![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বর্তমানে একটা বিশেষ মহল র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাইবের বিলুপ্তি নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু আমি মনে করি র্যা বের বিলুপ্তি নয়, শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন। র্যা বে যেসব অসাধু কর্মকর্তা রয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে বাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি। তা না হলে র্যাজব যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ আগে থেকেই জানত বলে খবর পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে র্যােবের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও তারা কিন্তু আলাদা কোনো বাহিনী নয়। এটি পুলিশেরই একটি উইং। সে হিসেবে এ ঘটনার সঙ্গে র্যাজবের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানার কথা। প্রশ্ন জাগে, পুলিশ কেন ঘটনার পর কোনো কিছু জানালো না বা উদ্যোগ নিল না। নারায়ণগঞ্জের ওই ঘটনার জন্য সেখানকার রাজনৈতিক ও দলীয় কোন্দল দায়ী বলে আমি মনে করি। আর্মি, নৌ, বিমান বাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর লোকদের নিয়ে র্যা ব গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু র্যামবে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে। বিশেষ করে পুলিশে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা ও ওসিরা সুযোগ-সুবিধায় পিছিয়ে আছেন। কিন্তু র্যা ব কর্মকর্তারা এলিট ফোর্স হিসেবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে কিছুটা বেশি সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত। এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। র্যা ব যখন ছিল না তখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হতো। যেমন ডিবির এক এসির হাতে মেধাবী ছাত্র খুন হন। কিন্তু সে সময় ডিবির বিলুপ্তির কথা বলা হয়নি। তাহলে র্যাাবের ক্ষেত্রে কেন বলা হচ্ছে? তা ছাড়া পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাই বলে তো পুলিশের বিলুপ্তির কথা কেউ বলছে না। তাই একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি বলতে চাই রাবের বিলুপ্তি নয়, নিরপেক্ষভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে অসৎ কর্মকর্তা ও সদস্যদের চিহ্নিত করে র্যা বকে কাজ করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হয় সে দিকে আমাদের সকলের নজর দেওয়া উচিত।
©somewhere in net ltd.