নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাতক্ষীরায় শিল্পকলা একাডেমীতে বিএনপির কর্মী সম্মেলন চলার সময় ক্ষমতা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত। জনগণের কাছে তাদের বর্তমান ও ভবিষৎ কার্যক্রমের মুখোশ উন্মোচন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

গত শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরায় শিল্পকলা একাডে মীতে কর্মী সম্মেলন চলার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের কোন্দলের কারণেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমানুল্লাহ আমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে মারা যান। আমানুল্লাহর মৃত্যুর খবরে শহরে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমুদ্দিন আলম। জাসাস সভাপতি একলেসার আলী বাচ্চুর একটি মন্তব্যকে ঘিরে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় উত্তেজিত সাধারণ নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষের নেতা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইফতেখার আলীর ওপর হামলা চালায়। একই সময় হামলার শিকার হন জেলা শ্রমিক দল সভাপতি আব্দুস সামাদ এবং মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান ও লিটনসহ কয়েকজন নেতা। লাঠিসোটা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে এই হামলা চলাকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ফলে কর্মী সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার গাড়িতে করে দা, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠি নিয়ে আসে। মঞ্চে বক্তব্য দেয়া ও বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ইন্ধনে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইনাল ইসলাম নান্টা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শেখ তারিকুল ইসলাম তার উপর চেয়ার দিয়ে হামলা চালায়। এরপর তাদের সহযোগীরা একে একে জেলা শ্রমিক দল সভাপতি আব্দুস সামাদ, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য আরিফুল ইসলাম লিটনসহ ছয় নেতাকে লাঠিসোটা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। দলের ওপর প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবদমান দুটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। প্রায়ই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়ে থাকে। দেশ পরিচালনার দায়িত্বে/ ক্ষমতায় বিএনপি নেই অথচ তাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে যে লড়াই, মহড়া দেখালো ক্ষমতায় গেলে এদের চরিত্র কেমন হবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেল। ক্ষমতার দিবা স্বপ্নে যারা নিহত এবং আহত করছে নিজ দলের নেতা কর্মীদের, ক্ষমতা পেলে কি করবে তা বুঝতে আর বাকি থাকে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.