![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক সালিশে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সামনে এসেছে নবলব্ধ সামুদ্রিক এলাকা কার্যকরভাবে জাতীয় নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সীমানার নিরাপত্তা বিধান করার প্রশ্ন। দেশের স্থলভাগের প্রায় সমান আয়তনের বিশাল এই জলসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে নৌবাহিনীর সরঞ্জাম ও লোকবল বৃদ্ধি এবং নতুন একটি কমান্ডো ইউনিট গঠন। ঘাঁটি ও ক্যাম্প এবং লোক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তার সমস্যা জলদস্যু, অবৈধ মত্স্য শিকারি, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানিসহ নানা রকম অপরাধীদের দিক থেকেও আসে। এই অপরাধীরা সাধারণত অনেক শক্তিশালী ও দুর্ধর্ষ। নিজেদের স্বার্থরক্ষায় নিরীহ মানুষকে খুন করতেও দ্বিধা করে না তারা। তাদের সব ধরনের অপরাধী কর্মকাণ্ড রুখতে ইতোমধ্যে পুরনো বেশ কিছু জাহাজ বাদ দিয়ে নতুন জাহাজ সংযোজন ও বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু, অস্ত্র-মাদক ও মানব পাচারকারীসহ সব ধরনের অপরাধী কর্মকাণ্ড রুখতে সরকারের নির্দেশে নতুন একটি কমান্ডো ইউনিট গঠন করেছে নৌবাহিনী। এর নাম হবে ‘স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ’। সাগরের অফুরন্ত সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতি কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, সে ব্যাপারেও বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে।
©somewhere in net ltd.