নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেগম জিয়া কি সংবিধানকেও উড়িয়ে দিতে চান?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

চুল নিয়ে যে রাজনীতি বিগত ক’দিন যাবত দেশের সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে আন্দাজ করতে কষ্ট হয় না যে, বাংলাদেশের সামগ্রিক রুচিবোধ আসলে অনেক নিচেই নেমে গিয়েছে। নইলে প্রধানমন্ত্রীর ‘সংবিধান থেকে এক চুলও নড়া হবে না’ বাক্যকে বেগম জিয়া যেভাবে অর্থ করলেন এবং তা নিয়ে পরে গণমাধ্যমে যে রকম বিবাদ-বিসংবাদ হলো তাতে সামনের দিনগুলোকে ভয়ঙ্কর করে তোলার জন্য কিছু মানুষ চরমভাবে মুখিয়ে আছে। নাহলে তারা বরং বেগম জিয়ার বক্তব্যেরই নিন্দা করতেন। বাংলাদেশে এমনটি কোনদিনই হয়নি, বেশিরভাগ বুদ্ধিমানই কেবল সুযোগ খুঁজেছেন নিজেদের ভাগে ঝোল টানতে, তাতে যদি দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তুলতেও হয় তাতেও তাদের আপত্তি তখনও ছিল না, এখনও নেই। ২০০৬ সালে যখন নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙেচুরে গিয়েছে, দেশ যখন চরম এক সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তখন দেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, “আপনি সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুন, সংবিধান থেকে এক চুলও নড়া আপনার ঠিক হবে না।’ আমরা মঈন উ. আহমদের একটি বই থেকে জানতে পারি যে, কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা যখন এই নোবেল লরিয়েটের কাছে যান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তখন তিনি তাদের প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমাদের প্ল্যান কত বছরের?’ উত্তরে তারা বলেন, ‘বছর দু’য়েকের’। তিনি বলেন, ‘তাহলে আমার চলবে না, আমার দরকার ১০ বছর এবং শেষ পর্যন্ত তিনি ড. ফখরুদ্দীনের নাম প্রস্তাব করেন সেই সেনা সদস্যদের কাছে। আমরা এ যাবত কোথাও মঈন উ. আহমদের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুনিনি নোবেল লরিয়েটকে। তার মানে ধরেই নিচ্ছি মঈন উ. আহমদের বক্তব্য সত্য। এখন ২০১৩ সালে এসে আবার মাঠে নেমেছেন নোবেল লরিয়েট। বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনী খেলা হবে না। মজা লাগছে ভেবে যে, আজকে তিনি সংবিধানের কথা কেন ভুলে গেলেন? সময় ও সুযোগের নিজস্বতা অনুযায়ী যদি দেশ ও জাতির মাথাদের এরকম ‘ভুলো-রোগ’ হয়, তাহলে সে জাতির কপাল নিয়ে না ভেবে কি উপায় আছে বলুন? এখন এই ভুলো-রোগীদের সঙ্গে নিয়ে বেগম জিয়া আন্দোলনের বাতাস দিয়ে চুল নয়, রাষ্ট্র ও সংবিধানকেই যেন উড়িয়ে দিতে চাইছেন। এই প্রবণতা যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার সঙ্গে সকলেই হয়ত একমত হবেন যে, বাংলাদেশের সংবিধানের একমাত্র ৭০ অনুচ্ছেদ ছাড়া (যেখানে নিজ দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা যাবে না) পুরোটাই আসলে একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক সংবিধান বলে স্বীকৃত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি যে আসলে সংবিধানের ক্ষত ছিল এবং এটি ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম ত্রুটি সে কথা আজকে সবাই যেন ভুলে গিয়েছেন। এই ভুল ইচ্ছাকৃত, কারণ তত্ত্বাবধায়ক না থাকলে তাদের ভাগে ‘ক্ষমতা’ কম পড়ে যায়। বিগত সিটি নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই মানুষকে সন্দেহমুক্ত করেছে। তাই আমাদের সকেলের উচিত সংবিধান পরিপন্থি কাজ থেকে বিরত থাকা।









মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.