![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মিথ্যাচার দিয়ে মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদীদের সক্রিয় সমর্থনে বিএনপি জেতার পর বাংলাদেশে তিনটি শক্তি নব উদ্যমে আবির্ভাব হয়েছে। এক, রগকাটা শিবির, দুই, তথাকথিত ইসলামী মৌলবাদী জঙ্গী শক্তি ও ড. ইউনূস। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিবির রগ কেটে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। শুধু যে তারা গোপনে রগ কাটছে তা নয়। তারা হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। দেশবাসী ইতোমধ্যে দেখেছে শিবির রাজশাহী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এ ছাড়া গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হবার পরে শিবির ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে পুলিশের ওপর হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এর আগে প্রায় ছয় মাস ধরে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা করছিল প্রকাশ্যে। এই পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও তার মৌলবাদী মিত্ররা জয়লাভ করার পরে শিবির আবার সেটা শুরু করেছে। অন্যদিকে জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের সৃষ্টি জঙ্গী সংগঠনগুলো ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক আমল থেকে শুরু করে গত সাড়ে চার বছরে অনেকটা স্তিমিত হয়ে আসে। কিন্তু এই পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এই জঙ্গীরা আবার দ্রুত গতিতে সংগঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে কয়েকটি জঙ্গী দলকে সরকার গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে। তাদের কিছু সদস্যকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেশের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা ও উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় জঙ্গীদের ঘাঁটি ছিল। এর কারণও সুস্পষ্ট। কারণ, মিয়ানমারে তখন সামরিক জান্তার শাসন শুধু ছিল না, মিয়ানমার ছিল অন্যতম অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানি রুট। জঙ্গীরা মুখে যতই ধর্মের কথা বলুক না কেন, পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে জঙ্গীরা সব সময়ই মাদক চোরাচালান, অস্ত্র চোরাচালান, মানুষ পাঁচার, নারী পাচার এ সবের সঙ্গে জড়িত থাকে। সমস্ত জঙ্গী, সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী এদের চরিত্র কিন্তু একই। যে মিথ্যাচার দেশকে ছেয়ে ফেলেছে সেটা কাটিয়ে এই সত্য বলার সময় কই? কিন্তু এই সত্য মানুষকে উপলব্ধি করানো এখন অন্য সব কিছুর থেকে জরুরী। নইলে শুধু রগ কাটা আর প্রতারণার মধ্যে দেশ সীমাবদ্ধ থাকবে না। এরা আরো বিজয়ী হলে দেশে গণহত্যা হবে। বুদ্ধিজীবী হত্যা হবে। তাই এখন দেশের সামনে সব থেকে বড় দাবি গণহত্যা ঠেকানো।
©somewhere in net ltd.