![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
হাইকোর্টের পর এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধেও হরতাল দিয়েছে জামায়াত। এ হরতাল আহ্বানের মাধ্যমে প্রমাণ হলো দেশের কোন আদালত বা আইনকেই মানে না এই দলটি। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আহ্বান করা সর্বোচ্চ পর্যায়ের আদালত অবমাননা। সুপ্রীমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আহ্বান করে জামায়াত দেশের সংবিধান ও সকল আদালতকে চূড়ান্ত অবমাননা করেছে। ওই রায়ের প্রতিবাদে রায় ঘোষণার পর থেকেই গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এমনকি বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘন্টা হরতাল ডেকেছে তারা। দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য হরতাল একটি সাংবিধানিক অধিকার, তবে এর মাধ্যমে গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও- পোড়াও কর্মসূচী, ভয়ভীতি প্রদর্শন এটা সংবিধান সমর্থন করে না। আর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে হরতাল দেয়া সুপ্রীমকোর্টের সর্বোচ্চ অবমাননা। হরতালের মাধ্যমে সংবিধানের ৩৬, ৪০, ৪২ অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। সুপ্রীমকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে হরতাল আহ্বান করে জামায়াত আদালতের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। অবশ্যই তারা আদালত অবমাননার অপরাধে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।জামায়াতের এই সিদ্ধান্ত বড় ধরনের আদালত অবমাননা। ইতোপূর্বেও একই ভাবে তারা আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হরতাল ও অন্যান্য নৈরাজ্যেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। বর্তমানে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ঘোষণা চূড়ান্তভাবে সংবিধান ও আদালত অবমাননাকর। এর ফলে আদালত অবমাননার অভিযোগে এই হরতালের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। তা নাহলে অনেকেই আদালতের আদেশ ও আইন অমান্য করতে উৎসাহিত হবে।
©somewhere in net ltd.