নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মশিউর রহমান মিঠু

মরমি

মশিউর রহমান মিঠু।জীবনচিত্র নিয়ে চিন্তাভাবনা করি,গান লেখি, একদিন গান/সুর শুনতে না পারলে অস্থিরবোধ করি। কবিতা লিখি। কয়েকটা কবিতা একটা বই এর মধ্যে রাখছি Link : http://www.somewhereinblog.net/blog/mashiurmithublog/29706192/invite বইটা ভাষাচিত্র প্রকাশনীতে আছে। ফিচার টাইপ লেখাও লিখি Link : http://www.4shared.com/office/QPnWG0St/Notun_Mudrai_Tumi.html আরো কিছু http://www.4shared.com/office/Rk8YQb0S/bijoy_1993.html http://mindkites.blogspot.com/,http://mashiurmithu.wordpress.com http://www.facebook.com/mithulalon, http://twitter.com/mithulalon https://plus.google.com/u/0/+MashiurRahmanMithu/posts http://mashiurmithu.wordpress.com http://mindkites.blogspot.com/ জগতের সকল বিষয়ে পড়ায় আগ্রহ। গল্প উপন্যাস পড়ি, মনচাইলে গল্প লিখে রাখি। সক্রেটিস-লালন শাহ,-আরজ আলী মাতুব্বর আমাকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করেন। সাদাকে সাদা,কালোকে কালো বলতে ভালো লাগে।।

মরমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা আমার অধিকার

০৫ ই মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

শিক্ষা আমার অধিকার

..............................................................

শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার। একটি দক্ষ, মর্যাদাবান ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অর্জন আছে অনেক। কিন্তু বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম ও মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনের মত শিক্ষা আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের যথাযথ দায়িত্ব পালন না করা এবং প্রান্তিক মানুষেরা দারিদ্র্যের রাহুচক্রে আবদ্ধ হওয়ার ফলে শিক্ষার অধিকার লংঘিত হচ্ছে। শিক্ষার কাঙ্খিত মান অর্জিত হচ্ছে না। আমাদের সামনে রয়েছে সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা: ২০১৫ সালের মধ্যে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশে গবেষণা হচ্ছে অনেক; এ নিয়ে আগ্রহ উদ্দীপনার কমতি নেই। অংশভাগী জনসমাজকে সাথে নিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সমস্যার প্রকৃতি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে আমাদের সরকারকে।



গুনগত মানসম্মত শিক্ষাঃ শুধু মৌলিক শিক্ষা অর্জন করলেই চলেনা। সেটি গুনগত মানসম্পন্ন না হলে মৌলিক শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে বাধ্য। মানসম্মত শিক্ষা হলো সে শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে শিক্ষার্থীকে সময়মত তার পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণসহ শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। শিক্ষা যদি মানসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করা না যায় তাহলে অর্জিত শিক্ষা যেমন স্থিতিশীল হতে পারে না তেমনি জীবনব্যপি দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রেও ঘাটতি থেকে যায়। কাজেই বর্তমানে মানসম্মত শিক্ষার ধারণাটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। “সবার জন্য শিক্ষা”ও “শিক্ষার সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য” বলতে গুনগত মানসম্মত শিক্ষাকে বোঝানো হয়ে থাকে।



শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ঃ আমাদের জনগোষ্ঠির বিরাট অংশই শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শিশুদের কেউ কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। অনেক গ্রামে স্কুল নেই। প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের বিদ্যালয়ে অর্ন্তভুক্তির হার ৮২.৭ শতাংশ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ হার ৬৫ শতাংশ। যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় তাদের বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ পায় না, শিক্ষকের স্বল্পতার কারণে বিদ্যালয়ে ঠিকমত ক্লাস করতে পারেনা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও শিক্ষা উপযোগী পরিবেশের অভাবে শিশুরা বাড়িতে পড়ালেখা করতে পারেনা। আমাদের দেশের অধিকাংশ দরিদ্র ও নিরক্ষর অভিভাবকদের কথা বিবেচনায় রেখে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক ও আকর্ষনীয় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তীব্র বর্ষায় স্কুলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। আবার অনেক শিশু বিশেষ মৌসুমে দরিদ্র পরিবারকে আয়মূলক কাজে সাহায্য করে। এসব সমস্যার কথা বিবেচনায় রেখে স্থানীয় পর্যায়ে স্কুল সময়সূচী নির্ধারিত হয়নি। ফলে যারা সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে পারে তাদের হার মাত্র ৬৭ শতাংশ।



শিক্ষার সংবিধান স্বীকৃত অধিকারঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও গরীব শিশুরা বঞ্চনার শিকার হয়। এর মধ্যে মেয়ে শিশুরা আবার বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বেশি। রাষ্ট্রের উচ্চ থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরে শিক্ষার অধিকার লংঘিত হচ্ছে। অধিকার লংঘিত হচ্ছে দু’ভাবে। একটি হলো দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তাদের করণীয় যথাযথভাবে সম্পন্ন না করে বা করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। অপরটি হলো অধিকারভোগিরা যদি তাদের অধিকারের দাবী না তোলে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বাধ্যবাধকতা অনুসরণে ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা ( বাধ্যতামূলক) আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগে ও ১৯৯৩ সালে সারা দেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচী চালু করা হয়। এ আইনে ইউনিয়ন ও পৌর সভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে যারা এলাকার শিশুদের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে আগমন নিশ্চিত করবেন। এ আইনে শিশুকে বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এ জন্য পিতা-মাতা বা অভিভাবক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দায়ী হবেন। এছাড়া শিশুর বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে এমন কোন কাজে শিশুকে নিয়োগ করলে সেটিও আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এজন্য নিয়োগকারী দায়ী হবেন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণায় স্পস্ট ভাষায় বলা হয়েছে,“প্রত্যেক মানুষের শিক্ষার অধিকার রয়েছে।” জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এ ঘোষণার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে এটি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে।



যা করা দরকারঃ সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকল শিশু যাতে মানসম্মতভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের কথা বিবেচনায় রেখে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এ লক্ষ্যে প্রথমে দৃষ্টি দেওয়া দরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র বা পিআরএসপি’র দিকে; এতে বলা হয়েছে দারিদ্র্যর রাহুগ্রাসমুক্ত করে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা কর্মসূচীকে অবিলম্বে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে স্কুল শিশুদের দুপুরের খাবার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা দরকার। এ ছাড়া আরো যা করা দরকারঃ

• বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় ভিত্তিতে বিদ্যালয় সময়সূচী নির্ধারণ করা

• সকলের প্রবেশাধিকার, স্কুলে টিকে থাকা এবং বিষয়গত ধারনা অর্জনের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকতে হবে

• শিশু, তরুন ও প্রাপ্ত বয়স্কদের শিখন চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা

• একটি প্রযুক্তি নির্ভর ও জ্ঞান ভিত্তিক শিখন সহায়ক সামাজিক পরিবেশ তৈরী করা।

• মৌলিক শিক্ষার আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারায় কোন রকম বৈষম্য ছাড়া কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা

• শিশুদের জন্য প্রাক-শৈশবকালীন যতœ ও শিক্ষা বিষয়ে সুসংগঠিত, সমন্বিত কর্মসূচী নেয়া

• সকল প্রাথমিক শিক্ষা উপযোগী বয়সের শিশু বিশেষ করে মেয়েশিশু, প্রতিবন্ধীশিশু সহ সংখ্যা লঘু জাতি-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তাদেরকে মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সক্ষম করে তোলা

• তরুন ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যথাযথ শিখন কর্মসুচী প্রনয়ন করা এবং সকলের অংশগ্রহণ ও সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করা

• বয়স্ক সাক্ষরতার হার বাড়ানো

• মৌলিক শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে সর্বজন স্বীকৃত ও পরিমাপযোগ্য শিখন ফলাফল নিশ্চিত করা

• মৌলিক শিক্ষার আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক ধারার মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন: ভাল পোস্ট। আমার মনে হয় ফোকাস গ্রুপে একটা রাখতে হবে। সেটা হল, সব রসাতলে গেলেও বাংলাদেশের সব ইউনিভার্রসিটি লেভেলের লেখা পড়া যেন স্ট্রিকলি আন্তর্জাতিক মানের হয়।

২| ০৬ ই মে, ২০০৭ সকাল ৯:১৪

মুকুল বলেছেন: ভালো পোস্ট। আমার বক্তব্য হলো, শিক্ষা ক্ষেত্রেই আমাদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

৩| ০৬ ই মে, ২০০৭ সকাল ৯:৪৬

মাহমুদ রহমান বলেছেন: ভেরি গুড পোস্ট। যদি অনুমতি দেন তো এড করি......

১.শিক্ষাকেন্দ্রকে বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা। ছোটবেলায় আমরা যেমন খেলার সময় আসার জন্য অপেক্ষা করতাম, তেমনি ....

২. শিক্ষক মানেই হাতে ছড়ি থাকা বদ মেজাজি অথচ সম্মানী- এই ধারণার পরিবর্তন করতে হবে। ছড়ি দিয়ে নয়, ব্যক্তিত্ব দিয়ে ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করবেন।

৩. একজন ব্যক্তির পক্ষে তার অধীনে থাকা সকল কিছুর পরিবর্তন করা সম্ভব। অনেক কিছু করার আগে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে সবার আগে।

৪| ০৯ ই মে, ২০০৭ দুপুর ১২:২৭

নুরুল আলম মাসুদ বলেছেন: ভালো পোস্ট। বিষয়টি আরো গুরুত্বের দাবী রাখে। ৫ দিলাম।

৫| ১৩ ই মে, ২০০৭ রাত ৯:৪৩

মরমি বলেছেন: জনাব মাহমুদ রহমান,নিঃসেন্ধেহে যোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.