![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ছাত্রদলের কাঁধে ভর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আবারও ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতি করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনসমূহের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তাদের নিজস্ব লোকজন বসিয়ে পথ সুগম করতে তৎপরতা চালাচ্ছে সংগঠনটি। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের এক সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের ছাত্র সংগঠনগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার পনেরো-বিশ বছর পর থেকেই আবারও ক্যাম্পাসে সে সংগঠনটির জোরালো অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের অন্য সব সংগঠনে শিবিরের সদস্যদের মিশে থাকার নজির মিলছে। ছাত্রলীগ এমন কি বাম সংগঠনগুলোতেও অসংখ্য ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী মিশে রয়েছে। অন্য সংগঠনের সঙ্গে মিশে গিয়ে তারা সেসব সংগঠনকে নীতিবিরোধী কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এসব ছদ্মবেশী শিবিরের দ্বারা ক্যাম্পাসে রাজনীতির বৈধতা অর্জন করার বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। এ বছরের শুরু থেকেই শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ফুসলিয়ে ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণসহ নানান কায়দায় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তারা। বর্তমান সময়ে ছাত্রদলকে এক অর্থে নিষ্ক্রিয় করে রাখছে তারা। তাদের ব্যবহার করে পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় শিবির। শিবিরের টার্গেট, এ সরকারের পর যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তবে ছাত্রদলের সঙ্গে থেকে তারা হল দখল ও ক্যাম্পাসে তাদের উন্মুক্ত রাজনীতির নতুন রূপে হাতে খড়ি ঘটাবে। এ জন্য তারা ছাত্রদলকে যে করেই হোক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাতে চায়। কারণ, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল মানেই শিবির। ছাত্রদলের পূর্ণ শক্তির সবটা ব্যয় করে এখানে টিকে যাবে তারা। তাদের এসব পরিকল্পনা অনেক সুদূরপ্রসারী। শিবির টার্গেট করে দীর্ঘমেয়াদী। তারা বিশ বছর পর কি হবে কিংবা কোন পথে যাবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তার পরিকল্পনা করে থাকে। তাই দেশের কল্যানার্থে এখনই তাদের রুখে দিতে হবে তা নাহলে তারা যেকোন ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে।
©somewhere in net ltd.