![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরে এসেছে নজিরবিহীন পরিবর্তন ও সাফল্য। সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে শৃঙ্খলা। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে অর্জিত এই পরিবর্তনকে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বৈপ্লবিক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন। তাদের মতে, ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের ঝুলিতে শিক্ষাক্ষেত্রের সাফল্যই সবচেয়ে উজ্জ্বল। আগামী ১ জানুয়ারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব হবে। নতুন বইয়ের আনন্দে শিক্ষার্থীরা শুরু করবে নতুন শিক্ষাবর্ষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই বিতরণ এটি কেবল বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বের কোথাও এত বিপুলসংখ্যক বই বিনা মূল্যে দেওয়ার নজির নেই। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করা হয়েছে। বিদ্যালয় ছিল না এমন সব গ্রামেও প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ফলে শিগগিরই দেশে বিদ্যালয়বিহীন কোনো গ্রাম থাকবে না। প্রথমবারের মতো ২০০৯ সালে ছয় কোটি ৪৭ লাখ চার হাজার ৭৬১টি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল। আগামী ১ জানুয়ারি বিতরণ করা হবে ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৮টি বই। শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই ১ জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসায় শুরু হচ্ছে নতুন ক্লাস। তৈরি হয়েছে শিক্ষা ক্যালেন্ডার। নির্দিষ্ট সময় ধরে চলছে সব। পাবলিক পরীক্ষাগুলোও অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্দিষ্ট তারিখ মেনে। বর্তমান সরকারের আমলে চালু হওয়া অষ্টম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষা জেএসসি/জেডিসি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১ নভেম্বর। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। একইভাবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবাদে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফল পেয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন দেশে প্রথমবারের মতো সবার মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। শিক্ষানীতির আলোকে প্রণয়ন করা হচ্ছে শিক্ষা আইন। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে প্রণয়ন করা হয়েছে নীতিমালা। ১৭ বছর পর পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করে সংস্কার এবং নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তর করে অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ২৩ হাজার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় প্রথমবারের মতো মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া উপকরণ বিতরণ শুরু হয়েছে। 'তথ্যপ্রযুক্তি'কে নতুন বিষয় হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ফলে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। একইভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের উপবৃত্তির আওতা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিল গঠন করে স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রীদেরও উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। এ বছর প্রথমবারের মতো স্নাতক পর্যায়ে এক লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। গত ১ অক্টোবর টিআইবি যে 'বৈশ্বিক দুর্নীতি প্রতিবেদন শিক্ষা' প্রকাশ করে, তাতে শিক্ষাক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে দেশে ২৪ শতাংশ দুর্নীতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ সব কিছুই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের ফলে।
©somewhere in net ltd.