![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
আবারো 'বার্ডস আই' ও তাদের অনুসন্ধানী গোয়েন্দা প্রতিবেদন। ইতোমধ্যে তাদের দেয়া প্রতিবেদন গুলো প্রকাশের উদ্দ্যোগ নিলে সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছে বলে অনুমিত হয়। কেও এ ধরনের প্রতিবেদন গুলোকে আরো স্বচ্ছ ও সুবিন্যস্ত আঙ্গিকে প্রত্যাশা করার অনুরোধ জানাচ্ছে। কেও বলছে এসব হল মিথ্যা কাহিনী কিংবা উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত।
রাজনীতি যারা করেন তাদের যোগ্যতার শর্ত হল, সততা- মেধা- দূরদৃষ্টি- দেশপ্রেম থাকতে হবে ও চরিত্রবান হতে হবে। কিন্তু 'বার্ডস আই'- যেভাবে তথ্য ও প্রমাণ সহকারে প্রতিবেদন লিখছে তাতে করে জননেতাডটকম নিজেরাও শঙ্কিত ও লজ্জিত হয়ে পড়ার দায়!
কারা করছেন রাজনীতি? তাদের চরিত্র এতটা প্রশ্নবিদ্ধ যে, কোনো ভাবেই হিসাব মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। জননেতাডটকম দেশের একমাত্র রাজনৈতিক অনলাইন সংবাদপত্র হিসাবে রাজনীতি বিদ দের সম্যক জীবন উপখ্যান তুলে ধরে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনে থাকার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিচ্ছে, সেটি হল- কেমন চরিত্রের বা স্বভাবের মানুষ আমাদের দেশের রাজনীতিতে আসছে?তাদের জীবন ধরণ দেখে কী শিখবে নতুন প্রজন্ম?
আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাবেক এফ বিসিসি আই সভাপতি, বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগেও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে থেকে গভীর রাতে অনেকটা আকস্মিক ভাবে তিনি গ্রেফতার হন। তার গ্রেফতারের কারণ হিসাবে বিশ্বস্ত সূত্রের দাবী, ২০১৩ সালে রাজধানী ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের আন্দোলন করার দু' দুটি কর্ম সূচীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় পর্যায়ের এই ব্যবসায়ী রাজনৈতিক নেতা। সে কারনেই তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও এখন জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছেন। এক দিক থেকে তিনি ভীষণ সফল একজন নেতা- কারণ আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আন অফিসিয়াল কোষাধ্যক্ষ হিসাবেও অতীতে তার বিশেষ খ্যাতি ছিল।
মিন্টু, অপেক্ষাকৃত পড়ালেখা করা সচেতন ব্যাবসায়ী রাজনৈতিক নেতা হিসাবে দেশে সমাদৃত। তিনি বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার খুব নিকটজন এবং মোটামোটি কার্যকর পরামর্শকও বটে।পরিবারের অপরাপর সকল সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী- পুত্র'রা নিজের অনেক গুলোর ব্যাবসা দেখভাল করলেও প্রত্যেক সদস্যই একেক জন একেক ভাবে স্ক্যান্ডালের সঙ্গে জড়িত।
৮০' র দশকের শুরুতেই আব্দুল আওয়াল মিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আওয়াল আজকের হাসিনা সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর 'সৌখিন রক্ষিতা' হিসাবে বেশ কয়েক বছর ছিলেন। ঐ নাসরিন আওয়াল বেশ কয়েক বছর আগেও বিএনপির পৃষ্ঠপোষক পর্যায়ের নেতা সারফুদ্দীন আহমদ সান্টুর সঙ্গেও দহরম পর্যায়ের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে আব্দুল আওয়াল মিন্টুর বাড়ীর এক গৃহ ভৃত্য নাম না প্রকাশের শর্তে 'বার্ডস আই' কে বলেন, এসব কেন করেন ওনারা জানিনা- সম্ভবত খাসরতে, কারণ তাদের তো টাকার অভাব নেই!
এদিকে মিন্টু মূলত বেপোরোয়া জীবনে অভ্যস্ত, তবে নারী ঘটিত বিষয়ে তিনি দেশের বাইরে যেয়েই এসব কু- কীর্তি করতে পছন্দ করেন। খুব বেশী হলে সিরাজগঞ্জে নিজের যমুনা রিসোর্টে একেক সময় একেক জন সুন্দরী কে নিয়ে যান। আব্দুল আও্য়াল মিন্টুর প্রাত্যহিক রুটিনের মধ্য রয়েছে ঘুম থেকে উঠে বেলা ১১ টার দিকে হোটেল সোনারগাও যাওয়া। ওখানে সাংবাদিক সাদেক খান, সাংবাদিক শাহজাহান সরদার, সাবেক মন্ত্রী আবু হেনা , বরকতুল্লাহ বুলু সহ নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দুপুর ১ ট পর্যন্ত খোশ মেজাজে আড্ডা দেয়া। এরপর নিজের সোনারগাঁ বর্ধিত রোডের অফিসে যাওয়া। সন্ধ্যায় গুলশান কিংবা বারিধার এক হোটেলে পুনরায় আড্ডা দেয়া।
আব্দুল আও্য়াল মিন্টু এ জীবনে কত নারী ভোগ করেছেন তা তিনি নিজেই হিসাব করে বলতে পারবেন না। তবে তার নারী দুর্বলতার মধ্য রয়েছে ফিল্মি পাড়ার নায়িকা। সে ঢাকাই ছবির নায়িকা হোক আর ভারতের!
বেশ কয়েক জন দালাল এ বিষয়ের জন্য তিনি রেখেছেন। এমনই একজন আছেন, যার স্থায়ী বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। যিনি এক সময় সাবেক মন্ত্রী লেঃ কর্নেল এইচ বি এম গাফফার এর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। তিনি 'বার্ডস আই' কে বলেন, মিন্টু দেশের স্বনাম ধন্য নায়িকা পপি'র সঙ্গে একাধিকবার রাত কাটিয়েছেন তারই যমুনা রিসোর্টে। মাত্র ৫০০০০ টাকায় পপি'রা প্রায়শই যমুনাই যেতেন।
এদিকে 'বার্ডস আই' মিন্টুর আরো কিছু সেক্স মিশনের গোপন খবর প্রমান সহকারে সংগ্রহ করে। যেখানে ভারতীয় চ্যানেলের বিভিন্ন সিরিয়ালের আলোচিত নারী চরিত্রের সঙ্গেও তার রাত্রি যাপনের ঘটনা রয়েছে। হোটেল সোনারগাও তেই এসব বিদেশী অভিনেত্রীরা প্রায় প্রত্যেক মাসে ঢাকায় আসেন এবং মিন্টু সকাল এবং বিকেলে ঐ সকল কক্ষে প্রবেশ করেন। এ বিষয়ে তাঁকে সহযোগিতা করে সোনারগাও হোটেলের সাবেক কর্ম চারী ফরিদপুরের বাসিন্দা জহির।
অন্যদিকে সবচাইতে আলোচিত বিষয় হল, সদ্য ঘোষিত ভারতের মোদি সরকারে জায়গা পাওয়া এক নারী মন্ত্রীর সঙ্গেও আব্দুল আওয়াল মিন্টুর বছর সাতেক আগে এই সোনারগাও হোটেলে এক রাত পার হয়। সেই মন্ত্রীও ভারতের মিনি পর্দার সুপার স্টার ছিলেন। বহুল আলোচিত ঐ সিরিয়াল চলালালীন সময়েই মিন্টু কাম বাসনায় অনেক টাকা খরচ করে তাঁকে ঢাকায় এনে নিজের তৃপ্তি মেটান।
©somewhere in net ltd.