![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশে মৌলবাদী রাজনীতির বিষয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় এখানকার জঙ্গী কর্মকা কাণ্ড কারণসমূহ ও এর আর্থিক উৎসব বিষয়ে ব্যাপক তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় চারটি আত্মঘাতী গ্রুপসহ ১২৫টি জঙ্গী সংগঠনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব জঙ্গী সংগঠনের পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এসব অর্থ আসে। বাংলাদেশে বহু আগে থেকে জঙ্গীরা একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে তাদের অবস্থান জোরদার করেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিকাশের পথে এরাই প্রধান অন্তরায়। রাজধানীসহ দেশের নানা অঞ্চলে কিছু কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে এদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে। এদের বিপুল সংখ্যক ক্যাডার রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে সারাদেশে এরা হত্যা, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক তা তান্ধব চালিয়ে আসছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড একসূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের স্বাধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধ্বংস করাই এদের অন্যতম লক্ষ্য। অভিযোগ রয়েছে গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে যে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক তান্ধব চালিয়েছে, পেছন থেকে তার মদদ যুগিয়েছে জঙ্গীরা। এরা নিজেদের কর্মসংস্থান ও ব্যয় নির্বাহের জন্য গড়ে তুলেছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই শতাধিক এনজিও বা বেসরকারী সংস্থা রয়েছে এদের কর্তৃত্বাধীনে। দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ঘটনার খবর ফাঁস হয়ে গেলে এটা সুস্পষ্টভাবে জানা গিয়েছিল, বিএনপি-জামায়াতের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মকর্তা এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এখনও জঙ্গীদের সঙ্গে এ ধরনের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মকর্তাদের সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এদের সহায়তা ছাড়া দেশব্যাপী প্রায় ১২৫টি জঙ্গী সংগঠন কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে। তাই দেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বার্থে এদের বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত জরুরী। কিছুদিন আগে আল কায়েদার শীর্ষ নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যেভাবে হুমকি দিয়েছে, তার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হুবহু মিল রয়েছে। সুতরাং দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে জঙ্গি নির্মুল অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
©somewhere in net ltd.