![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা আছি তা নিয়ে সুখী, ভান নেওয়া অপ্রয়োজনীয়। ভালোলাগে জোৎস্নায় রাস্তায় হাটাহাটি, শীতের সকাল আর বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা। নিজের ভুল স্বীকারে আপত্তি নেই কিন্তু অনুতপ্ত নই।
অস্ত্র রিভিউ :: বাংলা বাঁশ
তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে :: মাশুক খান
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :: বাঙ্গালী জাতি ও তার ঔতিহ্যের সঙ্গে বাঁশের সম্পর্ক লায়লা মজনুর মতন। বাঁশের ব্যবহার কত্ত সাল নাগাদ শুরু হইছিলো এইদেশে সেইটা অজানা তয় বর্তমানে এর ব্যবহার নিয়ে কারো কিছু অজানা নাই। ধারনা করা হয় বাঁশ আসলে দুই প্রকার।
১. প্রাকৃতিক বাঁশ
২. অতি প্রাকৃতিক বাঁশ বা বাংলা বাঁশ
প্রাকৃতিক বাঁশ প্রায় পাঁচ হাজার প্রজাতির, তয় এত্তগুলা প্রজাতি বিজ্ঞানীরা কিভাবে বাইর করেছিলো সেইটা চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে যেই বাঁশ পাওয়া যায় তার অধিকাংশ মুলি বাঁশ (এই বাঁশের অতি প্রাকৃতিক ভার্সনের অন্যতম নাম বাংলা বাঁশ)। মুলি বাঁশ (প্রাকৃতিক) ৪৮ বছরে একবার ছাও দেয়। আই মিন ফল দেয় তারপর অক্কা পায়। বিভিন্ন ধরনের বাঁশ (প্রকৃতিক) বিভিন্ন সময় ফল দেয় (যদিও আমি একবারও দেখি নাই) এবং ফল দিয়া কয়েকশো বাঁশ জন্মায়। কিছু কিছু বাঁশ দেড়শো বছর পর ছাও দেয়। জাপানি বাঁশ দেয় ১৩০ শে। কথা ওইটা না কথা হইছে, এক শ্রেনীর বাঁশ নাকি প্রতি ঘন্টায় দেড় ইঞ্চি কইরা চব্বিশ ঘন্টায় তিন ফুল লম্বা হয় ! আল্লাহ বাঁচাইছে এই বাঁশ অতি-প্রাকৃতিক শ্রেনীতে যায় নাই।
অতি প্রাকৃতিক বাঁশ কত্ত শ্রেনির এবং কি কি সেই বিষয়ডা বাঙ্গালী জাতির কাছে বুড়িগঙ্গার পানির লহান স্পষ্ট। তয় জনগন সাধারণত কঞ্চির হিসাবে দুইভাগে ভাগ করছে, ১. কঞ্চি আলা, ২. কঞ্চি ছাড়া। আইক্কার উপর ভিত্তি কইরাও দুইভাগ করছে : আইক্কা আলা ও আইক্কা ছাড়া। আর ব্যবহারের উপর ভিত্তি কইরাও দুই শ্রেনীতে ভাগ হইছে (কোথায় ব্যবহার হয় কইতে শরম করে) ১. তেল লাগাইন্না তৈলাক্ত বাঁশ ২. তেলবিহীন বাঁশ। অতি প্রাকৃতিক বাঁশ কে, কখন, কাকে, কোথায়, কোন অংশে ভরে দেয় (পড়ুন দিয়ে দেয়) সেটা আগে থেকে বোঝা অসম্ভব। বড় বড় বাংলার চ্যাংড়া বিজ্ঞানী (পড়ুন পোলাপাইন) প্রতিদিন বাঁশের বহুমুখ ব্যবহার করতাছে এবং ব্যবহারের শিকার হইতাছে।
ডিজাইন :: প্রাকৃতিক বাঁশ লম্বা হয়, কতখানি আমি নিশ্চিত না। তয় অধিকাংশ সময় সোঁজা হয়। শরীরে চকচইক্যা একডা ভাব থাকে। সবুজ সবুজ অয়। কিছু কঞ্চি বাঁশের লগে থাকে আর বাঁশের মাঁথায় কঞ্চির লগে কিছু পাতা থাকে। অতি প্রাকৃতিক বাঁশ আকারে ঠিক কেমন এটা বাঙ্গালী জাতি নিজেরাও নিশ্চিত না। এজাতি সারাজীবন একে অন্যকে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে নিজের হাতের দিকে না তাকাইয়া আর নিজে বাঁশ খাওয়ার পর সবার লগে গলা মিলাইয়া একই সুরে বাংলা খিস্তি ঝাড়ছে (পড়ুন বাংলা মধু)। ধারনা করা হয় এই বাঁশ সোজাই হয়। তয় কেউ কেউ কয় এই অতি প্রাকৃতিক বাঁশ ডিজাইন করা হইছে সব শ্রেনীর জন্য সমান ভাবে (বাদ যাবেনা একটি শিশু)। বাঙ্গালী জাতির ধারনা বাংলা বাঁশের প্রকারভেদ বিশ্বের সব বাঁশের প্রকারভেদের থেইক্যাও বেশি। এদেশের প্রতিটি জনগনের হাতে নাকি সবসময় একটা বাঁশ থাকে। তার মানে বাঙ্গালীদের হাতে অলওয়েজ ১৬ কোটি বাঁশ রেডি থাকে। তবে এই কতায় কান দেওয়া দরকার নাইক্কা। বাঙ্গালী তো কত কিচুই কয়। যাউগ্গা প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত অতিপ্রাকৃতিক বাঁশের ছোট অংশ ::
১. স্কুল / কলেজ / ভার্সিটির কতৃক গ্যাংব্যাং হওয়া (পড়ুন বাঁশ খাওয়া)।
২. পরীক্ষার আগে বাঁশ আবার পরীক্ষার পরে রি এক্সামের বাঁশ ও পরীক্ষা সময় হল গার্ডের দেওয়া বাঁশ।
৩. রেজাল্টের আগে ও পরে টেনশনের বাঁশ। ভার্সিটিতে চান্স না পাইলে বাঁশ। আবার একটায় চান্স পাইলেও অন্যটায় না পাইলেও বাঁশ।
৪. বন্ধুদের দেওয়া বাঁশ। এটা বাঁশময় প্রজাতির মধ্যে সবথেকে বেশি বিখ্যাত। এই শাখার মধ্যে এত প্রকার উপশাখা আছে যে সারারাত গ্যাজাইলেও শেষ করা সম্ভব না।
৫. মদের মধ্যে কড়া জিনিস আছে তেমনি বাঁশের মধ্যেও কড়া আছে। এই কড়া বাঁশ হইলো প্রেমের বাঁশ। লোকাল রিপোর্টারের তথ্যানুসারে এই বাঁশ খাইলে তার ব্যাথা বহুদিন থাকে এবং জায়গায় জায়গায় ব্যথা করে। বে পজেটিভ আমি বুকের ব্যাথার কথা বুঝাইতে চাইছি (শুধু ছেলেদের)।
৬. সানি বা খলিফা আফার সামাজিক ছবি দেখতে গিয়া বাপ মায়ের কাছে হাতেনাতে ধরা খাওয়া বাঁশ। ইহা বিপদজনক বাঁশ।
এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য প্রকারের বাঁশ। জানতে হইলে আশেপাশের বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করেন। তার উদাহরণসহ শুধু বাঁশ না, পুরো বাঁশঝাড় আপনাকে ভরে দিবে (পড়ুন দিয়ে দিবে)।
অপারেশন ও ব্যবহার :: মূলত পথে ঘাটে, বন্ধুদের আড্ডায়, চা বিঁড়ির দোকানে ও পরীক্ষার হলে বাঁশের বেশি ব্যবহার দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে লোকটা বাঁশ খাচ্ছে সে আলাপ পাচ্ছে না। এর জন্য ব্যবহারকারীর বাঁশের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রশংসনীয়। তখন সাধারণত বাঁশে তেল দিয়ে পিছলা করে কঞ্চি উল্টো রেখে দেওয়া হয় (কোথায় দেওয়া হয় জানতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না)। যখন বাঁশ গ্রহীতা বাঁশের অবস্থানের বিষয়ে পরিষ্কার হতে বাঁশ বের করতে শুরু করে, তখন কঞ্চিগুলা......... থাক আর বলতে পারুম না। কাউরে জিগাইয়া লন।
টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেসন ::
অস্ত্রের মডেল :: বাংলা বাঁশ
ক্যাটাগরি :: অতিপ্রাকৃতিক
উৎপাদনকারী দেশ :: বাংলাদেশ
উৎপাদনকারী :: বাঙ্গালী
উৎপাদন সাল :: UNKNOWN
উৎপাদিত সংখ্যা :: UNKNOWN
সার্বিক দৈর্ঘ্য :: Depends. সাধারণত ৬,৮,১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে মাঝে মধ্যে পুরো বাঁশঝাড়ও দেওয়া হয়।
ব্যারেল দৈর্ঘ্য :: Depend on সার্বিক দৈর্ঘ্য এবং বাঁশের সংখ্যা।
ওজন (Empty) :: Depends on ব্যারেলের দৈর্ঘ্য।
ক্যালিবার :: দুই পাটির ৩২ দাঁত।
মাজল ভেলোসিটি :: বক্তার চাপার জোর।
এ্যাকশন :: কুইক রিলোডিং, ফুল অটোমেটিক, এয়ার কুলড।
ফিড সিস্টেম :: UNLIMITED চাপার বেল্ট।
রেট অফ ফায়ার :: Depends on কয়জন বক্তা।
ইফেক্টটিভ রেঞ্জ :: যতদূর কথা যায়। যেহেতু কথা বাতাসের গতিতে যায় সেহেতু.......
মূল্য :: ফ্রি। টাকা খরচ হইলে বাঙ্গালী আরেকজনরে বাঁশ দিতো না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৩
মাশুক খান বলেছেন:
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পুরা দেশীয় অস্ত্র। এই অস্ত্র ক্ষেত্রবিশেষে দৃশ্যমান হলেও - বেশির ভাগ সময়েই অদৃশ্য। আর, এটার ইফেক্টও ভয়ানক।
সেই রিভিউ দেশীয় অস্ত্রের।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫
মানিজার বলেছেন: ভয়াবহ ওয়েপনের রিভিউ
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন:
