![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
গ্রামবাংলাই বাংলাদেশের জনজীবনের মূল ভিত্তি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ন ঘটেছে এবং গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবু এখনও দেশের অধিকাংশ লোকের বাস গ্রামে। বিশেষজ্ঞরা অনেক আগে থেকে এখানে গ্রামভিত্তিক উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছেন। নিরক্ষরতা, খাদ্যাভাব, অপরিষ্কার জলাশয় ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত গ্রামের সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। পাকা রাস্তা, স্কুল, বৈদ্যুতিক সংযোগ, টেলিভিশন, ফ্রিজ, যন্ত্রচালিত চাষাবাদ ব্যবস্থা প্রভৃতি অনেক গ্রামের চেহারা বদলে দিয়েছে। তবে কায়েমী স্বার্থের ধারক ও বাহক কিছু ধর্মান্ধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ এখনও কোন কোন গ্রামে আছে- যারা গ্রামজীবনের প্রগতিশীল বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। এরাই গ্রামীণ সমাজে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানবাধিকার ও নারী উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা। তবু এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় উন্নয়নমূলক অবকাঠামো গড়ে উঠছে। গত কয়েক বছর ধরে গ্রামের উন্নয়নের অন্যতম উজ্জ্বল দিক হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। এখন দেশব্যাপী ১২ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এসব ক্লিনিকের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। অথচ বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেক গ্রামেই কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিত্যক্ত ঘরবাড়িতে সমাজবিরোধীদের আস্তানা গড়ে উঠেছিল। কেন তারা এই অতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছিল? বাঙালীর স্বাস্থ্যসেবার আধুনিক ধারাকে ধরে রাখতে হলে কমিউনিটি ক্লিনিকের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলাদলি বা হানাহানি অনাকাঙ্ক্ষিত। অদূর ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকে এক্সরে কিংবা আলট্রাসনোগ্রামের ব্যবস্থাও গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব ক্লিনিককে কেন্দ্র করে গ্রামে একদিন বাস্তবিকই স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে নবজাগরণের সৃষ্টি হবে। চিরকাল গ্রাম থেকে প্রতিভাবান মানুষেরা এসে শহরকে আলোকিত করেছে। অতীতে দেখা গেছে, অনেক খ্যাতিমান বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও কীর্তিমান ব্যক্তির জন্ম হয়েছে গ্রামে। গ্রামেই তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ লক্ষ্য করা গেছে। সুতরাং প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হলে সেই গাঁয়ের কিশোর-কিশোরীরা স্বাস্থ্যসেবার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিষয়ে অবগত হবে। এছাড়া গ্রামে এখনও হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারা যে ভুল চিকিৎসা ও অপচিকিৎসা হচ্ছে- তার বিরুদ্ধেও সেখানে জনপ্রতিরোধ গড়ে উঠবে। পানি পড়া কিংবা দৈবচিকিৎসা চিরতরে নিষিদ্ধ হবে পল্লীবাংলায়।
©somewhere in net ltd.