নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবির নতুন নতুন ওয়েবসাইট খুলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ মিথ্যাচার করে চলেছে। দেশ ও জনগনের স্বার্থে শিঘ্রই এদের ওয়েবসাইট বন্ধ করা উচিত

২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০১





সাইবার মাধ্যম হিসেবে ওয়েবসাইট টুইটার, ফেসবুক, ব্লগ বেশ জনপ্রিয় হওয়ার কারণে এই মাধ্যমে দেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক মিথ্যা প্রচার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে জামায়াত ও শিবিরের কিছু কর্মী ভুয়া আইডি খুলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। জানা গেছে, জামায়াত-শিবির মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতায় কয়েক হাজার ব্লগ ও ওয়েবসাইট খুলে দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তা না হলে এই মাধ্যমে অপপ্রচার এতটাই দানাবেঁধে উঠতে পারে যার ফলে সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মানুষ দেশের জন্য আত্মঘাতী পদক্ষেপ নিতে পারে। এমন কি বাংলাদেশ জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসেবেও পরিচিত লাভ করতে পারে। সাইবার ক্রাইমের এই প্রবণতা ব্যাপকভাবে দানা বেঁধে ওঠে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর পর। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদের একতাবদ্ধ করে এবং যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করে। এতে স্বাধীনতার পক্ষের সর্বস্তরের মানুষ সাড়া দেয়। ফলে জামায়াতীরা তখন সাইবার মাধ্যমে শুরু করে নানা অপপ্রচার। প্রথমে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নাস্তিক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তারপর ব্লগ ও ফেসবুকের মাধ্যমে চলে নানা মিথ্যাচার। জামায়াত-শিবির সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে নাড়া দিয়ে শুরু করে নানা অপপ্রচার। হেফাজতীদের ঢাকায় এনে দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে। দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যখন রাতে হেফাজতীদের ঢাকা থেকে বিতাড়িত করে, তার দুই দিন পর ঢাকা থেকে রাসেল নামের এক যুবক ইরানী প্রেসিডেন্টকে ই-মেইল করেন। তার মেইলের ‘শিরোনাম ছিল, ‘মাস কিলিং অন প্রোটেসটার্স ইন ঢাকা এ্যাট নাইট বাই আর্মড জয়েন্ট ফোর্স এ্যাট লিস্ট কিলড থাউজ্যান্ড।’ রাসেল কিছুদিন আগে আল কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তাটি সাইবারে ছড়িয়ে দেয়। ধরা পড়া ২১ বছর বয়সী রাসেল ছাত্রশিবিরের ওয়েবাইট বাঁশের কেল্লা পেজের এ্যাডমিন। অনেক তরুণ সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে। গত সংসদ নির্বাচনের আগে তাদের সহিংস রূপ দেখেছে দেশবাসী। তারা পেট্রোল বোমায় গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষকে দগ্ধ করেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জামায়াত শিবিরের সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে না পারলে বাংলাদেশ মৌলবাদী দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করবে। কেননা তারা দেশবিরোধী অপপ্রচার আরও জোরদার করছে। নতুন নতুন ওয়েবসাইট খুলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ মিথ্যাচার করে চলেছে। জানা গেছে চীন, থাইল্যান্ড ও আমেরিকার মতো দেশে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই গোষ্ঠী এসএমএস-এর মাধ্যমেও অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্বাধীন দেশে যদি কেউ সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে আত্মঘাতী প্রবণতা বেছে নেয় তাহলে তাদের এখনি প্রতিহত করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.