নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Every logic we put together to get the clear concept

মাশুক খান

যা আছি তা নিয়ে সুখী, ভান নেওয়া অপ্রয়োজনীয়। ভালোলাগে জোৎস্নায় রাস্তায় হাটাহাটি, শীতের সকাল আর বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা। নিজের ভুল স্বীকারে আপত্তি নেই কিন্তু অনুতপ্ত নই।

মাশুক খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

Weapon Review Kalashnikov AK-47

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪


অস্ত্র রিভিউ :: Kalashnikov AK-47
তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে :: মাশুক খান

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :: Kalashnikov AK-47 মূলত এসল্ট রাইফেল এবং ট্রাডিশনাল ওয়েপন। রাইফেল ও সাব-মেশিনগানের হাইব্রিড সংস্করণকে এসল্ট রাইফেল বলা হয়। এসল্ট রাইফেলের প্রচলন শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের ট্যাংকের চালক মিখাইল কালাশনিকভ যুদ্ধের একটা পর্যায়ে আহত হন এবং হাসপাতালে এডমিট থাকেন। জার্মান সেনাদের সাব মেশিনগানের (MP40/MP44) শক্তি ও ভয়াবহতা উপলব্ধি করে রাশিয়ান সৈন্যদের জন্য ভালো মানের অস্ত্রের প্রয়োজনীয় অনুভব করেন। সেখানে থেকে কয়েকটা ধাপে ডিজাইনের পর ১৯৪৭ সালের তৈরি ডিজাইন ১৯৪৮ সালের ফিল্ড টেষ্টের পর ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত আর্মির জন্য অফিসিয়ালি বাছাই করা হয়।

গঠনশৈলী :: AK-47 গ্যাস অপারেটেড রাইফেল, যা অটোমেটিক ও সেমি অটোমেটিক দুই ভাবেই ব্যবহার করা যায়। শ্যুটিংয়ের সময় বুলেটের ব্লো-ব্যাকের গ্যাসের মাধ্যমে ব্রিচ খোলা এবং বুলেটের খালি খোসা ইজেক্টিং পদ্ধতিকে গ্যাস অপারেটেড বলা হয়। অটোমেটিক মুডে টানা গুলি করা যায় আর সেমি অটোমেটিক মুডে প্রতিটি বুলেটের জন্য আলাদা আলাদা ট্রিগারে প্রেশার দিতে হয়। অটোমেটিক AK-47 কিনতে Alcohol Tobacco and Firearms (ATF) থেকে লেভেল থ্রি ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়।
কার্ভ ম্যাগাজিনে 7.62 x 39 mm এর ত্রিশ রাউন্ডের সোভিয়েত বুলেট ধারন করে, যা অত্যন্ত শক্তিশালী। AK-47 মূলত ২০০ মিটার ফায়ারিং রেঞ্জের কথা ভেবে তৈরি। তাই এর রেঞ্জ কম, ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার। এর বেশি দূরত্বের লক্ষবস্তু ভেদ করা কঠিন। তবে ভালোদিক হচ্ছে, 7.62 রাউন্ড বিশ্বের যে কোন প্রান্তে সহজলভ্য। ফলে বুলেটের চাহিদা মেটানো সহজ।
AK-47 যুদ্ধের ফসল, তাই তৈরি হয়েছে সহজ নকশার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে। নিম্নমানের প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে উৎপাদন ও রক্ষনাবেক্ষন সহজ। এমনকি এই অস্ত্র বাসায় বসেও বানানো সম্ভব (বাংলাদেশেও)। তাছাড়া AK-47 অপারেট এতটাই সহজ যে একটা বাচ্চা ও ব্যবহার করতে পারবে। যদিও ওজন অন্যান্য অস্ত্র থেকে সামান্য বেশি। তবে, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে AK-47 তেমন মোডিফাই করা যায়না (যদিনা উৎপাদন করা হয় মোডিফাই করে)। বেয়োনেট আর 25mm আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার নিয়েই আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
AK-47 এর সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে এটা অত্যন্ত টেকশই এবং কখনো জ্যাম বা মিস ফায়ার হয়নি। এর মিস ফায়ারিং রেট হাজারে এক ! কালাসনিকভ অন্যান্য অস্ত্রের মত বারবার পরিস্কার না করলেও চলে। আর AK-47 পাঁচ বছর কাদা পানিতে ফেলে রাখলেও ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না। কাদামাটি থেকে তুলেই গুলি করা যাবে। যতই মরিচা বা ময়লা হোক না কেন, AK-47 কাজ করবেই। যেটা কালাশনিকভকে সৈন্যদের কাছে নির্ভরযোগ্য এবং জনপ্রিয়।

টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেসন ::
Kalashnikov AK-47 :: Assault Rifle
উৎপাদনকারী দেশ :: সোভিয়েত ইউনিয়ন
উৎপাদনকারী :: Izhmash
উৎপাদন সাল :: ১৯৪৯
উৎপাদিত সংখ্যা :: ৭.৫ কোটি !!
সার্বিক দৈর্ঘ্য :: ৩৪.২১ ইঞ্চি (৮৬৯ মি.মি.)
ব্যারেল দৈর্ঘ্য :: ১৬.৩৪ ইঞ্চি (৪১৫ মি.মি.)
ওজন (Empty) :: ৪.৩০ কিলোগ্রাম (৯.৪৮ পাউন্ড)
ক্যালিবার :: 7.62x39mm
মাজল ভেলোসিটি :: ৭১০ মি. (২৩৩০ ফুট/সে.)
এ্যাকশন :: গ্যাস অপারেটেড, রোটেটিং বোল্ট
ফিড সিস্টেম :: ৩০ রাউন্ড বক্স ম্যাগাজিন
রেট অফ ফায়ার :: ৭৭৫ রাউন্ড
ইফেক্টটিভ রেঞ্জ :: ৩৫০ মি (৩৮০ ইয়ার্ড)
মূল্য :: ৩৫০-৬০০ ডলার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

কিশোর মাহমুদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
জানলাম।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

মাশুক খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: এই জিনিষ বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলিতে পাওয়া যায়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

মাশুক খান বলেছেন: আচ্ছা! আমি জানতাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.