![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ১ জুলাই থেকে এ সুবিধা পাবেন তারা। এ ক্ষেত্রে একজন সরকারি চাকুরে সর্বনিম্ন দেড় হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ছয় হাজার টাকা পাবেন। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়াও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ জাতীয় বেতন-স্কেলভুক্ত সবাই এ সুবিধা ভোগ করবেন। গত রবিবার ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। মহার্ঘ্য ভাতা কার্যকরের ধরন সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবসর-উত্তর ছুটি (এলপিআর) থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটির আগে পাওয়া সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বরখাস্ত হওয়ার আগে সর্বশেষ মূল বেতনের অর্ধেকের ওপর ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন। আর পেনশন গ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন। গত ১ জুলাই থেকে পরবর্তী নতুন জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী পেনশনে গেছেন বা যাবেন, তারা মূল বেতনের সঙ্গে এই ভাতা যোগ করে পেনশন নির্ধারণের সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরাও একই হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন। আর জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে চুক্তিতে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন মহার্ঘ্য ভাতার এ সুবিধা পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া অবসরে যাওয়া যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ ভাগ বা সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। উক্ত মহার্ঘ্য ভাতা পেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এবং বেতনের সাথে বাজার মুল্যের সামঞ্জস্যতা আসবে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.