![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
এবারের বাজেট গত সাড়ে ৫ বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার বাজেট। রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং দ্রুত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যকে আরো এগিয়ে নিতে এ বাজেট দেয়া হয়েছে। কারণ জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। তাই দেশের সকল মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিগত পাঁচ বছরের মতোই এবারো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখেই এই বাজেট দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। এজন্য একটি শিক্ষিত অগ্রণী বাহিনী গড়ে তুলবে সরকার। আর সেই বাহিনী হবে দেশের নতুন প্রজন্ম। দেশের প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় সেই অগ্রণী বাহিনী গড়ে তোলা হবে না বলেই স্বাধীনতার ৪২ বছর পর সমাজের সবার মতামত নিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে অগ্রণী বাহিনী তৈরিতে এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। নতুন প্রজন্মের এই অগ্রণী বাহিনীকে আধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষায়, জ্ঞানে ও নৈতিকতায় গড়ে তুলতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সংখ্যাগতভাবে দেশের শিক্ষার যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। জাতিসংঘের মহাসচিবের ভাষণেও বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতির কথা উঠে এসেছে। এক সময় দেশে উচ্চ শিক্ষার হার ছিল ১১ শতাংশ। শেখ হাসিনার সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে এখন তা ২৬ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশি শিশু স্কুলে যাচ্ছে। কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ায় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০০৯ সালে যখন শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন দেশ অন্ধকারে ছিল। বর্তমান সরকার ১১ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে । স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ায় শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমে এসেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত মহাজোট সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত সফলভাবে বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে গেলে যে কোন উচ্চাভিলাষ আর উচ্চাভিলাষ থাকে না, তা বাস্তবে পরিণত হয়। অতীতের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত বাজেটও সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। গত ৫ বছরে সরকার সফলভাবে বাজেট বাস্তবায়ন এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে রেখে সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে এ সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে এটা বলা যায় এবারের বাজেট যে জন কল্যাণমুখী বাজেট তাতে কোন সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.