নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁটছি মুহুর্তের জমাটবাধা ঠান্ডা বরফের মহাসাগরের বুকে, সময়ের সাথে এক অভিযাত্রী হয়ে। তবুও কোথাও যেন স্থির হয়ে আছি, থেমে আছি। জমাট বরফের ওপর প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হয় যেন সময়ের স্তব্ধতাকে ভেঙে এগিয়ে চলেছি। এগোচ্ছি, নাকি সময়ই আমাকে ফেলে উল্টো দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - একধরনের বিভ্রান্তি কাজ করে।! উত্তরের আকাশে সূর্যের আলো ঝাপসা, ধোঁয়াটে কুয়াশার পর্দায় ঢাকা। বরফের ফাটলে জমে থাকা নীল জলে সেই ধোঁয়াটে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় অতীতের স্মৃতিগুলোর মতোই , যা কখনোই পুরোপুরি স্পষ্ট হয় না, ধোঁয়ার মতো আবছা রয়ে যায়।
মহাসাগরের বরফের নিচে লুকিয়ে থাকা জমাট বাঁধা ঢেউয়ের মতোই অনুভূতিগুলোও জমাট বাঁধা মুহূর্তের ইতিহাসে রূপান্তরিত হয় - শক্তিশালী, গভীর, কিন্তু নিশ্চল। অতীতের স্মৃতি, আক্ষেপ, আনন্দ আর শূন্যতা - সব যেন মিলে গিয়ে তৈরি হয়েছে এই মুহূর্তের এক নিরেট ইতিহাস। প্রতিটি মুহূর্তের জমাট ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়, কেবল সময়ই নয়, অনুভূতিগুলোও একদিন স্থিরতায় পৌঁছায়। সেই স্থিরতা কখনো প্রশান্তির, আবার কখনো শূন্যতার। প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হয়, আমি শুধুই এই বরফে মোড়া মহাসাগর পেরোচ্ছি না, বরং নিজের ভেতরের কোনো অজানা অধ্যায় পেরিয়ে চলেছি - যেখানে প্রতিটি ফাটল, প্রতিটি স্থিরতা এক নতুন গল্প বলে।
দূরে, অস্পষ্ট দিগন্তরেখায় একধরনের ঝিলমিল আলো দেখা যায়। জানি না, সেটা নতুন শুরুর প্রতীক, নাকি শুধুই বরফে প্রতিফলিত সূর্যের এক মায়াবী প্রতারণা। তবুও এগিয়ে যাই দিগন্তরেখার আলোর দিকে, কারণ যতক্ষন পথে পথিক, ততক্ষণ হেটে চলাই একমাত্র সত্য। এই যাত্রা কেবলই জমাট বরফ পেরোনো অথবা দিগন্তরেখার দিকে যাত্রা নয়, বরং নিজের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করার নিরন্তর প্রয়াস। মহাসাগর থমকে গেছে, স্থবির হয়ে গেছে অনন্তকালের জন্য, কিন্তু আমি? এখনো চলছি মুহুর্তের জমাটবাধা ঠান্ডা মহাসাগরের বুকে, দিগন্তরেখার আলোর দিকে। সময়ের সাথে এক নিরন্তর অভিযাত্রিক।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
ছবির জন্য ChatGPT 4o ব্যবহার করা হয়েছ।
©somewhere in net ltd.