![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
রাজনীতিতে তিনি ডিগবাজ। কথাবার্তায় তিনি রীতিমতো কমেডিয়ান। আচার আচরণে যার চরম ঔদ্ধত্যপনা ও ধৃষ্টতা। সন্ত্রাসে যিনি গডফাদার। আর বক্তৃতায় কাগুজে বাঘ। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি রাজাকার এবং মুক্তিসংগ্রামে গণহত্যার খলনায়ক। তিনি হলেন চট্টগ্রামের রাউজানের সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। যার অধিকতর পরিচিতি সাকা নামে। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি দলীয় এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হওয়ার পর পুরো বৃহত্তর চট্টগ্রামে অশান্তির কোন ঘটনা ঘটেনি। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামান্য কজন নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আজ চট্টগ্রাম জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন। যে হরতাল আদৌ সফল হবে কিনা-তা নিয়ে রয়েছে পুরোপুরি সন্দেহ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার ও গণহত্যার খলনায়ক সাকা চৌধুরী যুদ্ধাপরাধের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ধরা খেলেন। মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধের ট্রাইব্যুনালের বিচারের রায়ে তাকে মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে ৭০ বছরের। যে বিচারকে তিনি বিচার চলাকালে সর্বদা উপহাস করেছেন সেই বিচারেই তার ফাঁসির রায় ঘোষিত হলো। সাকা ও তার অনুসারীদের সকল দম্ভ চুরমার হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধে চিহ্নিত রাজাকার, স্বাধীনতাকামীদের গণহারে হত্যা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, তাদের ঘর বাড়িতে আগুন, হত্যা, রাজনীতিতে বিতর্কিত, নিজ দল বিএনপিতে চরম সমালোচিত এই সাকাচৌর ফাঁসির আদেশ সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে যখন বহাল হবে এবং রায় কার্যকর হবে সেদিনের অপেক্ষায় রয়েছে চট্টগ্রামের আপামর জনতা। কারণ, ঐদিন থেকেই প্রকৃতপক্ষে প্রাচ্যের রানী, দেশের অর্থনীতির হৃৎপিন্ড এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে একক বৃহত্তম রাজস্ব যোগানদাতা চট্টগ্রাম সাকার সকল অপকর্মের কালিমা থেকে মুক্তি পাবে বলে।
©somewhere in net ltd.