![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে তেরোটি বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৪৩ থেকে ৩১ এ হ্রাস করা হবে। মাতৃমৃত্যু হার প্রতি হাজারে জন্মহার ১.৯৪ থেকে ১.৪৩ এ কমিয়ে আনা হবে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার শতকরা ৬১.২ থেকে ৭২ এ উন্নীত করা হবে। দক্ষ প্রসবকারীর মাধ্যমে প্রসবের হার শতকরা ২৬ থেকে ৫০-এ উন্নীত করা হবে। সেবিকার সংখ্যা ২৭ থেকে ৪০ হাজারে বৃদ্ধি করা হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহে অতিরিক্ত ৩ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেয়া হবে।
৫ বছরের নিচে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৫৩ থেকে ৪৮এ হ্রাস করা হবে। প্রজনন হার প্রতি সক্ষম মহিলাকে ২.৩ থেকে ২ এ হ্রাস করা হবে। অনূর্ধ্ব ৫ বছর শিশুদের স্বল্প ওজনের হার শতকরা ৪১ থেকে ৩৩ এ হ্রাস করা হবে। যক্ষ্মারোগী চিহ্নিকরণের হার শতকরা ৭২ থেকে ৭৫ এবং নার্সিং কলেজের সংখ্যা ৮ থেকে ১৬ তে উন্নীত করা হবে। শিশুমৃত্যু (৫বছরের নিচে) হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৪১-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে যা ছিল ৬৫। মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতি লাখে জীবিত জন্মে ১৯৪ এ দাঁড়িয়েছে। ২০০১ সালে তা ছিল ৩২০। অর্থাৎ বাংলাদেশে শিশু মাতৃমৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১.৩৭। ২০০৮ সালে তা ছিল ১.৪১। বাংলাদেশ মহিলা প্রতি গড় সন্তান গ্রহণের হার বর্তমানে ২.৩। ২০০৭ সালে তা ছিল ২.৭। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮ সালের ৬৫ এর তুলনায় তা এখন ৬৯ বছর হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যয় কম হলেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ একসঙ্গে চলমান আছে। এর ফলে ডায়রিয়ার চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনা, ভিটামিন ‘এ’ সম্পূরক কর্মসূচী এবং রোগ প্রতিষেধকের মতো জরুরী সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের ধারে কাছেও কেউ নেই। সংক্রামক ও দুরারোগ্য এই রোগটির বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেও ভারত সফল হতে পারেনি। গ্রামপর্যায়ে বিপুলসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত করায় বাংলাদেশে যক্ষ্মা নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ হারগুলোর মধ্যে অন্যতম। জন্মনিরোধক ওষুধের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ঘরে ঘরে পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নারী স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করায় জন্মনিরোধকের ব্যবহার (৬২ শতাংশ) অনেক বেড়েছে। এ কারণে নারীপ্রতি জন্ম হার ১৯৭১ সালের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ২০১০ সালে ২.৩ শতাংশে নেমেছে। সরকারের সাথে সাথে জনগণ যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয় তাহলে সরকারের প্রচেষ্টা অবশ্যই সফল হবে।
©somewhere in net ltd.