নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে অপতৎপরতা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮





২২ থেকে ২৪ জুলাই, ৩দিন বাংলাদেশ সফর করে গেলেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগের দায়িত্বপালনকারী আণ্ডারসেক্রেটারি জেনারেল মি. হের্সে ল্যাডসওসের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিনিধিদল। দলটি নেপাল এবং ভারত সফর করেছে। মূলত জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ গত ২৬ বছরে যে ধরনের অবদান রেখে আসছে তাকে আরও কিভাবে জোরদার করা যায় সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা এবং একই সঙ্গে শান্তি মিশনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘের ভূমিকা সম্পর্কে সর্বত্র সহযোগিতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে তাদের অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তিন বাহিনীসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। প্রতিনিধিদলটি তাদের সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলেও উল্লেখ করেছে। দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হলো, প্রতিনিধিদলের সফল সফরের শেষদিন অর্থাৎ ২৪ জুলাই নয়াদিল্লীর জনকাপুরীতে অবস্থিত এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস নামক একটি সংস্থা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সফরে হতাশ বা ক্ষুব্ধ হয়েই ‘বাংলাদেশ ঃ সেন্ডিং ডেথ স্কোয়াডস ট্যু কীপ দ্যা ইউএন’স পিস’ শিরোনামে একটি প্রেস রিলিজ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হচ্ছেন সুহাস চাকমা। তিনি মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছেন। এর সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ২৪ জুলাই সুহাস চাকমার নামে প্রচারিত দুই পৃষ্ঠার প্রেস রিলিজটি- যেখানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী না নেয়ার পক্ষে আহ্বান জানানো হয়েছে, যুক্তি দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা ধরনের অভিযোগ।সংস্থাটি গত জুন মাসেই ৭৪ পৃষ্ঠার একটি ‘গবেষণা প্রতিবেদন’ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। শিরোনামটি একই। ওয়েবসাইটে ‘কিলিং স্কোয়াডস’কে প্রতিভাত করতে শুরুতেই র্যাকবের কিছু মূর্তিমান সশস্ত্র ছবি উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে ১ থেকে ২০ পৃষ্ঠায় বিস্তারিত নেতিবাচক ধারণা দেয়া হয়েছে। এতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ, পদোন্নতি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ইত্যাদির বিস্তর অবতারণা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতা ভঙ্গকারী’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই বাহিনীই হচ্ছে ‘ঢাকায় সিংহাসনের মূল চালিকাশক্তি’। একই সঙ্গে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সেনাবাহিনী দেশের সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব বহাল রেখেছে। ২০০৯ সালের বিডিয়ারের প্রধান কেন্দ্রে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনার কারণ হিসেবে সংস্থাটি ওই কর্তৃত্বকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখিয়েছে। সংস্থাটি এখন র্যা ব বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করছে। জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিতে পারা না পারার বিষয়টি সামনে এনে সুহাস চাকমা এবং তার সংস্থা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশ, বিজিবি, অন্যান্য প্যারা-মিলিটারি বাহিনীর মধ্যে অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব, সন্দেহ, ক্ষোভকে উস্কে দেয়ার কৌশল নিয়েছেন। অন্যদিকে সংস্থাটি র্যািবকে ‘ডেথ স্কোয়াডস’ হিসেবে অভিহিত করে সামরিক বাহিনীকেই সেই নামে চিহ্নিত করতে প্রতিবেদনের শিরোনামে তা ব্যবহার করছে। বলার চেষ্টা করা হয়েছে-জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আসলে যাচ্ছে শান্তিরক্ষাকারী নয়, ডেথ স্কোয়াড বাহিনী! একই সঙ্গে বলা হয়েছে, র্যা ব মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে ‘দায়মুক্তি’ নিয়েছে। সুহাস চাকমার মানবাধিকার সংস্থা এসব বিষয়ের অবতারণা শেষে যে উপদেশ দিয়েছে তা হচ্ছে, এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় যে, জাতিসংঘ র্যা ব সদস্যদের শান্তিরক্ষী হিসেবে গ্রহণ করবে (দেখুন প্রতিবেদন, পৃষ্ঠা ৫) প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরোক্ষভাবে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ক্ষতি করে দেশের ওপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করেছে (পৃঃ ৩৫)। আরও দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে যেখানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের আড়ালে সেনাবাহিনী সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন হচ্ছে সেখানে এত বড় সেনাবাহিনী থাকার যৌক্তিকতা কী (পৃঃ ৩৫)। সুহাস চাকমা জাতিসংঘকে পরামর্শ প্রদান করে বলেছেন, জাতিসংঘের উচিত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য এত অধিক হারে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী নিয়োগের বিরূপ প্রতিক্রিয়া যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা (ঐ পৃঃ ৩৫)। সুহাস চাকমা আরও দাবি করছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল ক্ষেত্রে ক্ষমতার উৎস, নিরঙ্কুশ দায়মুক্তি, আইনগত সুরক্ষা ভোগ করছে (পৃঃ ৩৫)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সুহাস চাকমার অভিযোগের শেষ নেই, জাতিসংঘকে জ্ঞানদানেও তাঁর একের পর এক প্রস্তাব এই ৭৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে রয়েছে। সে সব নিয়ে আলোচনার পরিসর এই কলামে পাওয়া সম্ভব নয়। আগ্রহী যে কেউ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়ে দেখতে পারেন। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অধ্যায়টি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে রচিত। তৃতীয় অধ্যায়টি র্যােব এবং চতুর্থ অধ্যায় উপসংহার। এক থেকে চার অধ্যায়ের প্রতিটিই বেশ কিছু অনুচ্ছেদের সমন্বয়ে গঠিত। এতে বিভিন্ন বাহিনীতে নিয়োগসহ কার্যক্রমে সুহাস চাকমা ব্যাপক অনিয়ম, প্রভাব, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নানা ধরনের অনিয়ম ইত্যাদি তুলে ধরে যেটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন তা শেষ বিচারে বাহিনীগুলোর ওপর কালিমালেপন করা। বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের দায়ে র্যা বকে একটি ‘ডেথ স্কোয়াড’ বাহিনী হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব কারণে জাতিসংঘের উচিত বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী না নেয়া। এক্ষেত্রেও আবার সব বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনীকেই সুহাস চাকমার মানবাধিকার সংস্থা সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত করেছে, তার আক্রমণের লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করে আসছে। এ পর্যন্ত ১,২১,৪০৭ সদস্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। এ মুহূর্তে ৭,৯৭৯ সদস্য বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। এসব বাহিনীতে সেনাবাহিনী, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও বিডি আনসার রয়েছেন। ক্রমান্বয়ে এসব প্রতিনিধিদলে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ধারা স্পষ্ট হচ্ছে। সকল বাহিনী থেকেই এখন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী সদস্য এসব শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যাচ্ছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাতে ১৬ পুলিশ সদস্য ছাড়া বাকি সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য। একই সময়ে আহত হয়েছেন ১৫৪ জন। জাতিসংঘ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ৬২ জনকে সর্বোচ্চ মেড্যালে ভূষিত করেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয়া সর্বোচ্চ সদস্য প্রেরণের দেশ। ভারতের চেয়েও আমরা এগিয়ে আছি। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয়া সদস্যরা যে বেতন-ভাতা পান তার বিরাট অংশই বাংলাদেশ রাষ্ট্র লাভ করে। বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহে এর অবদানও বড়। বাংলাদেশ ব্যাংক এর সঠিক তথ্য দিতে পারে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সদস্যসহ সকল প্রকার অবস্থানেই অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। এর ফলে যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সরবরাহ করে আর্থিক উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ সেই সুযোগ প্রদান করেছে। ফলে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নেয়া সকল উপকরণই বাংলাদেশকে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে সাহায্য করছে। এতে শান্তি মিশনকে কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনীর আধুনিকায়নে যে সব প্রযুক্তি, অস্ত্রশস্ত্র সংযুক্ত করছে তা বাংলাদেশের জন্য ব্যয়ের চেয়ে আয়ের সম্ভাবনাই অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে যারা এখন মনে করেন যে, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তি ক্রয় করা মানে হচ্ছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’-তারা বদলে যাওয়া পৃথিবীর এসব খোঁজখবর খুব কমই রাখেন, পুরাতন ধ্যান-ধারণায় পড়ে আছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সকল প্যারা-মিলিটারি বাহিনীকে দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর করে গড়ে তোলার অর্থ হচ্ছে জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠানের মিশন কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ কাজে লাগানো, বৃদ্ধি করা, বাস্তব দুনিয়া সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা এবং দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা। সেই সামগ্রিক সম্ভাবনাকে যারা সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দেখতে পারছে না, পুরনো ধ্যান-ধারণাকে যারা ত্যাগ করতে পারছে না- তারা দেশের এসব সুশৃঙ্খল বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মোটেও বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞানের চর্চা করছে না, পা দিচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে, অভ্যন্তরে এবং বাইরে পরিচালিত নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে । হ্যাঁ, এসব বাহিনীতে কর্মরত কোন কোন সদস্য আইন ভঙ্গ করে এমন কিছু করতে পারেন যাকে যে কোন আইনে অপরাধ হিসেবে দেখা অবশ্যই কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কোন পেশাতেই সকল সদস্য নিয়মনিষ্ঠ, আইন মেনে শতভাগ চলেন- এমনটি বাংলাদেশে কেন পৃথিবীর কোন দেশেই কেউ দাবি করে না। সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন নিয়মিত বাহিনীও আইনের উর্ধে নয়। কেউ যদি কোথাও দুর্নীতি, অপকর্ম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ বা দাবি যে কেউ করতে পারে। কিন্তু বিবেচনার সেই সূক্ষ্ম জায়গাটি যখন হয়ে যায় গোটা বাহিনীর বিরুদ্ধে তখন অভিযোগকারীর উদ্দেশ্যই রাষ্ট্রবিরোধীর পর্যায় পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। সুহাস চাকমার নেতৃত্বাধীন এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তি মিশনে কাউকে নেয়ার বিরুদ্ধে প্রেস রিলিজ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে ভূমিকা রাখছে তা বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমেরই অংশবিশেষ। দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হলো, এ ধরনের কার্যক্রমে দেশের অভ্যন্তরে কোন কোন মহল ও গোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে। নানা ছদ্মবেশে এসব অপতৎপরতা চলে, কোন কোন ব্যক্তি সরকারকে অপছন্দ করার অবস্থান থেকে এসব অপতৎপরতার পালে হাওয়া দেন, প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন বা সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে উঠে এমনসব বক্তব্য দেন যা শেষ বিচারে বড় ধরনের কোন ষড়যন্ত্রের শক্তিকেই সাহায্য করে। বাংলাদেশে গুম এবং খুনের মতো একটি অমানবিক অপরাধ চলে আসছে। এর প্রতিকার অবশ্যই আমাদের চাইতে হবে, রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু সেইসব গুম ও খুনের অপরাধের বিচারের দাবি করতে গিয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাউকে না নেয়ার দাবির গ্রহণযোগ্যতা সকলকে মনে রাখতে হবে। বিশেষত জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল যখন বাংলাদেশ সফর করতে আসে বা সফর শেষ করে চলে যায় তখন তা করা হলে এটিকে কিভাবে দেখা উচিত। কোন মানবাধিকর সংস্থা ২৬ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলন ও পরে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। মানব দরদী আর কাকে বলে! ২০১৩ সালের ৫ মের ঘটনা নিয়ে যারা মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ সরকারকে এবং এসব বাহিনীকে কলঙ্কিতভাবে উপস্থাপনে ভূমিকা রেখেছে এখন তাদেরই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যানারে জাতিসংঘ মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থার কাজ নেই এসব ওয়েবসাইটের প্রচার, পোস্টার-ব্যানার এবং বক্তৃতা-বিবৃতি ও মানববন্ধনের কথাকে সত্য বলে জ্ঞাত করার। তাদের নিজস্ব তথ্য সংগ্রহের যথেষ্ট মাধ্যম রয়েছে। জাতিসংঘের মতো সংস্থার তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকার কোন কারণ নেই। সুতরাং এসব প্রচার-অপপ্রচারে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কোন কারণ দেখি না। তবে সুহাস চাকমা এনজিও খুলে দিল্লীতে বসে যা করছেন, আমাদের দেশে বসেও অনেক সংগঠন এবং এনজিও একই অপকর্ম করে যাচ্ছে। সব সংগঠনকে এক পাল্লায় না তুলেও বলতে পারি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্রকে সমূলে পরিবর্তন করে একটি প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র গঠনের যে ষড়যন্ত্র ১৯৭১ সালে সৃষ্টি হয়েছিল সেটি এখনও থেমে নেই, অব্যাহত আছে। ১৯৭৫ সালে তারা সফল হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বস্ত থাকার জায়গায় থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা কতভাবে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে তা বুঝতে বোধহয় এখন আর ভুল করার সুযোগ নেই। সুতরাং চোখ-কান খোলা রেখে সবাইকে চলতে হবে, অবস্থান নিতে হবে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.