![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সুশাসন বলতে বলতে কিছু মানুষ মুখে ফেনা তুলে ফেলে। কিন্তু যখনই কোন কিছু তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখনই তারাই আবার অগণতান্ত্রিক, বেআইনী কথাবার্তা বলা শুরু করেন। ফলে গণতন্ত্র কিংবা আইনের শাসন সম্পর্কে মানুষের মাঝে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। বিএনপি-জামায়াতের অরাজনৈতিক ও অবৈধ পথে ক্ষমতা দখলের চক্রান্তকে প্রতিহত করে সাবেক বিরোধীদল বিএনপিকে ছাড়াই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, তাই ১৫৪টি আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর ১৯ ধারা অনুযায়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীরা বৈধ। কিন্তু যাদের মুখে সবসময় গণতন্ত্রের কথা, আইনের শাসনের কথা উচ্চারিত হয় তারাই আবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারার বিরুদ্ধে মনগড়া অগনতান্ত্রিক ও বেআইনী কথাবার্তা প্রচার করা শুরু করলেন। কেউ কেউ গণতন্ত্রের মুখোশটা যাতে খুলে না যায়, সেজন্য কৌশলী কথাবার্তা বলা শুরু করলেন, তাদের ভাষায়, জনগণ ভোট দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেনি। মুলতঃ এসব মনগড়া অগণতান্ত্রিক ও বেআইনী কথাবার্তা গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য হুমকি। কারণ, সংবিধান, আইন উপেক্ষা করে যার যেমন ইচ্ছে হবে, তেমন কথাবার্তা বলার অধিকার কোনভাবেই গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না। হাইকোর্ট এ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিট করা হয়েছিল, সেই রিট আজ খারিজ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার অধিকার আইনগতভাবে স্বীকৃতই থেকে যাচ্ছে। এরপরও যদি কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার বিষয় নিয়ে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেন, তবে নিশ্চিতভাবে তারাই প্রমাণ করছেন, তারা গণতন্ত্রের শত্রু, আইনের শাসনের শত্রু। তাদের মুখে অন্ততঃ গণতন্ত্র আর আইনের শাসনের কথা মানায় না।
©somewhere in net ltd.