![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বাউফলের চরাঞ্চলগুলোতে এখন ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। ডিশ বসিয়ে চালানো হচ্ছে টিভি চ্যানেল। এর ফলে ঘরে বসেই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেশ ও বিদেশের খবর নিতে পারছে চরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই পরিণত হয়েছে। বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যে ১১টি বসতি চর রয়েছে। এ সব চরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করছে। জমিতে ধান ফলিয়ে আর নদীতে মাছ ধরে তারা জীবিকা নির্বাহ করত। চরের উদর মাটি গায়ে মেখে শিশুরা বড় হতো। এক সময় তারা বাবার সঙ্গে হয় নদীতে মাছ ধরতে যেত, না হয় জমি চাষ করতে যেত। সেখানে তারা এখন বড় হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সান্নিধ্যে থেকে। নিজেই স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। পড়ালেখা করে বড় হবে এমন মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও প্রায় প্রত্যেক ঘরে সৌরবিদুতের সংযোগ রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে তারা নগদ অথবা মাসিক কিস্তিতে এই সৌরবিদ্যুত প্ল্যান্ট ক্রয় করে ঘরে বসিয়েছেন। চরের ছোট ছোট হাট-বাজারের বিভিন্ন দোকানপাটেও সৌরবিদ্যুত বসিয়েছেন। ক্যাপাসিটি অনুযায়ী তা দিয়ে রঙ্গিন কিংবা সাদাকালো টেলিভিশন চালাচ্ছে তারা। চরের মানুষ সারা দিন পরিশ্রম করে সুযোগ পেলেই একটু বিনোদনের জন্য টিভির সামনে গিয়ে বসেন। চ্যানেল ঘুরিয়ে দেশ-বিদেশের খবরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখেন। এখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে অহরহ। ব্যাটারি চার্জ করতে নদী পার হয়ে এখন আর শহরে আসতে হয় না। চরে বসে সৌরবিদ্যুত থেকেই ব্যাটারী চার্জ হচ্ছে। এই সরকারের সময় কেবল তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণই হয়নি, চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। আগে কাঁচা রাস্তায় হেঁটে গন্তব্যে যেতে হতো। এখন সেই রাস্তা পাকা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলছে। স্বল্প সময়ে তারা গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। এখন তারা যেন একটি স্বপ্নের দ্বীপে বসবাস করেছেন। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং স্বদিচ্ছার ফলে।
©somewhere in net ltd.