![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় থাকা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত আগস্ট মাসে রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে। এছাড়া গত মে মাসেও রিজার্ভ দেড় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে আগের রেকর্ড ভেঙ্গেছিল। দেশের অর্থনীতির জন্য এটা খুবই ভাল খবর যে, সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে বিশাল অঙ্কের রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। রিজার্ভের এ পরিমাণ কমপক্ষে ছয় মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান। রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। আমদানি কম থাকায় বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফলে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনছে যা রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বেড়ে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। বৈধ পথে প্রবাসীদের আয় ও রফতানি আয় বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের কারণেই রিজার্ভ বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রিজার্ভ রয়েছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারতে। বাংলাদেশের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। চলতি অক্টোবর মাসে আগের তিন মাসের চেয়ে রেমিটেন্স বাড়বে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এই ধারা অর্থবছরের বাকি নয় মাসেও অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি রেমিটেন্স দেশে আসবে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ৩২৭ কোটি ৩ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এসেছিল ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। অন্যদিকে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
©somewhere in net ltd.