন্তত জনা দশেক নাস্তিক হয়ে গেছে মোসলমান থেকে।
আরজ আলির প্রশ্নের উত্তর খুজে পেলে সে তো আর ধার্মিক থাকবেনা, হয়ে যাবে মানুষ।
চারদিকে এত ধর্ম কারন- সবাই টুকটাক বিজনেস করতে চায়। বাজারে গেলে যেমন- অনেক ভাতের হোটেল দেখা যায়। সব হোটেলের আলাদা আলাদা টার্গেট ওডিয়েন্স আছে। ঠিক, তেমনি সব ধর্মের ও আলাদা আলাদা টার্গেট ওডিয়েন্স আছে।
৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের গ্রামে একটা পাগল ছিলো। সে হঠাৎ হঠাৎ মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো। কাকে গালাগালি করতো আমি জানি না। আমারও মাঝে মাঝে মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে গালাগালি করতে ইচ্ছা করে।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯
সাসুম বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে এমন ইচ্ছে করলে ফেসবুকে গালাগালি করি। গত ৫ বছরে গড়ে সাড়ে ৪ বছর ব্যান খেয়ে কাটাইছি। গত মাসে ডিজিটাল আইনে থ্রেট পাবার পর পারমানেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর ফেবুতে যাব না। এটাই শেষ।
৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: যে যত ঝুকেছে ধর্মের দিকে তার চিন্তাশক্তি , যুক্তি তত বেশীলোপ পেয়েছে।সমস্ত সমস্যার সমাধান খুজেছে পবিত্র গ্রন্থে ।ফলে মানসিক বিকাশের পরিবর্তে জন্ম নিয়েছে অন্ধত্বের।তাদের কাছে বিশ্বাসই মুখ্য এবং বিচার বুদ্ধি যুক্তি তর্ক গৌন।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪১
সাসুম বলেছেন: এটার সাথে সাথে মানুষ যত বেশি চ্চিন্তা করতে শিখেছে ততই কিন্তু ধর্মের গ্যাঁড়াকল থেকে বের হয়ে এসেছে। এবং যেহেতু মানুষের জন্ম হার এক্সপোনেনশিয়াল সো আরও অন্ধ মানব সন্তান নিয়েছে ধর্মের আফিম খেয়ে নেশা করতে। এটা একটা লুপ। একদম দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত চলবে।
একদিনে বিশ্বাসী আরেক দিকে যুক্তিবাদী। আমরা সবাই জানি- দিনশেষে কাদের জয় হবে। কিন্তু, পরাজিত একটা দল ও কিন্তু থাকবে একদম শেষ দিনেও। এটাই কিন্তু সত্য।
১০| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আমার লেখায় করা আপনার কমেন্ট তো ব্লগ টিম মুছে দিয়েছে, তাই ভাবলাম সাথে ফ্রি হিসেবে ব্যান-ট্যান কিছু দিলো নাকি আবার!
ধর্মে বিশ্বাস না করলে সেটা মিথ হয়ে যায়। প্রাচীন মিশরীয়, নর্স, রোমান, গ্রিক, প্যাগান ধর্মগুলো এখন মিথ হিসেবে রয়ে গেছে।
ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে। ধর্মে বিশ্বাস মানুষকে গপ্রগতিশীল করে, ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে, সমাজের উপকারে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু ধর্মীয় গোড়ামি আর ভুল ব্যাখ্যা হলে সেইটার প্রভাব ভয়াবহ। আর যদি ধর্মের সাথে বিজ্ঞান মিশিয়ে গেলানো হয়, তাহলে তো কথাই নাই.
এইসব টপিকে বেশি লেইখেন না। কে আবার ছুরি হাতে পিছনে লেগে যাবে. কি দরকার?
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬
সাসুম বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। আমি জাস্ট আমার একটা নতুন নিক পছন্দ হয়েছিল তাই সেটা দিয়ে একটা আইডি খোলার কথা জানিয়েছিলাম।
যাই হোক, ব্যাপার টা ইন্টারেস্টিং। মাথায় রইল। ভাল কথা জানিয়ে গেলেন।
এবার আলোচনাঃ
ধর্মের প্রয়োজন ছিল এক সময়। কিন্তু সেটা ফুরিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে । যখন, লাখো মানুষ কে এক সাথে একটা পিরামিড বানাতে এক্ত্র করতে হয়েছিল, তখন ধর্মের মিথ ছাড়া আর কিছুতেই তাদের কে সেই জীবন সংহারী কাজে রাজি করানো যেত না।
কিংবা, যখন সভ্যতার গোড়া পত্তন হল, তখন ধর্মের ভয় দেখিয়েই অশিক্ষিত মানুষ গুলোকে নিয়ন্ত্রনে রাখা গেছিল।
কিন্তু সভ্যতা যত উন্নত হবে, আস্তে আস্তে মানুষ যত সভ্য হবে আস্তে আস্তে সেই মিথ বা গল্প গাথার প্রয়োজন ফুরাবে। খেয়াল করে দেখবেন, আস্তে আস্তে কিন্তু সু শিক্ষিত ও উন্নত জাতিতে ধর্মের প্রভাব কমা শুরু করেছে এবং এই ট্রেন্ড ই চালু থাকবে।
বাট একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেনা কোন ভাবেই। কোন না কোন ফর্মে , অল্প হলেও বা বেশি হলেও মানুষের মাঝে টিকে থাকবেই ধর্ম। হয়ত আজকের প্রচলিত ধর্ম গুলোর রুপে না হয়ত বা অন্য কোন রূপে। বাট ধর্ম থাকবেই, কোন না কোন ভাবেই টিকে।
ছুরি হাতে লাগবে কিনা জানিনা। আপাতত চলছি এভাবেই। চলুক না হয় কদিন। দেখা যাক। ছুরি হাতে আসলে চুপ হয়ে যাব আর কি।
১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
এগারো বছরে এগারোতম পোস্টে অভিনন্দন আপনাকে। ১১ সংখ্যাটা আপনার জন্য আজকের এই দিনে, বিশেষ করে এই মুহূর্তে একটু অন্যরকমই। ১১ তম বছরে ১১ তম পোস্টের পাশাপাশি আপনাকে ব্লগে অনুসরণও করছেন ১১ জন ব্লগার। আপনিও অনুরূপ সংখ্যক অর্থাৎ, ১১ জনকেই ফলো করছেন। বেশ মজার! দেখে ভালোই লাগলো, তাই মন্তব্যে আপনাকেও জানিয়ে গেলাম ভালোলাগাটা।
পোস্ট করেছি: ১১টি
মন্তব্য করেছি: ৮০০টি
মন্তব্য পেয়েছি: ২৪৩টি
ব্লগ লিখেছি: ১১ বছর ৫ মাস
অনুসরণ করছি: ১১ জন
অনুসরণ করছে: ১১ জন
আর পোস্টের বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা পড়ার সুযোগ হয়নি। সময় নিয়ে পড়া সম্ভব হলে মতামত জানানোর ইচ্ছে থাকলো।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
সাসুম বলেছেন: ১১ তম বছর, ১১ জন ফলো করা ও আমার ১১ জন ফলোয়ার সব ঠিক আছে। কিন্তু পোস্ট ১১ টা না, কয়েক শ বা হাজার হবে। আমি দুই দিন পর পর পোস্ট ড্রাফট করে ফেলি ভাল না লাগ্লে। এটা সেই সব গুলা পুরান নিক এর জন্য প্রযোজ্য তেমনি এই নিকের জন্য। আপাতত খালি এই নিক টাই ইউজ করে সামুতে লগ ইন করি বেশ কয়েক বছর ধরে।
হাহাহা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মতামত জানাতে পারেন। আলোচনা করতেও পারি আপনার মতামত এর উপর।
১২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার এক বন্ধু ধর্ম ধর্ম করে শেষে বউয়ের কাছ থেকে তালাক খেয়েছে। বন্ধু কোনো কামকাজ করে না। বউ চাকরী করে। ভালো ইনকাম করে। গাধা বউয়ের টাকাতেই চলতো। এখন সে বিরাট বিপদে আছে। সিগারেট খাওয়ার টাকাও নাই। আমি মাঝে মাঝে এক প্যাকেট বেনসন কিনে দেই।
বউকে জোর করে বোরখা পরাতো। বউয়ের টাকার হিসাব চাইতো। বারবার বউকে বলতো- তোমার বেহেশত নির্ভর করে আমার উপর। আমি তোমার উপর নারাজ থাকলে তুমি বেহেশত পাবে না। আমিই তোমার ইহকাল, পরকার।
চিন্তা করে দেখুন। মেয়েটা শিক্ষিত। আধুনিক। শেষে দিয়ে দিয়েছে তালাক। ছাগলে এখন বলে তালাক আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে। এঁর মধ্যে নিশ্চয়ই ভালো কিছু আছে।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
সাসুম বলেছেন: হাহাহাহাহা। এদিকে আমার বউ আছে মহা আরামে। আমি কখনোই না ও করিনাই তার কোন কিছুতে জোর ও করিনাই।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেখি- মাথায় হিজাব দিয়ে চলাফেরা করে। করুক সমস্যা কি, তার যদি ভাল লাগে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। ধর্ম কর্ম ও করে। আমার তাতেও আপত্তি নেই। জোর ও নেই।
তার চাক্রির টাকা কই যায় আমি আজো জানিনা। জিজ্ঞেস ও করিনা, বরং আমার একাউন্ট এর এক্সেস ও তার কাছে। খালি দুই দিন পর পর আমি নোটিফিকেশান পাই এত টাকা নাই হয়ে গেছে। তবে, সব চেয়ে বড় কথা, আই ট্রাস্ট হার উইথ মাই লাইফ। এবং, সে এক পয়সাও অপ্রয়োজনে নস্ট করেনা, ইভেন দোকান থেকে এক বোতল পানি ও কিনে খায়না। সো, আমার সমস্যা নাই
খালি মাঝে মাঝে ক্যাচাল করে আমার লগে ধর্ম নিয়ে, তবে ২ কদম যাওয়ার পর বেচারি আর সুবিধা করতে না পেরে চুপ মেরে যায়।
আপনার বন্ধু গান্ডু তাই এই বিপদে পড়েছে। আরিফ আজাদ এর উথান, আপনার বন্ধুর মত আরো গান্ডু বানাবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ১। জানতে চাই
"আল্লাহ'র নাম কিভাবে এলো? পূর্ববর্তী কিতাবেতো ভিন্ন নামে ডাকা হতো। আমরা কেনো আল্লাহ বলি?"
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১২
সাসুম বলেছেন: সেমেটিক রাইটিং স্ক্রিপ্টে পাওয়া যায় ২ টা শব্দ ইল এবং এল, হিব্রু ভাষায় এলোয়া বলা হয়েছে প্রাচীন বাইবেলে গড কে।
আর এরাবিক শব্দতত্ত্ব বিদ রা আল - লাহ মানে গড বা বিধাতা হিসেবে লিখেছেন, সে হিসাবে আল্লাহ এসেছে বলে ধারনা করা হয়
১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ কোরআনে বলছে যে ডাকলে উত্তর দিতে পারেনা তাকে কেন ইবাদত করো ৷
আমি বলি আল্লাহ নিজেইতো কারো ডাকে কখনো সাড়া দেয়নি তাহলে আল্লাহকে ইবাদত করবো কেন?
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
সাসুম বলেছেন: ক্রিটিকাল কোশ্চেন, আরজ আলী টাইপ। এটা কে আপনি কিভাবে বিশ্লেষন করবেন সেটার উপর নির্ভর করবে আমি কেমন উত্তর পাব্বেন।
ধার্মিক দের কাছে এক রকম, ধর্ম অবিশ্বাসী দের কাছে আরেক রকম।
এ কারনে, সবচেয়ে বেটার হয় আরজ আলীর মত নিজে প্রশ্নের উত্তর খুজতে লেগে গেলে।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
সাসুম বলেছেন: যদি, ধার্মিক হোন- তাহলে উত্তর-
Allah hears your prayer and he will reply to you in his own way and in his chosen time.
যদি অধার্মিক হোক- তাহলে উত্তর-
সব ধর্মই সেইম কথা বলে, কোন ধর্মের গড রেই ডাকলে শুনা যায় না, গড এর সাথে শুধু বহু প্রাচীন কালের ধর্ম প্রচারক আর ধর্ম প্রণেতা দের যোগাযোগ হত, এই যুগে এসে গড বা আল্লাহ যোগাযোগের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আরিফ কে নবী ঘোষনা করা এখন সময়ের দাবী। দাবী না মানলে কাল থেকে লাগাতার হরতাল।
বয়ানে : শংসয়বাদী সিরাত
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২১
সাসুম বলেছেন: মজিদ বহু আগে থেকেই বাংগু মোসলমান দের নবী, আপনার হয়ত জানা নেই। এটা পুরান কথা, তবে নতুন দাবি করেছিলাম আমি বেশ কিছু দিন আগে। দেশে শরিয়া আইন কায়েম হলে- মিশর থেকে হিমালয় দেখা হুজুর হবেন পি এম আর মজিদ হবেন প্রেসিডেন্ট।
আর দেশের এই উন্নতির জন্য, রকমারির সোহাগ ভাইর নামে গুলিস্তানের মাজার টা নামকরন করতে হবে তখন। কারন, মজিদ এর উথানে, সোহাগ ভাইর অবদান অস্বীকার করবে এমন কেউ নাই।
১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: নুহের মহা প্লাবনে কয়েকটি প্রাণী যাদের নৌকায় তুলেছিল তারা বাদে সব প্রাণীই মারা গেল।
তাহলে এখন পৃথিবীতে এত প্রাণী এলো কিভাবে?
আচ্ছা নুহ নবী যেসব প্রাণী নৌকায় তুলেছিলো তার একটা তালিকা পাওয়া যাবে??
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
সাসুম বলেছেন: নূহের নৌকায় সকল প্রানীকে তোলা হয়েছিল এক জোড়া করে (পোলা + মাইয়া )। পাপীরা ডুবে মরুক সমস্যা নাই, তবে বাকী নিরীহ পশু পাখি গুলো কি দোষ করল সেটা অবশ্য জানা যায় নায়।
আর গল্পের গরু যেহেতু আকাশে উড়তে পারে, সো দুনিয়ায় কত প্রাণি ছিল বা এত বড় বড় প্রানী কি করে সে নৌকায় যায়গা পেল এসব আমাকে জিজ্ঞেস করতে আসবেন না প্লিচ। আমার জানাশোনা কম।
তবে আধুনিক কিছু রিসার্সে জানা যায়- মোট ১৫০০ কাইন্ড অফ ল্যান্ড এনিমাল আর বার্ড যায়গা পেয়েছিল এবং যাদের মোট সংখ্যা ছিল ৭০০০। তবে এতে কোন মাছ যায়গা পায় নি।
আর কাইন্ড অফ এনিমাল বলতে ফ্যামিলি বুঝায়- মানে কুকুর বললে জাস্ট একটা পুরুষ আর একটা মেয়ে কুকুর। একটা ল্যাব্রাডার আরেকটা ডাল্মেশিয়ান হলেও সমস্যা নাই, জাস্ট একই ফ্যামিলির মধ্যে ইন্টার ব্রিডিং করতে পারলেই হল।
১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আপনি তো ব্লগটিমের নজরের ভেতরেই আছেন! কখনো আপনার পোষ্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, কখনো মন্তব্য মুছে দেয়া হয়। আবার এই লেখা এখন নির্বাচিত পাতাতেও গিয়েছে। অভিনন্দন।
এটাই ভালো, অত্যাধিক প্রশ্রয়ে বা কুনজরে নাই বুঝলাম।
ইভ্যালী আর রাসেলকে নিয়ে লিখলে মনে হয় প্রথম পাতায় পোষ্ট থাকবে না। কারন বিতর্কিত টপিক, আর আপনার দেয়া বিশেষন।
আপনি তো লেখেন ভালো, চীনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা সিরিজ লেইখেন।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
সাসুম বলেছেন: নির্বাচিত পাতায় গিয়েছে হয়ত ব্লগ টিমের মনে হয়েছে পোস্ট যেতে পারে। যাক, আলোচনার জন্য সুবিধা।
ইভেলির রাসেল আর তাদের বাটপারি নিয়ে লিখে আমি মোটামুটি পুরা বাংলাদেশের গন শত্রুতে পরিণত হয়েছি। যাই হোক।
আমার ভ্রমন কাহিনী নিয়ে লিখার আগ্রহ কম।
আমি পছন্দের বিষয় বিজনেস, স্টার্টাপ, ই কমার্স। এগুলা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ বেশি।
বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে আমার প্যাশান আছে, কারন এক আমি ছোট খাট বিজ্ঞানী, দুই আমি ধর্ম ও এর এফেক্ট নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি।
ও হ্যা, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার আগ্রহ আছে, কারন আমার বাচ্চাকে আমি কিভাবে বড় করতে চাই এটা নিয়ে গত ২ বছর ধরে দুনিয়ার সব উন্নত দেশ গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর পড়ালেখা করেছি।
এই কারনে, ঘুরে ফিরে এই সব টপিকেই লিখি আর কি
১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
আমি রানা বলেছেন: ধর্ম মানেত ধারন করা। একজন মানুষ যে বিষয়টা মানুষিক ভাবে ধারন করে তাইত ধর্ম। তাই নয় কি? একটা বিষয় খেয়াল করবেন ,একটি ধর্মের মাঝেও অনেকগুলো ভাগ রয়েছে। আর তারা তাদের ধর্মেরই এক দলের লোককে অন্যদল ভূল ও ভন্ড বলে প্রমাণ করতে যুক্তি দেয়। তাছাড়া প্রত্যেকটা প্রাণী, বস্তু, অবস্তুর, অনু, পরমাণুর আলাদা ও সতন্ত্র ধর্ম/ বৈশিষ্ট আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়েছি। সুতরাং মানুষের ধর্মই সে যেকোন একটা মতবাদে বিশ্বাসী হবে। এর এই মতবাদকে আমরা আলাদা করে ধর্ম বলে থাকি।
লেখক বলেছেন--কোন পশুই অন্য পশুর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে না জাস্ট সেক্স করার জন্য ( বেশিরভাগ পশুরা আনন্দের জন্য সেক্স করেনা )
ভাই জালিয়াতি সব জাইগাতেই রয়েছে। ( আমি পড়েছি যানিনা কতটুকু সত্য ) একটি পুরুষ মোরগ এমনভাবে আওয়াজ করে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে যে অন্যান্য মুরগীরা ছুটে আসে। এরপর মোরগটা তাদের খাবারের পরিবর্তে যৌনকার্যে বাধ্য করে।
যেহেতু আপনি বলেন মানুষ শুধু মাত্রই পশু সুতরাং মানুষের মাঝে যে সকল অরাজকতা রয়েছে তা অন্যান্য পশুদের মাঝে থাকাও স্বাভাবিক, তাইনা ?
লেখক বলেছেন--ধর্মের প্রয়োজন ছিল এক সময়। কিন্তু সেটা ফুরিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে । কথাটা পছন্দ হয়েছে।
লেখক বলেছেন--এই যায়গায়, হোমো সেপিয়েন্স এনিমাল টা এগিয়ে। এবং, হিউমান কে যে দুইটা জিনিষ এই চুড়ান্ত পশুত্ব থেকে দূরে রেখেছে এক হল- সরকার ও দুই হলো ধর্ম, ভাই এক হচ্ছে বিবেক আর দুইয়ে সরকার মানলাম। যারা ধর্ম মানে না তারা কি পথে-ঘাটে পশুত্ব দেখিয়ে বেড়াই ??
সব মিলিয়ে লিখাটা ভালো লেগেছে।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬
সাসুম বলেছেন: প্রানী বস্তু অনু পরমানুর ধর্ম আর মানুষের ধর্মে তফাত আছে। মানুষ ইউনিক স্পিসিস, তাদের সেই বৈশিষ্ঠ্য পূর্ন ধর্মও আলাদা।
পশু পাখি আনন্দের জন্য বা প্লেজার এর জন্য সেক্স করেনা, আপনার মোরগ ও আওয়াজ করে মুরগি দের কে কাছে আনানোর জন্য কারন তাকে প্রজনন করতেই হবে তার ফিউচার অফস্প্রিং এর ধারা বজাইয় রাখার জন্য। তবে ব্যাতিক্রম আছে, সেই জন্য আমি বেশিরভাগ উল্লেখ করেছি। এক ধরনের ওরাং ওটাং ও বেবুন পাওয়া যায় যারা তাদের ফিমেল পার্টনার রা প্রেগ্নেন্ট এবং বাচ্চা হবার পর আবার প্রেগ্নেন্ট হতে পারার আগের মুহুর্তেও সেক্স করে । এখন বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে কাজ করছেন- এটা কি শুধু প্লেজার এর জন্য নাকি এই মুহুর্তে সেক্স করলে বাচ্চা হবার পসিবিলিটি নাই এটা বুঝার অজ্ঞতার জন্য।
যারা ধর্ম মানে না, তারা বেশির ভাগ প্রচুর পড়ালেখা করে এবং ধর্মের বিরোধী কাজ কর্ম বুঝেই ধর্ম কে বাদ করে তাদের জীবন থেকে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে তারা কি পথে ঘাটে পশুত্ব দেখিয়ে বেড়াবে বা বেড়ায়? না। কারনঃ ২ টা। ১ঃ তাদের বিবেক। তারা জ্ঞানী, পড়ালেখা করেছে এবং কোন টা ভাল কোন টা সঠিক এই বোধ আছে। নাম্বার ২ঃ বিচার বা সরকার সিস্টেম। মাইরের ভয় সবার আছে। ধার্মিক রা ডরায় পরকালের আর নাস্তিক রা ডরায় ইহকালের পুলিশের।
আর কারনে রাস্তা ঘাটে ঝাপিয়ে পরেনা বা পশুত্ব দেখায় না। আশা করি বুঝাতে পেরেছি
১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জুডাইজম ও হিন্দুইজম প্রচার করা হয় না, কাউকে এই ধর্মে আনার চেষ্টা বন্ধ।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০
সাসুম বলেছেন: জুডিজমে কনভার্ট করে আসা যায়। হিন্দুইজম প্রচার করা হয় কনভার্সান এর জন্য না। বরং তাদের প্রচার হয় ধরে রাখার জন্য। ফিউচার জেনারেশান যাতে ভুলে না যায়।
২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: ধর্ম প্রচারে আসলে আমি কোন সমস্যা দেখি । কিন্তু সমস্যা তখনই সৃষ্টি হয় যখন সেটা কেবল প্রচারে সীমাবদ্ধ না থাকে, যখন ধর্ম পালনে জোর জবরদস্তি আগমন ঘটে । কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটাই ঘটে এসেছে দিনের পর দিন ।
আমি এমন একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে মানুষকে কখনই ধর্ম পালনে বাধ্য করা হবে না, একজন মানুষ ধর্ম পালন করবে কি করবে সেইটা নিয়ে তাকে বিচার করা হবে, তাকে ধর্ম ত্যাগ, গ্রহম কিংবা অন্য ধর্মে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভয় ভীতি কিংবা তৃরস্কার সম্মুখীন হতে হবা না ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
সাসুম বলেছেন: গাঞ্জা যতদিন আছে, নেশা করার লোক ও ততদিন থাকবে। এই কারনে- প্রচার আর প্রসারে সমস্যা। ধর- ইস্লামেই বলা আছে- আগে দাওয়াত দাও শান্তি মত, এরপর দ্বীনের পথে না আসলে- তলোয়ারের মাধ্যমে নিয়ে আসো।
এখানে সমস্যা দেখোস না কোন যায়গায়? তাইলে তুই নিজেই তো মজিদ দের দলে যোগ দিলি।
তোর স্বপ্ন দেখা পৃথিবী বিনির্মান অল্রেডি শুরু হয়ে গেছে এবং চালু আছে উন্নত দেশ গুলাতে। শুধু অশিক্ষিত আর কি শিক্ষিত গরীব চোর ডাকাত দেশ গুলাতে ধর্মের আফিম এর বিজনেস চালু আছে বেশ করে।
২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: যে হারে মানুষ ধর্মথেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াশুরু করছে আর বড় জোড় পাছশো বছর টিকে থাকবে ধর্ম ।একমাত্র ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মগুলো খুব একটা পালিত হয় না।ধর্মে বিশ্বাস থাকলেও ধর্ম পালন করেনা বেশির ভাগ মানুষ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৯
সাসুম বলেছেন: টিকে থাকবে কারন এটা আমারে সাইকোলজিকাল ভাবে মাথায় ও ব্রেণে গেছে আছে। জিন বা ডী এন এ কোডিং এ নেই যদিও।
বাট, দুনিয়ার সকল মানুষ একদিনেই জ্ঞানী হয়ে যাবেনা সো, ধর্ম বিজনেস ও চালু থাকবে। ঢিমে তালে আলর নীচে অন্ধকার ছায়া হয়ে।
২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১০
খোলা জানালা। বলেছেন: সমাজের ভালো দেখতে চাইলে ধর্মের গুরুত্ব অপরিসীম।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৫
সাসুম বলেছেন: উন্নত বিশ্ব ও উন্নত সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা তো সেটা দেখতে পাইনা! উন্নত সভ্যতা ও দেশ গুলো কে ধর্ম কে আলাদা রেখে- তাদের জনগন ও সমাজ কে উন্নত ও সভ্য করে তুলেছে। সে দেশ গুলার সমাজের ভালো দেখতে তো ধর্ম লাগে নাই।
কিন্তু যেসব দেশ সমাজে ধর্ম এপ্লাই করেছে তারা সবাই বিপাকে- যেমন আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, ইয়েমেন, সৌদি আরব, সকল আরব দেশ!
সো, এ থেকে ক্লিয়ারলি প্রমানিত! সমাজের ভাল দেখতে চাইলে- ধর্ম দরকার নেই!
২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪২
খোলা জানালা। বলেছেন: ধর্ম ছাড়া সুখ নেই। শান্তি নেই। আপনি অগাথ টাকার মালিক হবেন কিন্তু সুখের সংগা সুখের দিক নির্দেশনা সুখের পথ খুজে পাবেন না।
প্রকৃত সুখতো সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাঝে। যেখানে সকলে মিলে একটা ঐক্য গড়ে আল্লাহর হুকুম মেনে চলার মাঝে। ইসলাম কি বলে, পরের কারণে স্বার্থ দিয়ে বলি এ জীবন মন সকলি দাও তার মত সুখ কোথাও কি আছে আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
এমন মন মানসিকতা যার মাঝে আছে সেই আল্লাহ প্রদত্ত প্রকৃত সুখি।
সুখ আসলে দেখার কিছু নয়, সুখ অনুভবের আর প্রক্রিত সুখ দেন তিনি যিনি কেবল সুখ দুঃখের প্রবর্তক, ধারক, বাহক। আমরা কেবল ভালো কিছু প্রকাশের মাধ্যমে তার কিছুটা উপভোগ করিতে পারি।
আপনি মুসলিম কান্ট্রি বাদে যে দেশেই যাননা কেনো। হয়তো টাকা পাবেন বাট আপনার চোখের শান্তির ঘুম বিনষ্ট হয়ে যাবে। যদি আপনি ঈশ্বর কে জানেন এবং মানেন।
যারা জানেইনা প্রভু কে যারা মানেইনা সমাজের সামাজিকতা। যারা অসামাজিক কাজের মাঝেই নিজেকে পরিচিত করে বড় হয় তার কাছে সেটাই তার সুখ। কিন্ত প্রকৃত সুখটা যে কোনটা তা তারা যেদিন ঈমানের পথে আসবে, ইসলামের পথে আসবে সেদিন বুঝবে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
সাসুম বলেছেন: ভাই! ইসলাম বাদেও ৪৩০০ রিলিজিওন এর লোক আছে যারা তাদের ধর্ম কেই সেরা বলে। আপনি খালি আপনার চোখে দেখলে তো হবেনা! আপনার চোখে সুখ আর শান্তি আফগানিস্তানের শরীয়া আইন বা পাকিস্তানের সামরিক আইন বা ভারতের হিন্দুয়ানী আইন হতে পারে- কিন্তু সভ্য সমাজের চোখে তা নয়।
আপনাকে সভ্য সমাজের কথা বলছেন- সমাজ ও সভ্যতা আজকে এই যায়গায় আসার পথে ধর্মের গুরুত্ব ছিল। কিন্তু, বর্তমান সভ্যতার অগ্রগতি ও সভ্যতার উন্নতির সাথে এই যুগে এসে ধর্ম অবসোলিউট।
আমার এই পোস্ট এর মানে ছিল- ধর্ম টিকে থাকবে কি থাকবেনা। ইসলাম সেরা কি সেরা না, ইসলাম নাকি হিন্দু নাকি ইহুদি ধর্ম সেরা ও আসল সেটা না।
২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে যা জানা গেলো-
সব ধর্মের হিসাবে মৃত্যুর পরেও আরেকটা জীবন আছে সেখানে সবাই যার যার কর্মফল হিসাবে সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করবে। যেমনটা এ দুনিায়তে মানুষ তার নিজ নিজ দক্ষতা-যোগ্যতা- অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সম্মান-মর্যাদা-পারিশ্রমিক লাভ করে ঠিক তেমনি মৃত্যুর পরের জীবনে সবাই তার কর্ম অনুযায়ী ফল লাভ করবে।
দুনিয়া সৃষ্টির সময় ধর্ম ছিল না। ধর্ম অনেক পরে এসেছে। বিজ্ঞান বলে পরজন্ম বলে কিছু নাই। একবার হার্ট থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন অফ হলেই শেষ। আর আত্মা বলেও কোন কিছু আছে বলে এখনো প্রমান হয় নাই। মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে, যত বেশি অজানা কে জানতে পারছে এবং যত বেশি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছে ততই ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বর্তমান সভ্যতার উন্নত দেশ গুলোর দিকে আমরা দেখতে পাই- কোন্ দেশেই সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য ধর্মের কোন বাধ্যবাধকতা বা গুরুত্ব নেই বরং সু শিক্ষা আর জ্ঞান বিজ্ঞানের গুরুত্ব বেশি।
চারদিকে এত ধর্ম কারন- সবাই টুকটাক বিজনেস করতে চায়। বাজারে গেলে যেমন- অনেক ভাতের হোটেল দেখা যায়। সব হোটেলের আলাদা আলাদা টার্গেট ওডিয়েন্স আছে। ঠিক, তেমনি সব ধর্মের ও আলাদা আলাদা টার্গেট ওডিয়েন্স আছে। অনেকে বলেন, আমার কাছে আগে আল্লাহ ও রাসূল। যে বাবা মা তাকে দুনিয়াতে এনেছেন তাঁরা আগে না। নিজের সন্তানও আগে না। ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে। ধর্মে বিশ্বাস মানুষকে গপ্রগতিশীল করে, ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে, সমাজের উপকারে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু ধর্মীয় গোড়ামি আর ভুল ব্যাখ্যা হলে সেইটার প্রভাব ভয়াবহ।
আমাদের গ্রামে একটা পাগল ছিলো। সে হঠাৎ হঠাৎ মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো। কাকে গালাগালি করতো আমি জানি না। আমারও মাঝে মাঝে মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে গালাগালি করতে ইচ্ছা করে। যে যত ঝুকেছে ধর্মের দিকে তার চিন্তাশক্তি , যুক্তি তত বেশীলোপ পেয়েছে।সমস্ত সমস্যার সমাধান খুজেছে পবিত্র গ্রন্থে ।ফলে মানসিক বিকাশের পরিবর্তে জন্ম নিয়েছে অন্ধত্বের।তাদের কাছে বিশ্বাসই মুখ্য এবং বিচার বুদ্ধি যুক্তি তর্ক গৌন।
ধর্মের প্রয়োজন ছিল এক সময়। কিন্তু সেটা ফুরিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। যখন, লাখো মানুষ কে এক সাথে একটা পিরামিড বানাতে এক্ত্র করতে হয়েছিল, তখন ধর্মের মিথ ছাড়া আর কিছুতেই তাদের কে সেই জীবন সংহারী কাজে রাজি করানো যেত না।
কিংবা, যখন সভ্যতার গোড়া পত্তন হল, তখন ধর্মের ভয় দেখিয়েই অশিক্ষিত মানুষ গুলোকে নিয়ন্ত্রনে রাখা গেছিল। সভ্যতা যত উন্নত হবে, আস্তে আস্তে মানুষ যত সভ্য হবে আস্তে আস্তে সেই মিথ বা গল্প গাথার প্রয়োজন ফুরাবে। আরিফ আজাদ এর উত্থান অনেক গান্ডু বানাবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩১
সাসুম বলেছেন: আপনি দেখি সামারি বানিয়ে ফেলেছেন। হাহাহা। আজকে মজিদ এর প্রভাব নিয়ে আরেক টা পোস্ট করেছি। দেখে আইসেন টাইম পেলে। চিন্তার খোরাক পাবেন, আমাদের মজিদ রা কোথেকে আর কি নিয়ে লাফায়।
২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম কে তারাই কায়েম করতে চায় যাদের ধর্ম প্রচারের আড়ালে রাজনৈতিক কুচিন্তা ও রাস্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বাসনা আছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
সাসুম বলেছেন: এটা একটা দিক মাত্র, বাট বেশির ভাগ ধর্মেই কিন্তু জোর করে কায়েম করানোর কথা উল্লেখ আছে, নির্দেশ ও আছে। কারন- ধর্ম প্রণেতারা জানেন- কায়েম না করলে ধর্ম তো টিকে থাকবেনা। কারন- এটা এমন কোন জিনিষ টা যেটা আমাদের এক্সিস্টেন্স এর জন্য লাগবেই। এই কারনে কায়েম করার দিকে জোর বেশি।
২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৫
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: পোষ্ট আর মন্তব্য পড়ে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। থেংস রাজীব নূর ভাইকে যিনি প্রশ্ন করে আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত অনেক তথ্য আরোহন করেছেন পাঠকের জন্য।
ধর্ম বিশ্বাস পৃথিবী থেকে কখনো বিলিন হবে বলে মনে হয় না। আমি সৃষ্টায় বিশ্বাসী মানুষ তবে গোড়া নই। এই মহাবিশ্ব কোন সৃষ্টা ছাড়া এমনি এমনি সৃষ্টি হয়েছে তার কোন আকট্য প্রমান বোধ করি বিজ্ঞানে এখনো নেই, ভবিষ্যতে থাকবে কিনা তা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখা যায়।
বিভিন্ন ধর্মের অস্বাভাবিক অলৈালিক ঘটনার বর্ননা মনে হাজারো প্রশ্ন বর্ষিত হয়। ধর্ম বলে অন্ধের মতো যাষ্ট বিশ্বাস করো, কিন্তু মানুষের মন বলে তো একটা কথা আছে, সে তো ঘটনার সত্যতার উত্তর প্রত্যাশা করে।
পরকালের লোভনীয় অফার কিংবা অপরাধের শাস্তি বর্ননায় ধর্মগুলো সমাজকে যুগ যুগ ধরে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে অনেকটাই, যদিও কতিপয় উগ্র ধর্মের দোহাই দিয়ে রক্তের হলি খেলেছে যুগে যুগে (সাম্প্রতিক সময়ে-মায়ানমার যা করলো)।
শেষোক্তে, পৃথিবীতে ধর্ম থাক বা না থাক ভালো মানুষ যেন থাকে এই প্রত্যাশা করি...
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১২
সাসুম বলেছেন: আপনার মনের যে প্রশ্নঃ এই মহাবিশ্ব কি কোন কিছু ছাড়া এমনি সৃষ্টি হয়েছে নাকি কেউ একজন আমাদের কে সবচেয়ে বুদ্ধিমান করে ক্রিয়েট করেছেন, এটার জন্য আমার আজকের পোস্ট টা পড়তে পারেন। মানুষ কি স্রষ্টার সৃষ্টি নাকি ন্যাচারাল সিলেকশান ?
ধর্ম বিশ্বাস বিলীন হবেনা, তবে ধর্ম কে কেন্দ্র করে চলা অরাজকতা বিলীন হবে, ধর্মের নামে কল্লা ফেলে দেয়া অফ হবে আস্তে আস্তে শিক্ষা আর জ্ঞান এর উন্নতির সাথে সাথে।
আর অলৌকিক জিনিষ খালি ধর্ম গ্রন্থে আর ধর্ম প্রণেতা রা দেখতে পেতেন, অথচ এত গুলা ধর্মের বিশ্বাসী কোন মানুষ জন তাদের ইহকালে এই অলৌকিক জিনিষ গুলার দেখা পায় না। অবাক করা কান্ড।
সভ্যতার বিকাশ ও নিয়ন্ত্রন এর জন্য ধর্মের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবেনা। তবে সভ্যতার ধ্বংসের জন্য ও তাদের হাত আছে। ধর্ম অনেকটা দুইধারী তলোয়ারের মত। আসতেও কাটে , যেতেও কাটে।
২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেকক্ষণ ধরে পড়লাম। মন্তব্য করতে হলে আরো পড়তে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাসুম ভাই, ধর্ম ছিল -আছে থাকবে। দুনিয়া সৃষ্টির প্রথম থেকেই ধর্মের শুরু এবং এর ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত ধর্ম ও ধর্মের প্রভাব মানুষের জীবনে থাকবে।
সব ধর্মের হিসাবে মৃত্যুর পরেও আরেকটা জীবন আছে সেখানে সবাই যার যার কর্মফল হিসাবে সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করবে। যেমনটা এ দুনিায়তে মানুষ তার নিজ নিজ দক্ষতা-যোগ্যতা- অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সম্মান-মর্যাদা-পারিশ্রমিক লাভ করে ঠিক তেমনি মৃত্যুর পরের জীবনে সবাই তার কর্ম অনুযায়ী ফল লাভ করবে।
আর পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজকে দেখি আমার সেই (ধর্ম সম্পর্কিত) পোস্টটি দিতে ।আগাম আমন্ত্রণ রইল।