![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
তৈরি হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম এবং স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের এই সেতু নির্মাণের কাজ আর নয় দূরে। অ্যাপ্রোচ সড়কগুলো নির্মাণে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ভাঙ্গা পাথরের সারি সারি স্তুপ, মাঝে মাঝে বড় বড় বালুর স্তুপ। বড় বড় ক্রেন বিশাল বাহু মেলে সচল, একদিকে বসানো হয়েছে স্টোন ক্র্যাশার, বসছে ব্লিচিং প্ল্যান্ট। সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছে পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হচ্ছে জুলাই মাসে। যে পয়েন্টে সেতু শুরু হবে এই সংযোগ সড়ক সেখানেই গিয়ে মিশবে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে শত শত শ্রমিকের কাজের ব্যস্ততা। নদীপাড়ের ভূমি অধিগ্রহণ পুরোপুরি সম্পন্ন, পুনবার্সন প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০ ভাগ এগিয়ে গেছে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ। আর মূল সেতুর কার্যাদেশ পাওয়া চায়না মেজর চুক্তির পরপরই ‘মবিলাইজেশন’ কাজ শুরু করেছে। চিন থেকে বাংলাদেশের পথে রয়েছে ভারি ভারি সব যন্ত্রপাতি আর মালামাল। বাংলাদেশের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ এ সেতু নির্মানের অর্থায়ন নিয়ে ছিল নানা জটিলতা। সেতুর সবচেয়ে বড় অংকের ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছিল বিশ্বব্যাংকের সাথে। পরে পরামর্শক নিয়োগে দূর্নীতির আভিযোগ ওঠায় বিশ্বব্যাংক ঋণ দেওয়া থেকে সরে যায়। সাথে সাথে পিছিয়ে যায় অন্য দুই সংস্থা এডিবি ও জাইকা। এরপরে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে মূল পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পেয়েছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মিত হলে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে। গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য এটি তাই স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
©somewhere in net ltd.