![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বঙ্গোপসাগর ও এর বিস্তীর্ণ উপকূলভাগের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সমমূল্যমানের অঢেল সম্পদরাজি আহরণ আর অফুরান অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উদঘাটনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরের জলরাশি ও তলদেশের সম্পদের ওপর সমতা, ন্যায্যতার ভিত্তিতে অধিকার, কর্তৃত্ব ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় মায়ানমারের পর এবার ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ সংক্রান্ত মামলায় জয়ী হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মহীসোপান (কন্টিনেন্টাল শেলফ) উপকূলের বামপাশে একদিকে আছে মিয়ানমার, ডানদিক জুড়ে রয়েছে ভারত। উভয় প্রতিবেশী দেশের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে খুলে গেছে অফুরান সম্ভাবনার দখিনা দুয়ার। কেননা এর ফলে তেল-গ্যাস, চিংড়ি, ইলিশসহ হরেক প্রজাতির মাছ, মণি-মুক্তা, প্রবাল-ঝিনুকসহ প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ, পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা মিলিয়ে সুবিশাল বঙ্গোপসাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদরাজি দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে উপকারভোগী এবং সুসমৃদ্ধ ও উন্নত হতে পারবে এদেশ। এ যাবৎ একতরফা সমুদ্রের ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসই শুধুই বুক পেতে নিয়েছে বাংলাদেশ। অবশেষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক পানিসীমায় (এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন-ইইজেড) বাংলাদেশের অধিকার ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বহুল প্রত্যাশিত রায় দিয়েছে জাতিসংঘের অধিভুক্ত নেদারল্যান্ডসের হেগ এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিশী আদালত (সিপিএ)। এ রায়ে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ সাড়ে ২৫ হাজার কিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকার মধ্যে নতুন ১৯ হাজার ৪শ’ ৬৭ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশকে দিয়ে ভারতের সঙ্গে নতুন সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গত সোমবার রায়ের কপি হস্তান্তর এবং গতকাল (মঙ্গলবার) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরপরই কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের সফলতা ও প্রাপ্তির আনন্দে উদ্ভাসিত ও উচ্ছ্বসিত হয় সরকার, সেই সাথে সমগ্র দেশের সচেতন নাগরিকমহল। এর আগে বিগত ২০১২ সালের মার্চে জার্মানীর হামবুর্গে আন্তর্জাতিক আদালতে (ইটলস্)এর রায়ে মায়ানমারের সাথে প্রথম ধাপে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে অনুরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের ২০০ নটিক্যাল মাইলের এক্সক্লুসিভ জোন (ইইজেড) এবং মহীসোপান (কন্টিনেন্টাল শেলফ) পরবর্তী ২০০ নটিক্যাল মাইলের দাবিকে রায়ে বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস ও অন্যান্য সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এখন থেকে অঢেল সম্পদরাজি আহরণ করতে বাংলাদেশের আর কোন প্রতিবন্ধকতা রইল না।
©somewhere in net ltd.