নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের ইতিহাসের পাতা থেকে নিরক্ষরতার হার মুছে দিতে ও দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির লক্ষে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে মানসম্মত করার আহবান -মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর

২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে টিকে থাকার মত দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে মানসম্মত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন। দারিদ্র বিমোচনের একমাত্র উপায় হল শিক্ষা। আর আগামীতে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা আরো গুরুত্বপূর্ণ। পাঠ্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে উন্নীত এবং শিক্ষাকে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশে আইসিটি উন্নয়নের পন্থা এখন বিশ্বে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী এবং সুযোগ পেলে তারা প্রমাণ করতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি জাতি গঠন করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্প মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তাঁর উদ্যোগে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। তিনি একটি সমৃদ্ধ জনশক্তি গঠনে মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বৃত্তিমূলক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। ১৯৭৫ সালে তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর সকল লক্ষ্য ও উন্নয়ন কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দেশ ২১ বছরের জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিহীন ঐতিহাসিক কালো অধ্যায়ে প্রবেশ করে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর জনগণ পুনরায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায় এবং আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে। দীর্ঘ সময় পরে দেশবাসী বুঝতে পারে যে তাদর কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্যই আওয়ামীলীগ সরকার দরকার। বর্তমান সরকার যথাসম্ভব উন্নয়ন ইস্যুগুলোতে সর্বদা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করছে। প্রতি খাতের মতো কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার সাধন করেছে এই সরকার। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সরকার প্রতিটি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ১৮টি ইনস্টিটিউট নির্মাণ করেছে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপ যা পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট এবং পরবর্তী কেয়ারটেকার সরকার ঐ প্রকল্পগুলো ধ্বংস করে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ২০২০ সালনাগাদ মাধ্যমিক স্তরে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও আইসিটি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এ লক্ষ্যে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা ও প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.