![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশে নতুন করে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তি বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সরকার এখন দেশে-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে ও বিভিন্ন দেশের সমন্বিত অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক সহযোগিতাকারী দেশ জাপান ও চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর জাপান-চীন সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে সরকার। অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তি আরও প্রশস্ত করতেই প্রধানমন্ত্রী এই দুই দেশ সফরে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে উন্নত বিশ্বের অন্যতম অংশীদার জাপান। গত ২১ মার্চ ঢাকা সফরে এসে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা এই ঘোষণা দিয়ে যান। সে সময় বাংলাদেশের বড় পাঁচটি প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তার কথাও জানিয়েছে জাপান। বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে চলমান সহযোগিতা আরও বাড়াতে সমন্বিত অংশীদারিত্ব জোরদার করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ বৈঠক, কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের ভিসামুক্ত যাতায়াতের ওপরও সমঝোতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। জাপান আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমেই একটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গতি পায়। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে জাপান বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় বলেই তারা এদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। জাপানের ১৭৬টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে টেক্সটাইল, খাদ্যপণ্য উৎপাদন, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইলস, মোটর সাইকেলসহ বেশ কিছু খাতে বিনিয়োগ করেছে। দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধি করতে সরকারের এ মহান উদ্যোগ দেশকে আরও সমৃদ্ধশালী করবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.