![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
খালেদা জিয়া ১/৫/২০০৯ ইংরেজি তারিখেই বুঝতে পারতেন যদি তার আপনজন কেউ থাকত। এটা তিনি নিজেও উপলব্ধি করতে পারতেন যদি তার একটু বেশি পড়াশুনা থাকত এবং নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তেন। তার সেনানিবাসের বাড়িটা যে মালিকানার দিক থেকে নিতান্তই দুর্বল তা যে কোন সময় যে কোন সরকার নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া যাদের মনে করা হয় খালেদা জিয়ার হিতাকাঙ্ক্ষী তারা তো অবশ্যই আইনের দিকটা ভেবেছেন। তবে তারা ক্ষমতায় থাকতেও কেন আইন অনুযায়ী সংশোধন করলেন না? একসময় বিএনপির অনেক নেতা মনে করতেন, আইন একটা গাঁধা তাকে যেমন চালানো যায়, তেমনি চলে। তাই তারা নিজেদের মতো করে আইনের ব্যাখ্যা দিতেন এবং সে ভাবেই সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নোটিস পেয়ে বিএনপি জাঁদরেল আইনজীবীরা একটু চিন্তায় পড়লেন। একটি রাষ্ট্রের মালিক সরকার হলেও সকল জায়গার মালিক নয়। সরকার খাস জমির মালিক। সে জায়গা সরকার যখন তখন যাকে খুশি দিতে পারেন। অন্যটা যে পারেন না তা নয়। সেটা সরকারকে আগে অধিগ্রহণ করতে হবে। তারপর কাউকে দিতে পারবেন। বেগম জিয়াকে সেনানিবাসের যে বাড়ি দেয়া হয়েছে সেটার মালিক সরকার, তাই বিএনপি সরকারের উচিত ছিল আগে সেটা অধিগ্রহণ করা। তার পর খালেদা জিয়ার প্রত্যর্পণ করা। বিএনপি সরকার দুই দুইবার ক্ষমতায় ছিল। তারা কেন এত দীর্ঘ সময়েও এই ভুলটা সংশোধন করে নিল না? তবে তো আর খালেদা জিয়াকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে হতো না। বিএনপির জাঁদরেল জাঁদরেল উকিল ব্যারিস্টার ছিল। তারা কেন নীরব ছিলেন? যারা আপনাকে জ্বালাও পোড়াও এর দিকে ঠেলে দেয় তারা আপনার ছদ্মবেশী বন্ধু, আপনি অহিংসা আন্দোলন করুন, সভা সমিতি করুন। তাতেই যখন সময় হবে তখন নির্বাচন করবেন। নিজের দেশ, বিশ্ব, সবই এখন অহিংসার পথযাত্রী। সহিংস যারা তারা আর সায় পাবেন না।
©somewhere in net ltd.