![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
আজন্ম ভারতবিরোধী বিএনপি এখন ভারততোষণে ব্যস্ত। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ভারতের আগ্রাসন জুজুর ভয় দেখিয়ে তথাকথিত বিপ্লব ও সংহতির নামে খালেদ মোশাররফকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতার রাজনীতিতে যে জিয়ার অভিষেক, এবং ভারত বিরোধীতাকে পূঁজি করে শুরু হয়েছিল যে বিএনপির রাজনীতি সেই বিএনপি এখন ভারত তোষণে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে। যা আমাদের মতো নালায়েকদের ধান্দায় ফেলে দিয়েছে। কেননা জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তান প্রীতি ও ভারত বিরোধীতাই ছিল যে দলটির নীতি সেই দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। বিএনপি ও তাঁর মিত্ররা এতদিন আওয়ামী লীগকে ভারতের তাবেদার বলে গালাগাল করে আসছে। বিশেষ করে প্রায় সকল জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেই তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভারত তাবেদারীর অস্ত্রটি ব্যবহার করে সফলকাম হয়েছে। যদিও ইদানিং নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে বিএনপি ও তার মিত্রদের এই প্রচারনাকে অপপ্রচার বলেই প্রতীয়মান হতে শুরু করেছে, তাছাড়া বহু ব্যবহারে এ অস্ত্রটি এখন এতটাই ভোঁতা হয়ে গেছে যে, তা দিয়ে এখন আর বড় বড় গাছ কাটাতো দূরে থাকুক কচুগাছ কাটাও সম্ভব নয়। এই বোধদয়ের কারনেই হয়তো বিএনপি এখন শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রতি ঝুঁকছে। তাই কিছুদিন আগে বিশ্বের মুরব্বি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে একঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ক্ষমতায় আসতে হলে ভারতকে তুষ্ট করার পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। এর পরই বিএনপির পক্ষ থেকে ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় না দেয়ার ব্যাপারে ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে দৈনিক সমকাল তাদের ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ শেষ পাতায় ‘ভারতকে আশ্বস্ত করতে বিএনপির জোর লবিং’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিএনপির চায় জোরালো লবিং করে ক্ষমতা একথা আর সাধারণ জনগণের বুঝতে এখন আর বাকি নাই। তবে আওয়ামী লীগের জন্যে এটা ভালই হলো এই কারণে যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি আর আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল বলে গালাগাল করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ পাবে না, উল্টো আওয়ামী লীগই বিএনপির বিরুদ্ধে ভারত তোষণের তরতাজা অস্ত্রটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
©somewhere in net ltd.