![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মহেশখালীর বিদ্যুৎ হাবে হাজার মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জমি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই বিদ্যুৎ হাবে সরকার প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে ১০ হাজার মেগাওয়াট করা হবে। এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইউএই এর প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যে আরব আমিরাতের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। এখন তাদের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সব বিনিয়োগ আরব আমিরাত করতে চাইলেও কিভাবে কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে সে সম্পর্কে এখনও আলোচনা হয়নি। কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বিনিয়োগ পাওয়া খুব দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও কোন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত হয়নি। সরকারী-বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর কেউ এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেনি। সঙ্গত কারণে এইখাতে কেউ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে পিডিবির পক্ষ থেকে আরব আমিরাতের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। ঢাকায় নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাঈদ বিন হাজার আল শাহীর প্রস্তাবে বলা হয়েছে তাঁর দেশ বাংলাদেশে একটি এক হাজার মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়। যার সব বিনিয়োগই আরব আমিরাত করবে। এখান থেকে তারা পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায়। তাদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে পাঁচ নম্বর ব্লক বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এ বিষয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। সরকার মহেশখালী এলাকায় প্রতিটি এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট থেকে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে এরইমধ্যে পাঁচ হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় ও আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় কয়লা দিয়ে ১১ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।
©somewhere in net ltd.