![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। মধ্যআয়ের অর্থনীতিতে যেতে গত ৫ বছরে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি বাস্তবায়নের অবস্থাও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ব্যতিক্রম। এর সুফলও মিলতে শুরু করেছে ইতোমধ্যেই। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য নিরসনে অসাধারণ অগ্রগতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন, অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষত বিদ্যুত সম্প্রসারণ, মানব উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দৃষ্টি গোচর উন্নতি অর্জিত হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। মাথাপিছু আয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪ ডলারে। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে সরকার যে সব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সেগুলো হচ্ছে-
১। ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার বর্তমানে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা।
২। ৫ বছরে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যাওয়া, ৯২ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
৩। বিদ্যুত উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা।
৪। মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং মোট দেশজ বিনিয়োগ (জিডিপির অংশ) ৩২ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা।
৫। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০২১ সালের মধ্যে ২ হাজার ডলারে উন্নীত করা।
৬। সেচ দক্ষতা বর্তমানের ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।
৭। অতিদরিদ্র, ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতিবন্ধী সবাইকে এই লাইফ সাইকেলে অন্তর্র্ভুক্ত করা।
২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরে তৈরি হতে যাওয়া এ পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিদ্যুত ও জ্বালানি শক্তি, দ্বিতীয় গুরুত্বের তালিকায় থাকছে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকছে বৈষম্যদূরীকরণ (অর্থনৈতিক বৈষম্য, আয় বৈষম্য এবং আঞ্চলিক বৈষম্য)। সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যআয়ের দেশে পরিণত করতে সক্ষমতা অর্জন করুক এটাইতো আমাদের প্রতাশ্যা।
©somewhere in net ltd.