![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
প্রশান্তির প্রতীক নীল। জাতিসংঘের নীল হেলমেট মাথায় নিয়ে গত ২৫ বছর বিশ্ব শান্তিরক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে আছেন নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও। আছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী সদস্য। বিশ্বের বিরোধপূর্ণ দেশগুলোতে জাতিসংঘের হয়ে তারা পালন করছেন নেতৃস্থানীয় ভূমিকা। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা আজ বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় আদর্শের প্রতীক। জাতিসংঘে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদান সম্পর্কে সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলেন, 'জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ হলো একটি আদর্শ বা মডেল। যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে নেতৃত্ব সম্পন্ন এবং তারা দীর্ঘ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা ও মানবিক কাজকর্মে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।' বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিশন যাত্রা শুরু হয় দুই যুগ আগে, ১৯৮৮ সালে। তখন সেনাবাহিনীর ১৫ জন কর্মকর্তা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ইরান-ইরাকে সামরিক পর্যবেক্ষক (মিলিটারি অবজারভার) হিসেবে মিশন সম্পন্ন করেন। সেই শুরু থেকে গত ২৫ বছরে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে। এবং এ পর্যন্ত এক লাখ এক হাজার ৩২৪ জন সেনা সদস্য মিশন সম্পন্ন করেছেন। চলতি বছর বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর ছয় হাজার ১৬৩ জন সদস্য। সব বাহিনী মিলিয়ে বর্তমানে ১০ হাজার ৬৫৩ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ মিশনের ১২টি দেশে কর্মরত আছেন। দেশে ও বিদেশে কর্মরত সেনাবাহিনীর উচ্চ পদমর্যাদাধারী জেনারেলদের কল্যাণমুখী চিন্তাধারা বা তাদের অবদানের কথা দেশ ও জাতি কখনও ভুলতে পারে না। এবং তাদের দূরদৃষ্টি সমপন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি ও সফল নেতৃত্বের কারণে সেনাবাহিনীর জাতিসংঘ মিশনের এ সফলতা এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দেশের কুচক্রী মহল নানা মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। যাদের কল্যাণে সেনাবাহিনীর এ সফলতা সেই জেনারেলদের নিয়ে এত মিথ্যা অপপ্রচার কেন?
©somewhere in net ltd.