![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বব্যাপী টাইগারত্ব প্রদর্শনের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। কেবল জাতীয় দল নয়, পারফর্ম করে বেড়ান বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের বাণিজ্যিক আসরগুলোতেও। অতীতে তিনি খেলোয়াড়ি সাফল্য বা অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য অনেকবারই শিরোনাম হয়েছেন। খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের ঘটনা আগেও ঘটেছে। শাস্তির ব্যাপারটিও ঘটেছে। কিছু কিছু খেলোয়াড় বরং নিজ যোগ্যতাগুণেই নিজেকে আর সবার থেকে আলাদাভাবে পরিচিত করে তুলেছেন। তাই ভেবে থাকেন আমি তো অপরিহার্য, আমাকে পায় কে! অনেকে হয়তো ভাবছেন সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়া নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থার জেরে শাস্তি পেয়েছেন সাকিব। আসলে কি তাই? আসুন সাকিবের কিছু শিরোনাম হওয়ার মত বিষয় জেনে নিই। যার প্রত্যেকটিই দুর্ভাগ্যজনকভাবে অখেলোয়াড়সুলভ। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে এক দর্শক সাকিবের কাছে অটোগ্রাফ চান। অটোগ্রাফ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই দর্শক কটূক্তি করেন। পরে ক্ষুব্ধ সাকিব দর্শকের কলার চেপে ধরেন। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অফে ক্যাচ হন সাকিব। সেই আউট নিয়ে টিভি ধারাভাষ্যকাররা আলোচনা করার সময় ড্রেসিংরুমে বসে থাকা সাকিবের দিকে টিভি ক্যামেরা ধরলে অত্যন্ত গর্হিত অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন তিনি। পরে তিন ওয়ানডেতে নিষিদ্ধ ও অর্থদণ্ড দেন। স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে গত ১৬ জুন এক দর্শককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে নিয়ম ভঙ্গ করে ম্যাচ চলাকালে করিডোর সীমা অতিক্রম করে স্ত্রীর কাছে এসে এ কাণ্ড করায় শাস্তিও পেতে হয় তাকে। এর আগে আফগানিস্তানের পেসার দওলত জারদানের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে শাস্তি পেয়েছিলেন। অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে ম্যানেজমেন্টের অনুমতি না নিয়ে একটি দৈনিকে সাক্ষাতকার দিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলাসহ খাদ্য অপ্রতুলতা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিলেন। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা সংক্রান্ত জটিলতায় তিনি বাংলাদেশের হয়ে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন। তার বিশৃঙ্খলতার এই তালিকা কেবল যেটা প্রকাশিত সেটাই। অনেক ক্রীড়া সাংবাদিকের মাধ্যমে এমনও শোনা গেছে যে, সবকিছু তারা প্রকাশ করতে পারেন না। তাহলে সাকিবের সমস্যাটা কেবল আজ বা গতকালের নয়? ধীরে ধীরে দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠার সাথে সাথেই তার আচরণগত সমস্যাটি বৃদ্ধি পেয়েছে? হয়তো সেটাই। নয়তো বয়স ভিত্তিক দল হয়ে জাতীয় দলে অপরিহার্য হয়ে ওঠা সাকিবকে নিয়ে তো আগে এমন অভিযোগ ওঠেনি। তবে জাতীয় দলে বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে কেন বাড়ছে তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের তালিকা? আগে থেকেই তিনি কি এমন ছিলেন? সময়ের সাথে সেসবের উন্মত্ততা বেড়েছে কেবল। আসলে এটা ছিল তার ক্রমাগত অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডের ফল। দীর্ঘদিন ধরেই সাকিব দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে চলেছেন। দেশের মূল খেলোয়াড় হওয়ায় এতদিন বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন তারা। সাকিব কোচ-অধিনায়ক কারও কথা মানেন না। ব্যাপারগুলো অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এখন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
©somewhere in net ltd.