![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সারাদেশে রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে আরও আধুনিক ও গতিশীল করার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাবিশ্বে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম রেলওয়ে। বাংলাদেশের রেল নেটওয়ার্ক সেই পর্যায়ে পৌঁছেনি। রেল নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন হয়ে দেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এই প্রকল্পের ৭টি উপপ্রকল্প রয়েছে। এগুলো হলো ১. ঢাকা-পদ্মা ব্রিজ হয়ে ভাঙ্গা-যশোর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন ২. দুই লাইন বিশিষ্ট আখাউড়া-লাকসাম রেল স্থাপন ৩. বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে ডুয়েল গেজ রেললাইনসহ যমুনার ওপর নতুন রেল সেতু নির্মাণ ৪. দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে গুন্দুম পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তের কাছে মিটার গেজ রেললাইন স্থাপন ৫. জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণ ৬. ট্রান্সএশিয়ান ট্রাফিকের উপযোগী হার্ডিঞ্জ ব্রিজকে শক্তিশালী বা পুনর্নির্মাণ করা ৭. ফুলছরি-বাহাদুরাবাদ ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর ওপর দিয়ে রেল সেতু তৈরি সম্ভাব্যতা যাচাই। এর মধ্যে প্রথম তিনটির সমীক্ষা ও বিস্তারিত নক্সা এবং পরের চারটি শুধু সম্ভাব্যতা সমীক্ষা তৈরির কথা আছে। উপপ্রকল্প ৭ নম্বরটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে যমুনার ওপর রেল সেতুটি কোথায় নির্মাণ করা যায় সেই জরিপ শেষ হয়েছে। রেল সেতু নির্মাণে তিনটি অপশন দেয়া হয়-ফুলছরি-বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ এবং বগুড়া-জামথৈল। সকল বিবেচনায় তৃতীয় অপশন বগুড়া-জামথৈলকে এখন পর্যন্ত প্রথম বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে ট্রান্সএশিয়ান ফিজিবিলিটির বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার মধ্যে মিসিং লিঙ্ক, নতুন রেল সংযোজন লাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবের সঙ্গে ভারত, মিয়ানমার ও তার বাইরেও রেল নেটওয়ার্ককে সমন্বয় সংযোগের কথা বলা হয়েছে। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ক্যানরেল (কানাডা), স্মেক (অস্ট্রেলিয়া), ডিবিআই (জার্মানি) এইচ (বাংলাদেশ) এর সমন্বয়ে একটি কনসোর্টিয়াম প্রকল্প তৈরিতে সহযোগিতা দিচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
©somewhere in net ltd.