নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনীর এ সফলতা নিয়ে বিরোধী দলের এত মিথ্যা অপপ্রচার কেন?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫





চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারী ভূমিহীন লোকজনকে পুনর্বাসনের জন্য নগরীর টাইগারপাসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছয়তলা ভবন নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার সেনাবাহিনীর উপর সমস্ত দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আগামী বছর এ ভবনে প্রতি পরিবারকে সহজ কিস্তিতে ২৫০ বর্গফুটের একটি আবাসন বরাদ্দ দেয়া হবে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে পাহাড়িদের আবাসন ব্যবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হবে। পাহাড় ধ্বসে আর আমরা মূল্যবান প্রান বিসর্জন দিতে চাইনা। সরকারের এ উদ্যোগ দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ইনানী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ‘মেরিন’ রাস্তার কাজ করছে সেনাবাহীনির ১৭ তম ইসিবি কোর । মূলত কক্সবাজার থেকে ইনানী তথা পুরো রাস্তার পুরোধা তারাই। এই সড়কের আরও একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য এটি আষাঢ়ে এক অনুপম রুপ ধারন করে। আষাঢ়ে কক্সবাজারের রুপ পুরোপুরি পরিবর্তিত। আষাঢ় কক্সবাজারকে দেয় এক ভিন্ন মাত্রা। ফুসে ওঠা সাগরের গর্জন, বালুকাবেলায় আর মেরিন ড্রাইভের যে অংশ নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে আষাঢ়ের সমুদ্রের সম্মুখ সমর হয়, সে অংশে সেনাবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কংক্রিট ব্লক ফেলে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং উন্নয়নে সেনা বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্যও। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অভিযানে জড়িয়ে পড়েছে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে, যারা উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্য লড়ছে। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে সরকার ও শান্তিবাহিনীর সঙ্গে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অপেক্ষাকৃত শান্ত। যদিও এখনো সেখানে প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, শান্ত-করণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন অব্যাহত রাখতে সেনাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনে বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সহযোগিতা করে থাকে। প্রধানত শীতকালে সেনারা স্থানীয় মানুষকে খাদ্য, কাপড় ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। তারা বন্যা এবং পাহাড় ধসের সময়ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সংহতি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রধান কারিগর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ের অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে মডেলের স্থান দখল করে নিয়েছেন। নিজ দেশের এক দশমাংশ ভূখণ্ড বিদেশী ষড়যন্ত্রে পরিচালিত বিচ্ছিন্নতাবাদের আঘাত থেকে রক্ষা করা, জাতিগত দাঙ্গার হাত থেকে নিজ দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিধান, অনগ্রসর এলাকায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির আলোর মশাল প্রজ্জলনের মিশন নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাঠানো হয়েছিল দূর্গম, বিপদ সঙ্কুল, মৃত্যু উপত্যকা পার্বত্য চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সেবা ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রম দিয়ে একদিকে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির অভয় পরিবেশ সৃষ্টি করে, অন্যদিকে সেবা ও শান্তির মিশনে সেখানে উন্নতি ও অগ্রগতির আলোয় উদ্ভাসিত করে। অনেক ঘামে, অনেক শ্রমে, এমনকি বহু জীবনের বিনিময়েও দেশের সার্বভৌমত্বক অটুট রাখতে শান্তি ও সেবার মিশন থেকে বিরত হয়নি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যার প্রমাণ, আজও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেই পার্বত্য চট্টগ্রাম। যার প্রমাণ এক সময়ের বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্গম ও অনিরাপদ পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ পর্যটকদের প্রবল আকর্ষণীয় স্থান। বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে দেশের স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করেছেন। দেশে ও বিদেশে কর্মরত সেনাবাহিনীর উচ্চ পদমর্যাদাধারী জেনারেলদের কল্যাণমুখী চিন্তাধারা বা তাদের অবদানের কথা দেশ ও জাতি কখনও ভুলতে পারে না এবং তাদের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি ও সফল নেতৃত্বের কারণে সেনাবাহিনীর জাতিসংঘ মিশনের এ সফলতা এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দেশের কুচক্রী মহল নানা মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। যাদের কল্যাণে সেনাবাহিনীর এ সফলতা সেই সেনাবাহিনীকে নিয়ে এত মিথ্যা অপপ্রচার কেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.