![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
রপ্তানি আয়ে ধ্বস নামার পর আবারো প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের হোম টেক্সটাইল খাত। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া হোম টেক্সটাইল পণ্যের মধ্যে আছে বেডশিট, পিলো কভার, কটন টেবিল ন্যাপকিন, কার্টেন প্রভৃতি। সুতার মূল্য সংশোধন ও ইউরোপে মন্দার প্রভাব কেটে যাওয়ায় ব্যবসায় ফিরতে শুরু করেছে সম্ভাবনাময় এ খাত। কয়েক বছর আগে দেশের রপ্তানি আয়ে বিলিয়ন ডলার অবদান রাখার মতো সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখা দেয় হোম টেক্সটাইল খাত। তবে গত দুই অর্থবছর এ সম্ভাবনায় ছেদ পড়ে। খাতটির রপ্তানি আয়ে দেখা দেয় ধারাবাহিক পতন। সম্প্রতি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে খাতটি। চলতি অর্থবছরের ১১ মাস শেষে খাতটির রপ্তানি আয়ে দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। এ সময় ৭২ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার ডলার আয় করে খাতটি। দীর্ঘ ২৩ মাস পর এ খাতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ফিরে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছর শেষে খাতটির রপ্তানি আয় ছিল ৯০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এ সময় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সুতার দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাবে ২০১১-১২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ না বাড়লেও রপ্তানি আয় হয় অনেক বেশি। সুতার মূল্য সংশোধন ও মন্দা কাটিয়ে সার্বিকভাবে হোম টেক্সটাইল খাতটি এখন আবার ব্যবসায় ফিরতে শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি করেন দেশের উদ্যোক্তারা। সেদিক দিয়ে ইইউর ২৮টি দেশই বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইলের ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারের ৪০ শতাংশ হোম টেক্সটাইল পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে হোম টেক্সটাইল পণ্যে আয় দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। সস্তা শ্রমের কারণেই বাংলাদেশ এখনো প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রেখেছে। ইপিবির পক্ষ থেকেও খাতের জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়েই হোম টেক্সটাইল খাতটি তার সম্ভাবনা আবার কাজে লাগাতে শুরু করেছে।
©somewhere in net ltd.