![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশ মোট ১৭৪টি পণ্যের ক্ষেত্রে নেপালের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা অনুমতি দিতে কাঠমন্ডু সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছিল। এই তালিকায় আছে ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, রেফ্রিজারেটর এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গৃহসামগ্রী৷ নেপাল সরকার ৭৪টি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমোদন দিতে সম্মত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পর নেপালের সঙ্গেই বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভালো। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে দুই কোটি ৬৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। অন্যদিকে সে দেশ থেকে আমদানি হয়েছে তিন কোটি ৫৬ লাখ ডলারের পণ্য৷ বাংলাদেশ প্রধানত যেসব পণ্য নেপালে রপ্তানি করে, তার মধ্যে আছে কৃষিপণ্য, রাসায়নিক পণ্য, কাঁচা পাট, ওষুধ, তুলা, সোলার ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী ও প্লাস্টিকের ফার্নিচার। অন্যদিকে নেপাল থেকে আমদানি করে পানীয়, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, প্লাস্টিকের পণ্য, রাবার, ভ্রমণ-সম্পর্কিত পণ্য, কাঠের মণ্ডসহ নানা পণ্য। বাংলাদেশকে দেওয়া শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর উভয় দেশ এ বিষয়ে শীঘ্রই একটি চুক্তি সই করতে পারে। দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক এবং সৌহার্দ্য বৃদ্ধির ফলে এই শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছে নেপাল। এর ফলে উভয় দেশই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.