![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হতে যাচ্ছে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার। আগামী মাসের শেষ দিকে দেশের বৃহত্তম এই ফ্লাইওভার উদ্বোধনের জোর প্রস্তুতি চলছে।
নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ ফ্লাইওভার। চুক্তি অনুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বৃহত্তম এই ফ্লাইওভারের কাজ সম্পন্ন করার সর্বশেষ সময় বেধে দেয়া হয়। সরকারের বিশেষ নজরদারির কারণে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ এগিয়ে গেছে। ১৯৯৮ সালে গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এজন্য বিশ্বব্যাংক আড়াই শ' কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দীর্ঘ প্রায় দুই বছর এ ফ্লাইওভার নির্মাণ লাল ফিতার দৌরাত্মে চাপা পড়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালে তত্কালীন সরকার বেসরকারি বিনিয়োগে ফ্লাইওভার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ৬.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ ফ্লাইওভারের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৭০ কোটি টাকা। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ করতে আরো প্রায় দুই বছর পার হয়ে যায়। তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে এ প্রকল্পের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। এরপর বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে ফ্লাইওভারটি 'জনগুরুত্বপূর্ণ' হিসাবে চিহ্নিত করে এবং বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়। যাত্রাবাড়ি সংলগ্ন কুতুবখালি প্রান্ত থেকে পলাশি পর্যন্ত ফ্লাইওভারের মূল অংশের কাজের ৯৬ ভাগ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই মূল অংশের কার্পেটিং এবং উভয়প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে মূল ফ্লাইওভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। যানজট নিরসনে সরকারের এ উদ্যোগ অবশ্যই কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.