![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
===============================
দেশে আবার ১/১১-এর কুশীলবরা সচেষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা আবার একটি এক-এগারো আনতে চায়। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মূলত আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির চেষ্টা। অনেকেই বিরোধিতার জন্য এ কথার বিরোধিতা করেছেন। আর যারা ১/১১-এর সমর্থক তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে তথাকথিত জরিপের মাধ্যমে বলেছেন, দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চায়। সেখানে একবারও ভেবে দেখা হয়নি দেশে কম করে হলেও শেখ হাসিনার বিশ ভাগ সমর্থক আছেন যারা শেখ হাসিনার নির্দেশ মতোই চলেন। অন্যদিকে যদি গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোর ফলাফল ধরা হয়, তাহলেও এখনও আওয়ামী লীগের একক ভোট ৪০ ভাগ। সে হিসেবে দেশের ৪০ ভাগ মানুষ তো এখনও শেখ হাসিনার সঙ্গে। তাই একেবারে নেগেটিভ অবস্থানে দাঁড়িয়ে যদি ওই জরিপের বিচার করা হয়, তাহলেও বোঝা যায় এটা একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা। সে উদ্দেশ্য শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, আরেকটি ১/১১-এবং তার সঙ্গে বিএনপির একটি অংশ জড়িত সেটাও এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সারাদিন হাত পা নেড়ে, নেচে কুদে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুন না কেন, দেশের মানুষের নিশ্চয়ই মনে আছে মির্জা ফখরুল ১/১১-এর পর বেগম জিয়ার পক্ষে ছিলেন না। তিনি সংস্কারের নামে সেনা গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি তথাকথিত বিএনপিতেই ছিলেন। তাই আবার সময় মতো তার আসল রূপ বেরিয়ে এসেছে। তার অবস্থান সব সময়ই অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্রবিরোধী। বেগম জিয়া বা বিএনপির এখন আর নিজের পায়ে হাঁটার কোন ক্ষমতা নেই। তাকে এখন জামায়াতের পায়ে হাঁটতে হয়। নানান কারণ ও নানান ছদ্মাবরণের কারণে দেশের মানুষের কাছে একটি বিষয় এখনও স্পষ্ট হয়নি যে, তারেক রহমান ও একজন জামায়াত নেতার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ, তারেক রহমান নিজেই বলেছেন, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির একই মায়ের সন্তান। এখানে জামায়াত ও হেফাজতের অনুমতি ছাড়া বিএনপি নেতা নির্বাচন করতে পারে না। তাই মুখে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত যে রাজনীতি করুক না কেন, বাস্তবে তারা গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে পারে না। তাই শেখ হাসিনা এতদিন একাই বার বার একই কথা বললেও দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ বিষয়টি বিশ্বাস করেননি। কিন্তু এই সপ্তাহের ভেতর দুটো ঘটনা অর্থাৎ ১/১১-এর এক কুশীলবের বাসায় অনান্য কুশীলব অর্থাৎ মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিদেশী কূটনীতিকদের বৈঠক। এর পর পরই ১/১১-এর অন্যতম এককুশীলব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমানকে দিয়ে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করেছে। অতএব, এর পরে দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ যাই বলুক না কেন, দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষে নিশ্চয়ই এটা বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় যে, তারা আরেকটি ১/১১ চাচ্ছে এবং সেই পথেই তারা এগুচ্ছে। শেখ হাসিনা বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। তাই জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য করে মৌলবাদীদের এই ষড়যন্ত্র তাঁকে রুখতেই হবে।
©somewhere in net ltd.